"ফায়জুল হক (আবুল কাসেম)"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
ফায়জুল হক (আবুল কাসেম) :  শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, সমাজসেবক। তিনি ১৯৪৪ সালের ১৫ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ফায়জুল হক শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের পুত্র।  
+
শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, সমাজসেবক। তিনি ১৯৪৪ সালের ১৫ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ফায়জুল হক শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের পুত্র।  
  
 
[[চিত্র:এ_কে_ফায়জুল_হক_আর_কোলে_ফাইয়াজুল_হক.jpg]]
 
[[চিত্র:এ_কে_ফায়জুল_হক_আর_কোলে_ফাইয়াজুল_হক.jpg]]

১২:১৪, ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, সমাজসেবক। তিনি ১৯৪৪ সালের ১৫ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ফায়জুল হক শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের পুত্র।

এ কে ফায়জুল হক আর কোলে ফাইয়াজুল হক.jpg

শিক্ষাজীবন

তিনি ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বি.এ (সম্মান) এবং ১৯৬৭ সালে এম.এ পাস করেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে তিনি এল.এল.বি ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন

ফায়জুল হক ১৯৬৯ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সালাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস-এর নির্বাহী উপদেষ্টা (১৯৬৯-৭২), ঢাকা আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ১৯৭৫-৭৬ সালে নাভানা ট্রেডার্স অ্যান্ড মিলনার্স-এর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ঢাকার ধানমন্ডি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক এশিয়ান মাস ইনফরমেশন সেন্টার, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, ঢাকা ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা চেমতার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও বাংলাদেশ জাতীয় শু্যটিং ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ ওয়াই.এম.সি-এর অ্যাসোসিয়েট সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির আজীবন সদস্য, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাংবিধানিক কমিটির আহবায়ক, পূর্বাচল পরিষদ ও ইস্ট এন্ড ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

ফায়জুল হক ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তান বাহিনী ও সরকারের পক্ষে বিবৃতি দেন। তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন এবং ওই দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভায় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন।

মৃত্যু

২০০৭ সালের ১৯ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়।


তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া