"বরিশালের মহিলা মুক্তিযোদ্ধাগণ"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
("<nowiki>বরিশালের মহিলা মুক্তিযোদ্ধাগণের একটি আপাত অসমাপ্ত ত..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
|||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
− | + | বরিশালের মহিলা মুক্তিযোদ্ধাগণের একটি আপাত অসমাপ্ত তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলো। | |
− | মনোরমা বসু মাসিমা | + | ১. মনোরমা বসু মাসিমা, কাউনিয়া, বরিশাল। |
− | অধ্যক্ষ শান্তিসুধা ঘোষ বরিশাল, যুদ্ধকালে কলকাতার | + | ২. অধ্যক্ষ শান্তিসুধা ঘোষ, বরিশাল, যুদ্ধকালে কলকাতার বাসিন্দা। |
− | ডাঃ রেনুকা রায় বরিশাল, ১৯৭১ সালে | + | ৩. ডাঃ রেনুকা রায় বরিশাল, ১৯৭১ সালে কলকাতা। |
− | অরুণা আসফ আলী গৌরনদী, | + | ৪. অরুণা আসফ আলী,গৌরনদী, পরবর্তীতে দিল্লি। |
− | মণিকুন্তলা সেন বরিশাল, | + | ৫. মণিকুন্তলা সেন, বরিশাল, পরবর্তীতে কলকাতা। |
− | ডা. সুফিয়া বেগম স্বামী-নুরুল ইসলাম মঞ্জু এমএনএ, | + | ৬. ডা. সুফিয়া বেগম,স্বামী-নুরুল ইসলাম মঞ্জু এমএনএ, বরিশাল। |
− | নূরজাহান বোস রাঙ্গাবালি, গলাচিপা | + | ৭. নূরজাহান বোস, রাঙ্গাবালি, গলাচিপা, পটুয়াখালি। |
− | মহিয়া চৌধুরী | + | ৮. মহিয়া চৌধুরী, নাজিরপুর, পিরোজপুর। |
− | ভাগীরথী | + | ৯. ভাগীরথী, পিরোজপুর। |
− | ফরিদা খানম সাথী | + | ১০.ফরিদা খানম সাথী, বরগুনা। |
− | পুষ্প গুহ স্বামী-মুকুল সেন, | + | ১১. পুষ্প গুহ, স্বামী-মুকুল সেন, বরিশাল। |
− | কনক প্রভা সরকার নার্স, | + | ১২. কনক প্রভা সরকার, নার্স, বরিশাল। |
− | অলোকানন্দা দাস নাস, রণমতি, | + | ১৩. অলোকানন্দা দাস নাস, রণমতি, ঝালকাঠি। |
− | আলমতাজ বেগম রাজাপুর-ঝালকাঠি, সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা আটঘর, | + | ১৪. আলমতাজ বেগম ছবি, রাজাপুর-ঝালকাঠি, সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা আটঘর, কুড়িয়ানা। |
− | করুণা বেগম স্বামী- শহীদুল ইসলাম, বরিশাল, গৌরনদী সশস্ত্র | + | ১৫. করুণা বেগম, স্বামী- শহীদুল ইসলাম, বরিশাল, গৌরনদী সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। |
− | নূরজাহান বেগম রংঘুরা, | + | ১৬. নূরজাহান বেগম, রংঘুরা, গৌরনদী। |
− | লতিকা বিশ্বাস বাস্তবকাঠি-কুড়িয়ানা, সশস্ত্র | + | ১৭. লতিকা বিশ্বাস, বাস্তবকাঠি-কুড়িয়ানা, সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। |
− | রুনা দাশ ধামুরা-উজিরপুর, সশস্ত্র | + | ১৮. রুনা দাশ, ধামুরা-উজিরপুর, সশস্ত্র যোদ্ধা। |
− | শোভা রানী | + | ১৯. শোভা রানী মণ্ডল, আটঘর, সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। |
− | করুনা বেগম নবম সেক্টরের সাহসী মহিলা মুক্তিযোদ্ধা। তিনি গৌরনদীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিনের অধীনে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৫৩ সালের মুলাদী উপজেলার মুলাদী সাগরপারের চরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে ১৭ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ছদ্মবেশে যুদ্ধে অংশ নিতেন। তিনি ছেলের ন্যায় প্যান্ট-শার্ট ও মাথায় কাপড় পরতেন। তাকে পুরুষের মতো দেখাতো। গৌরনদী থানার মাহিলারা ব্রিজের নিকট পাকবাহিনরি ঘাঁটি ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা নভেম্বর মাসে আক্রমণ চালায়। সম্মুখযুদ্ধে করুণা ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। কাছে হাসপাতাল না থাকায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে কৌশলে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৬ ডিসেম্বরের পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও পিজি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তার পা ভাল হয়নি। পঙ্গু হিসেবে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু তাকে দেখতে যান। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি লালবাগে থাকার জন্য জমি বরাদ্দ পেয়েছেন। গুলিতে আহত তার পা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। প্রায় বিনা চিকিৎসায় করুণা বেগম ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে আজিমপুরে দাফন করা হয়েছে। করুণা বেগমের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা মানিক। তাদের তিন মেয়ে এক ছেলে। | + | করুনা বেগম নবম সেক্টরের সাহসী মহিলা মুক্তিযোদ্ধা। তিনি গৌরনদীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিনের অধীনে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৫৩ সালের মুলাদী উপজেলার মুলাদী সাগরপারের চরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে ১৭ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ছদ্মবেশে যুদ্ধে অংশ নিতেন। তিনি ছেলের ন্যায় প্যান্ট-শার্ট ও মাথায় কাপড় পরতেন। তাকে পুরুষের মতো দেখাতো। গৌরনদী থানার মাহিলারা ব্রিজের নিকট পাকবাহিনরি ঘাঁটি ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা নভেম্বর মাসে আক্রমণ চালায়। সম্মুখযুদ্ধে করুণা ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। কাছে হাসপাতাল না থাকায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে কৌশলে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৬ ডিসেম্বরের পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও পিজি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তার পা ভাল হয়নি। পঙ্গু হিসেবে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু তাকে দেখতে যান। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি লালবাগে থাকার জন্য জমি বরাদ্দ পেয়েছেন। গুলিতে আহত তার পা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। প্রায় বিনা চিকিৎসায় করুণা বেগম ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে আজিমপুরে দাফন করা হয়েছে। করুণা বেগমের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা মানিক। তাদের তিন মেয়ে এক ছেলে। |
− | তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় | + | |
+ | ---- | ||
+ | তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫ |
১২:৩৯, ২২ মার্চ ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ
বরিশালের মহিলা মুক্তিযোদ্ধাগণের একটি আপাত অসমাপ্ত তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলো। ১. মনোরমা বসু মাসিমা, কাউনিয়া, বরিশাল। ২. অধ্যক্ষ শান্তিসুধা ঘোষ, বরিশাল, যুদ্ধকালে কলকাতার বাসিন্দা। ৩. ডাঃ রেনুকা রায় বরিশাল, ১৯৭১ সালে কলকাতা। ৪. অরুণা আসফ আলী,গৌরনদী, পরবর্তীতে দিল্লি। ৫. মণিকুন্তলা সেন, বরিশাল, পরবর্তীতে কলকাতা। ৬. ডা. সুফিয়া বেগম,স্বামী-নুরুল ইসলাম মঞ্জু এমএনএ, বরিশাল। ৭. নূরজাহান বোস, রাঙ্গাবালি, গলাচিপা, পটুয়াখালি। ৮. মহিয়া চৌধুরী, নাজিরপুর, পিরোজপুর। ৯. ভাগীরথী, পিরোজপুর। ১০.ফরিদা খানম সাথী, বরগুনা। ১১. পুষ্প গুহ, স্বামী-মুকুল সেন, বরিশাল। ১২. কনক প্রভা সরকার, নার্স, বরিশাল। ১৩. অলোকানন্দা দাস নাস, রণমতি, ঝালকাঠি। ১৪. আলমতাজ বেগম ছবি, রাজাপুর-ঝালকাঠি, সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা আটঘর, কুড়িয়ানা। ১৫. করুণা বেগম, স্বামী- শহীদুল ইসলাম, বরিশাল, গৌরনদী সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। ১৬. নূরজাহান বেগম, রংঘুরা, গৌরনদী। ১৭. লতিকা বিশ্বাস, বাস্তবকাঠি-কুড়িয়ানা, সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। ১৮. রুনা দাশ, ধামুরা-উজিরপুর, সশস্ত্র যোদ্ধা। ১৯. শোভা রানী মণ্ডল, আটঘর, সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। করুনা বেগম নবম সেক্টরের সাহসী মহিলা মুক্তিযোদ্ধা। তিনি গৌরনদীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিনের অধীনে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৫৩ সালের মুলাদী উপজেলার মুলাদী সাগরপারের চরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে ১৭ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ছদ্মবেশে যুদ্ধে অংশ নিতেন। তিনি ছেলের ন্যায় প্যান্ট-শার্ট ও মাথায় কাপড় পরতেন। তাকে পুরুষের মতো দেখাতো। গৌরনদী থানার মাহিলারা ব্রিজের নিকট পাকবাহিনরি ঘাঁটি ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা নভেম্বর মাসে আক্রমণ চালায়। সম্মুখযুদ্ধে করুণা ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। কাছে হাসপাতাল না থাকায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে কৌশলে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৬ ডিসেম্বরের পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও পিজি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তার পা ভাল হয়নি। পঙ্গু হিসেবে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু তাকে দেখতে যান। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি লালবাগে থাকার জন্য জমি বরাদ্দ পেয়েছেন। গুলিতে আহত তার পা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। প্রায় বিনা চিকিৎসায় করুণা বেগম ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে আজিমপুরে দাফন করা হয়েছে। করুণা বেগমের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা মানিক। তাদের তিন মেয়ে এক ছেলে।
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫