বরিশালে নারী জাগরণ

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১০:০১, ৪ মে ২০২০ পর্যন্ত সংস্করণে ("বরিশালে নারী জাগরণের সূচনাকারী হলো ব্রাহ্ম আন্দোলন। নার..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

বরিশালে নারী জাগরণের সূচনাকারী হলো ব্রাহ্ম আন্দোলন। নারীদেরকে শৃঙ্খলমুক্ত করে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রদানের জন্য বরিশালের ব্রাহ্ম সমাজ নেতৃত্ব দেয়। মেয়েদের শিক্ষার জন্য ১৮৬৮ খৃৃস্টাব্দে ব্রাহ্ম সমাজের উদ্যোগে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু শহরবাসীদের স্ত্রী শিক্ষার প্রতি উদাসীনতার ফলে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়। ব্রাহ্ম সমাজের আচার্য গিরীশ চন্দ্র মজুমদার ব্রাহ্ম মহিলাদের শিক্ষার ভার নেন। ১৮৭১ খৃৃস্টাব্দে জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু লাহা ও কয়েকজন কর্মীর উদ্যোগে স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের জন্য নারী কল্যাণ সমিতি গঠন করা হয়। এ সভার উদ্যোগে মেয়েদের বার্ষিক পরীক্ষাগ্রহণ ও পুরষ্কার বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। এ সভা পরবর্তীকালে বাকেরগঞ্জ হিতসাধিনী সভাতে পরিণত হয়। ১৮৭৩ খৃৃস্টাব্দে সর্বানন্দ দাশ ও মথুরানাথ সেন পুনরায় একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সর্বানন্দ দাশের কন্যা স্নেহলতা দাশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষয়িত্রী নিযুক্ত হন। এ বিদ্যালয়ই বর্তমান সরকারী সদর বালিকা বিদ্যালয়। ব্রাহ্ম আন্দোলন বরিশালের মহিলাদের মধ্যে এক নতুন জীবনের সন্ধান দেয় এবং কয়েকজন মহিলা উচ্চ ডিগ্রী লাভ করে বরিশালের গৌরব বৃদ্ধি করেন। চাঁদশীর কাদম্বিনী বসু বরিশাল তথা বাংলার প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট। চণ্ডীচরণ সেনের কন্যা কামিনী ও যামিনী উচ্চ ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯ শতকের শেষভাগে স্ত্রী শিক্ষা ও স্বাধীনতার জন্য বরিশালের ব্রাহ্ম সমাজ যে আন্দোলনের সূচনা করে তা-ই পরবর্তীকালে মহিলা জাগরণে উৎসাহ ও প্রেরণা যোগায়।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।