"পিরোজপুর মুক্ত দিবস, ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("শরণখোলা-মঠবাড়িয়া পতনের পর পাকবাহিনী সুন্দরবন হয়ে পাল..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
(কোন পার্থক্য নেই)

১১:৫৮, ২২ মার্চ ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

শরণখোলা-মঠবাড়িয়া পতনের পর পাকবাহিনী সুন্দরবন হয়ে পালাবার চেষ্টা করে। মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে তারা হুলারহাট হয়ে বরিশল চলে যায়। কমান্ডার আবেদ আলী মুক্তিযোদ্ধাদের চুপ থাকতে বলেন। ৭ ডিসেম্বর এডভোকেট শামসুল হক পিরোজপুর থেকে সুন্দরবন এসে সংবাদ দেন যে, পাকবাহিনী গত রাতে পিরোজপুর থেকে পালিয়ে গেছে। ওদিকে ক্যাপ্টেন ওমর ভা-ারিয়া হয়ে পিরোজপুর অবস্থান করছেন। ক্যাপ্টেন জিয়াউদ্দিন পারেরহাট হয়ে পিরোজপুর যাচ্ছেন। রাত ১০টায় জিয়াউদ্দিন তার বাবা-মায়ের সাথে দেখা করেন। তাদের ঘর পাকবাহিনী পুড়ে ফেলেছে। পিরোজপুর থানায় ক্যাপ্টেন ওমরের সাথে জিয়াউদ্দিনের সাক্ষাৎ হয়। তাদের প্রধান ঘাঁটি হলো পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। পিরোজপুর মহকুমরা বাংলাদেশ সরকারের অধীনে চলে আসে। চারদিকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান। পরের দিন সকালে টাউন হল ময়দানে বিরাট জনসভায় ক্যাপ্টেন ওমর ও জিয়াউদ্দিন ভাষণ দেন। ক্যাপ্টেন ওমর বরিশাল চলে যান। পরে আইনজীবী সমিতি জিয়াউদ্দিনের বাবার সভাপতিত্বে তাকে সম্বর্ধনা দেয়।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫।