"বরিশালের প্রথম জেলা কালেক্টরেট ভবন"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("সতেরশো সাতানব্বই সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল জন শোর ঢাকা..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
সতেরশো সাতানব্বই সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল জন শোর ঢাকা জেলার দক্ষিণাঞ্চলে বাকেরগঞ্জ জেলা  প্রতিষ্ঠা  করেন। তখন জেলার প্রশাসনিক দপ্তর বর্তমান বরিশাল শহরে ছিল না। আঠারোশ এক সালে নলছিটির বারৈকরন নামক জায়গা থেকে জিলার সদর দফতর স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে  ম্যাজিষ্ট্রেট মিডলটন বর্তমান বরিশাল শহরের উত্তরপ্রান্তে মোহনগঞ্জে জিলা সদর দফতর স্থাপনের সুপারিশ করলেও পরবর্তীতে ম্যাজিষ্ট্রেট উইন্টল ও  ঢাকা কোর্ট অফ সারকুইট-এর সুপারিশ এবং লর্ড ওয়েলসলির অনুমোদনক্রমে বর্তমান বিভাগীয় টেলিফোন দপ্তরের ভিতরে এই ছোট ভবনে জেলা কালেকটরেট  স্থাপন করা হয়। তৎকালীন সময়ে বরিশালে বসবাসরত ইউরোপিয় সাহেবগণের  অধিকাংশের বাসস্থান এই কার্যালয়ের আশেপাশেই অবস্থিত বাস করতেন। পুরানো দিনের সেই স্মৃতি ধারণ করে,  শহরের ফজলুল হক এ্যভিনিউর টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ দফতরের  ভেতরে ইউরোপীয় স্থাপত্যের ধারা অনুসরণ করা বরিশাল জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের প্রথম দফতর ভবনের পরিচয় ধারণ করে এটি যথেষ্ট বিনীতভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে বরিশালের যে কালেকটরেট ভবনটি সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটি এই ভবনের অনেক পরে নির্মিত।   
+
সতেরশো সাতানব্বই সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল জন শোর ঢাকা জেলার দক্ষিণাঞ্চলে বাকেরগঞ্জ জেলা  প্রতিষ্ঠা  করেন। তখন জেলার প্রশাসনিক দপ্তর বর্তমান বরিশাল শহরে ছিল না। আঠারোশ এক সালে নলছিটির বারৈকরন নামক জায়গা থেকে জিলার সদর দফতর স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে স্যামুয়েল মিডলটন সুন্দরবন কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই এই সদর দপ্তরটি বারৈকরণ হতে বাকেরগঞ্জে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সিভিল কোর্ট, সহকারী কালেক্টরেটের কার্যালয় বাকেরগঞ্জে স্থানান্তরিত করেন এবং বাকেরগঞ্জে আগাবাকেরের গোলাবাড়ীতে জেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন ইংরেজ গর্ভণর জেনারেল জনশোর ৭নং রেগুলেশন এ সুন্দরবন কমিশনারের পদ বিলুপ্ত করার পরে বাকেরগঞ্জ কে একটি আলাদা জেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।
 +
 
 +
প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক সকল কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলে এই দপ্তরও স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জ একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে কালেক্টরেটের মর্যাদা লাভ করার পরে এখানে প্রথম কালেক্টর নিযুক্ত হয়েছিলেন উইলিয়াম হান্টার। তার সময়ে ম্যাজিষ্ট্রেট উইন্টল ও  ঢাকা কোর্ট অফ সারকুইট-এর সুপারিশ এবং লর্ড ওয়েলসলির অনুমোদনক্রমে বর্তমান বিভাগীয় টেলিফোন দপ্তরের ভিতরে এক ছোট ভবনে জেলা কালেকটরেট  স্থাপন করা হয়। তৎকালীন সময়ে বরিশালে বসবাসরত ইউরোপিয় সাহেবগণের  অধিকাংশের বাসস্থান এই কার্যালয়ের আশেপাশেই অবস্থিত ছিল। পুরানো দিনের সেই স্মৃতি ধারণ করে,  শহরের ফজলুল হক এ্যভিনিউর টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ দফতরের  ভেতরে ইউরোপীয় স্থাপত্যের ধারা অনুসরণ করা বরিশাল জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের প্রথম দফতর ভবনের পরিচয় ধারণ করে এই ভবন যথেষ্ট বিনীতভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে বরিশালের যে কালেকটরেট ভবনটি সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটি এই ভবনের অনেক পরে নির্মিত।   
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।

২২:০৪, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

সতেরশো সাতানব্বই সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল জন শোর ঢাকা জেলার দক্ষিণাঞ্চলে বাকেরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠা করেন। তখন জেলার প্রশাসনিক দপ্তর বর্তমান বরিশাল শহরে ছিল না। আঠারোশ এক সালে নলছিটির বারৈকরন নামক জায়গা থেকে জিলার সদর দফতর স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে স্যামুয়েল মিডলটন সুন্দরবন কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই এই সদর দপ্তরটি বারৈকরণ হতে বাকেরগঞ্জে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সিভিল কোর্ট, সহকারী কালেক্টরেটের কার্যালয় বাকেরগঞ্জে স্থানান্তরিত করেন এবং বাকেরগঞ্জে আগাবাকেরের গোলাবাড়ীতে জেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন ইংরেজ গর্ভণর জেনারেল জনশোর ৭নং রেগুলেশন এ সুন্দরবন কমিশনারের পদ বিলুপ্ত করার পরে বাকেরগঞ্জ কে একটি আলাদা জেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।

প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক সকল কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলে এই দপ্তরও স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জ একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে কালেক্টরেটের মর্যাদা লাভ করার পরে এখানে প্রথম কালেক্টর নিযুক্ত হয়েছিলেন উইলিয়াম হান্টার। তার সময়ে ম্যাজিষ্ট্রেট উইন্টল ও ঢাকা কোর্ট অফ সারকুইট-এর সুপারিশ এবং লর্ড ওয়েলসলির অনুমোদনক্রমে বর্তমান বিভাগীয় টেলিফোন দপ্তরের ভিতরে এক ছোট ভবনে জেলা কালেকটরেট স্থাপন করা হয়। তৎকালীন সময়ে বরিশালে বসবাসরত ইউরোপিয় সাহেবগণের অধিকাংশের বাসস্থান এই কার্যালয়ের আশেপাশেই অবস্থিত ছিল। পুরানো দিনের সেই স্মৃতি ধারণ করে, শহরের ফজলুল হক এ্যভিনিউর টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ দফতরের ভেতরে ইউরোপীয় স্থাপত্যের ধারা অনুসরণ করা বরিশাল জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের প্রথম দফতর ভবনের পরিচয় ধারণ করে এই ভবন যথেষ্ট বিনীতভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে বরিশালের যে কালেকটরেট ভবনটি সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটি এই ভবনের অনেক পরে নির্মিত।


তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।