পিরোজপুরে বৃটিশবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০২:৪৩, ১৭ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত সংস্করণে ("পিরোজপুরে অসহযোগ আন্দোলনে যারা কারাবরণ করেন তারা হলেন-আ..." দিয়ে পাতা তৈরি)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

পিরোজপুরে অসহযোগ আন্দোলনে যারা কারাবরণ করেন তারা হলেন-আনন্দ্র প্রসাদ সেন, নরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত, কালীবর দত্ত, নীরদ গুপ্তাশর্মা, নির্মল রঞ্জন, দাশগুপ্ত, নিবারণ চন্দ্র ঘোষ, প্রফুল্ল রঞ্জন পাল, উপেন বসু, সতীশ চন্দ্র রায়, বসন্ত ভট্টাচার্য, কেশব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারী লাল চক্রবর্তী, মৃন্ময় গুপ্ত শর্মা ও তার স্ত্রী সরুবালা, ইন্দুমতি গুহঠাকুরতা, আবুল কাসেম, মুহাম্মদ হোসেন, আরেফুর সহমান প্রমুখ। ১৯২৪ খৃৃস্টাব্দে এপ্রিল মাসে পিরোজপুরে রাষ্ট্রীয় জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় সম্মেলনে সভাপতিত্ব ও প্রদর্শনীর দ্বারোদঘাটন করেন। অসহযোগ আন্দোলনে বানারীপাড়ার ৬০ জন স্বদেশপ্রেমিক করারবরণ করেন। তারা হলেন - ইন্দুমতি গুহাঠাকুরতা, সরুবালা সেনগুপ্ত, যোগমায়া দত্ত, পূর্ণল²ী দেবী, লাবণ্য প্রভা দাশগুপ্তা, কুমুদ বিহারী ঠাকুরতা, ফনী চট্টোপাধ্যায়, সুনীতি দাশ, কালাচাঁদ ভট্টাচার্য, বিনোদ বিহারী ঠাকুরতা, নীলকান্ত চক্রবর্তী, প্রফুল্ল কুমার ঠাকুরতা, সীতানাথ গুহঠাকুরতা, ক্ষিতিশ চন্দ্র গুহঠাকুরতা। বানারীপাড়ার কর্মীদের মধ্যে ইন্দুমতি, ক্ষিতিশ চন্দ্র গুহঠাকুরতার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

স্বদেশী, সন্ত্রাসবাদী ও অসহযোগ আন্দোলনে বাইশারী গ্রাম বিািশষ্ট ভূমিকা পালন করে। গিরীন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নরেন্দ্রনাথ সরকার, উপেন্দ্রনাথ সরকার, সতীন্দ্রনাথ দাশ, ডাঃ সতীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জিতেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সাদাত আলী প্রমুখ অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯২১ খৃৃস্টাব্দে সতীন্দ্র চক্রবর্তীর বাড়িতে জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।