বরিশাল অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পসমূহ

Barisalpedia থেকে

নভেম্বর মাসে মুক্তিযোদ্ধারা বরিশাল, পটুয়াখালী রিভিন্ন রণাঙ্গণে সুশিক্ষিত এবং সুসজ্জিত পাক সেনাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে তাদের শক্তি ও বীরত্বের পরিচয় দেয়। এ মাসে অধিক সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা মুজিবনগর থেকে বরিশাল আগমন করে। মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকশ’ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করে। নভেম্বর মাসের পূর্বে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থায়ী ক্যাম্প ছিল না। পাক সেনাদের আক্রমণের ভয়ে তারা এক জায়গায় বেশি দিন থাকতো না। কিন্তু নভেম্বর মাস হতে তারা অনেকগুলো স্থায়ী ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পগুলোর মধ্যে ছিল বরাকোটা, বিন্না, শরিকল, পাদ্রীশিপপুর, কেউন্দিয়া, শ্যামপুর, দুধাল, চরামন্দি, কামারখালী, বিনয়কাটি, চাঁদপাশা, আগরপুর, ঠাকুর মল্লিক, বদরটুনী, পয়সারহাট প্রভৃতি। একমাত্র ভোলয় ৪৮টি ক্যাম্প ছিল। সুন্দরবনে ক্যাপ্টেন জিয়াউদ্দিনের অধীনে অনেক ক্যাম্প ছিল। তারা প্রধান ক্যাম্প ছিল বগী। বরাকোটা যুদ্ধের পর ক্যাপ্টেন ওমর তার ক্যাম্প স্বরূপকাঠি থানার বিন্না গ্রামে স্থানান্তর করেন। নভেম্বর মাসে তাঁর ক্যাম্প পাদ্রী-শিবপুরে নিয়ে আসেন।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫