বরিশালের ঐতিহাসিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:৩১, ৪ জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত সংস্করণে ("প্রাচীনকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস বরিশালে লোকালয় ধ্..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

প্রাচীনকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস বরিশালে লোকালয় ধ্বংস করেছে। হাজার হাজার লোক সমুদ্রের নোনা জলে মৃত্যুবরণ করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রাচীন বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ কয়েকবার জনশূন্য হয়েছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা সুন্দরবনে পরিণত হয়েছে। মোগল ও ইংরেজ আমলে আবাদ করার সময়ে পূর্বের জনপদের চিহ্ন, প্রাচীন দীঘি, দেবদেবীর মূর্তি, অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ ও মাটির নিচে নরকঙ্কাল আবিষ্কৃত হয়েছে।

আবুল ফজলের বিবরণে দেখা যায় ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপে এক প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় হয়। এই ঝড়ে দুই লক্ষ লোক নিহত হয় এবং বরিশালের দক্ষিণাঞ্চল জনশূন্য হয়ে পড়ে। ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দের ঝড়ে হাজার হাজার লোক নিহত হয়। ১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দের ঝড়ে প্রায় ত্রিশ হাজার লোক নিহত হয়। ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দের জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পে ভান্ডারিয়ার রামপুর ও চেচরি বিলের সৃষ্টি হয়। ১৭৬৯, ১৭৮৭, ১৮২২, ১৮৬৪ এবং ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে এ অঞ্চলের অনেক জনপদ ধ্বংস হয়ে যায়। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ৩১ অক্টোবরের ঝড়ে এক লক্ষ লোক মারা যায়। ১৮৮২, ১৯০৯, ১৯১৯, ১৯৪১, ১৯৫৮, ১৯৬১, ১৯৬৫ ও ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের প্রলয়ঙ্করী ঝড় ও জলোচ্ছাস এ জেলার ওপর দিয়ে প্রাবাহিত হয়। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ নভেম্বর ঝড়ে বরিশাল বিভাগে প্রায় দুই লক্ষ লোক নিহত হয়।


তথ্যসূত্র: সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।