"বরিশালের ইতিহাসকারগণ (ক্লাসিক)"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
(" == বরিশালের ইতিহাসকারগণ (ক্লাসিক): == ইংরেজ রাজত্বের পূর্বে..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
  
 
== বরিশালের ইতিহাসকারগণ (ক্লাসিক): ==
 
== বরিশালের ইতিহাসকারগণ (ক্লাসিক): ==
ইংরেজ রাজত্বের পূর্বে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের কোন ইতিহাস লেখা হয়নি। বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ সাদারল্যান্ড ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম জেলার রাজস্ব ও প্রশাসন সম্পর্কে একটি বিবরণ লেখেন। তাকে অবলম্বন করে শ্রী নবকান্ত চ্যাটার্জী বরিশালের একটি ছোট বিবরণ লিখেন। মিঃ এইচ বেভারিজ ১৮৭০-১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে তার লিখিত বাকেরগঞ্জের ইতিহাস প্রকাশিত হয়। তিনি মূলত বাকেরগঞ্জের ১৭৫৭-১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের রাজস্ব ও প্রশাসনিক ইতিহাস লিখেছেন। বাকেরগঞ্জ সম্পর্কে মিঃ বেভারিজের ইতিহাসই নির্ভরযোগ্য প্রথম গ্রন্থ। মিঃ বেভারিজের ইতিহাস অনুসরণ করে শ্রী খোসাল চন্দ্র রায় ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জের ইতিহাস রচনা করেছেন। কীর্তিপাশা নিবাসী জমিদার রোহিণী রায় চৌধুরী ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ‘বাকলা’ নামে জেলার একখানা ইতিহাস লেখা সমাপ্ত করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে তার পুত্র বাকলা গ্রন্থখানা প্রকাশ করেন। বাকলা বাকেরগঞ্জের প্রাচীন নাম। শ্রী রোহিণী রায় মি. বেভারিজের বাকেরগঞ্জের ইতিহাস অবলম্বন করলেও অনেক নতুন তথ্য সংযোজন করেছেন। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী ব্রজসুন্দর মিত্র চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশ নামে একখানা ইতিহাস লিখেছেন। তিনি এ পুস্তকে দনুজমর্দন প্রতিষ্ঠত রাজপরিবারের বর্ণনা দিয়েছেন। শ্রী বৃন্দাবন পুততূণ্ড ১৩২০ খ্রিস্টাবেদ চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাস প্রকাশ করেন। বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. জে.সি. জ্যাকের সম্পাদনায় ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জের গেজেটিয়ার প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া মিঃ রেলী, উইলিয়াম হান্টার ও মিঃ গ্যাসট্রেল বাকেরগঞ্জ বাকেরগঞ্জ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত লিখেছেন।
+
ইংরেজ রাজত্বের পূর্বে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের কোন ইতিহাস লেখা হয়নি। বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ সাদারল্যান্ড ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম জেলার রাজস্ব ও প্রশাসন সম্পর্কে একটি বিবরণ লেখেন। তাকে অবলম্বন করে শ্রী নবকান্ত চ্যাটার্জী বরিশালের একটি ছোট বিবরণ লিখেন। মিঃ এইচ বেভারিজ ১৮৭০-১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে তার লিখিত বাকেরগঞ্জের ইতিহাস প্রকাশিত হয়। তিনি মূলত বাকেরগঞ্জের ১৭৫৭-১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের রাজস্ব ও প্রশাসনিক ইতিহাস লিখেছেন। বাকেরগঞ্জ সম্পর্কে মিঃ বেভারিজের ইতিহাসই নির্ভরযোগ্য প্রথম গ্রন্থ। মিঃ বেভারিজের ইতিহাস অনুসরণ করে শ্রী খোসাল চন্দ্র রায় ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জের ইতিহাস রচনা করেছেন। কীর্তিপাশা নিবাসী জমিদার রোহিণী রায় চৌধুরী ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ‘বাকলা’ নামে জেলার একখানা ইতিহাস লেখা সমাপ্ত করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে তার পুত্র বাকলা গ্রন্থখানা প্রকাশ করেন। বাকলা বাকেরগঞ্জের প্রাচীন নাম। শ্রী রোহিণী রায় মি. বেভারিজের বাকেরগঞ্জের ইতিহাস অবলম্বন করলেও অনেক নতুন তথ্য সংযোজন করেছেন। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী ব্রজসুন্দর মিত্র চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশ নামে একখানা ইতিহাস লিখেছেন। তিনি এ পুস্তকে দনুজমর্দন প্রতিষ্ঠত রাজপরিবারের বর্ণনা দিয়েছেন। শ্রী বৃন্দাবন পুততূণ্ড ১৯২০ খ্রিস্টাবেদ চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাস প্রকাশ করেন। বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. জে.সি. জ্যাকের সম্পাদনায় ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জের গেজেটিয়ার প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া মিঃ রেলী, উইলিয়াম হান্টার ও মিঃ গ্যাসট্রেল বাকেরগঞ্জ বাকেরগঞ্জ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত লিখেছেন।
  
১৩২০ খ্রিস্টব্দে শ্রী বৃন্দাবন পুততুণ্ডের চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাস প্রকাশিত হবার পর বিগত ৭০ বছরে এ জেলা সম্পর্কে দু’একটি বিচ্ছিন্ন বিবরণ ছাড়া কোন ইতিহাস রচিত হয়নি। ইতোপূর্বে যে ইতিহাস লেখা হয়েছে তা প্রথম সংস্করণ প্রকাশের পর দ্বিতীয়বার প্রকাশিত হয়নি। একমাত্র মিঃ বেভারিজের বাকেরগঞ্জের ইতিহাস ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে জেলা পরিষদ পুনর্মুদ্রণ করেছে। বর্তমানে বেভারিজের বাকেরগঞ্জের ইতিহাস ছাড়া কোন গ্রন্থ পাওয়া যায় না।
+
১৯২০ খ্রিস্টব্দে শ্রী বৃন্দাবন পুততুণ্ডের চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাস প্রকাশিত হবার পর বিগত ৭০ বছরে এ জেলা সম্পর্কে দু’একটি বিচ্ছিন্ন বিবরণ ছাড়া কোন ইতিহাস রচিত হয়নি। ইতোপূর্বে যে ইতিহাস লেখা হয়েছে তা প্রথম সংস্করণ প্রকাশের পর দ্বিতীয়বার প্রকাশিত হয়নি। একমাত্র মিঃ বেভারিজের বাকেরগঞ্জের ইতিহাস ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে জেলা পরিষদ পুনর্মুদ্রণ করেছে। বর্তমানে বেভারিজের বাকেরগঞ্জের ইতিহাস ছাড়া কোন গ্রন্থ পাওয়া যায় না।
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।
 
তথ্যসূত্র: সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।

২৩:৩০, ১২ জুন ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

বরিশালের ইতিহাসকারগণ (ক্লাসিক):

ইংরেজ রাজত্বের পূর্বে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের কোন ইতিহাস লেখা হয়নি। বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ সাদারল্যান্ড ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম জেলার রাজস্ব ও প্রশাসন সম্পর্কে একটি বিবরণ লেখেন। তাকে অবলম্বন করে শ্রী নবকান্ত চ্যাটার্জী বরিশালের একটি ছোট বিবরণ লিখেন। মিঃ এইচ বেভারিজ ১৮৭০-১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে তার লিখিত বাকেরগঞ্জের ইতিহাস প্রকাশিত হয়। তিনি মূলত বাকেরগঞ্জের ১৭৫৭-১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের রাজস্ব ও প্রশাসনিক ইতিহাস লিখেছেন। বাকেরগঞ্জ সম্পর্কে মিঃ বেভারিজের ইতিহাসই নির্ভরযোগ্য প্রথম গ্রন্থ। মিঃ বেভারিজের ইতিহাস অনুসরণ করে শ্রী খোসাল চন্দ্র রায় ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জের ইতিহাস রচনা করেছেন। কীর্তিপাশা নিবাসী জমিদার রোহিণী রায় চৌধুরী ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ‘বাকলা’ নামে জেলার একখানা ইতিহাস লেখা সমাপ্ত করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে তার পুত্র বাকলা গ্রন্থখানা প্রকাশ করেন। বাকলা বাকেরগঞ্জের প্রাচীন নাম। শ্রী রোহিণী রায় মি. বেভারিজের বাকেরগঞ্জের ইতিহাস অবলম্বন করলেও অনেক নতুন তথ্য সংযোজন করেছেন। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী ব্রজসুন্দর মিত্র চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশ নামে একখানা ইতিহাস লিখেছেন। তিনি এ পুস্তকে দনুজমর্দন প্রতিষ্ঠত রাজপরিবারের বর্ণনা দিয়েছেন। শ্রী বৃন্দাবন পুততূণ্ড ১৯২০ খ্রিস্টাবেদ চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাস প্রকাশ করেন। বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. জে.সি. জ্যাকের সম্পাদনায় ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জের গেজেটিয়ার প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া মিঃ রেলী, উইলিয়াম হান্টার ও মিঃ গ্যাসট্রেল বাকেরগঞ্জ বাকেরগঞ্জ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত লিখেছেন।

১৯২০ খ্রিস্টব্দে শ্রী বৃন্দাবন পুততুণ্ডের চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাস প্রকাশিত হবার পর বিগত ৭০ বছরে এ জেলা সম্পর্কে দু’একটি বিচ্ছিন্ন বিবরণ ছাড়া কোন ইতিহাস রচিত হয়নি। ইতোপূর্বে যে ইতিহাস লেখা হয়েছে তা প্রথম সংস্করণ প্রকাশের পর দ্বিতীয়বার প্রকাশিত হয়নি। একমাত্র মিঃ বেভারিজের বাকেরগঞ্জের ইতিহাস ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে জেলা পরিষদ পুনর্মুদ্রণ করেছে। বর্তমানে বেভারিজের বাকেরগঞ্জের ইতিহাস ছাড়া কোন গ্রন্থ পাওয়া যায় না।


তথ্যসূত্র: সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।