"পায়রা বন্দর, পটুয়াখালি"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("পায়রা বন্দর বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত বাংল..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
পায়রা বন্দর বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার একটি সামুদ্রিক বন্দর। এটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর পাড়ের টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়ায় অবস্থিত।  
 
পায়রা বন্দর বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার একটি সামুদ্রিক বন্দর। এটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর পাড়ের টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়ায় অবস্থিত।  
  
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
+
 
 +
== প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ==
 +
 
 
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে বন্দর প্রতিষ্ঠার ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। ১৩ আগস্ট ২০১৬, সমুদ্র বন্দরটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ৷ উদ্বোধনের দিন নৌপরিবহণ মন্ত্রী বন্দরস্থলে উপস্থিত ছিলেন আর প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। প্রতিষ্ঠার স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা্ এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শেষ হলেও চলমান রয়েছে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পাদনের লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১০ মিটার গভীরতায় রাবনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং, ২টিকন্টেইনর টার্মিনাল স্থাপন ও ১টি মাল্টি পারপাস টার্মিনাল স্থাপন। উক্ত লক্ষ্যমাত্রায় প্রাথমিক কাজ যেমন ভূমি অধিগ্রহণ, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, প্রশাসনিক ভবন, ওয়ার হাউজ, বাউন্ডারি ওয়াল, নদী খনন, টাগ বোট, বয়লেয়িং ভেসেল, পাইলট বোট, প্যাট্রোল বোট ইত্যাদি নির্মাণের জন্য ১১২৮ কেটি টাকর ডিপিপি ২৯-১০-২০১৫ তারিখে একনেকে অনুমোদিত হয়।  
 
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে বন্দর প্রতিষ্ঠার ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। ১৩ আগস্ট ২০১৬, সমুদ্র বন্দরটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ৷ উদ্বোধনের দিন নৌপরিবহণ মন্ত্রী বন্দরস্থলে উপস্থিত ছিলেন আর প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। প্রতিষ্ঠার স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা্ এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শেষ হলেও চলমান রয়েছে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পাদনের লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১০ মিটার গভীরতায় রাবনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং, ২টিকন্টেইনর টার্মিনাল স্থাপন ও ১টি মাল্টি পারপাস টার্মিনাল স্থাপন। উক্ত লক্ষ্যমাত্রায় প্রাথমিক কাজ যেমন ভূমি অধিগ্রহণ, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, প্রশাসনিক ভবন, ওয়ার হাউজ, বাউন্ডারি ওয়াল, নদী খনন, টাগ বোট, বয়লেয়িং ভেসেল, পাইলট বোট, প্যাট্রোল বোট ইত্যাদি নির্মাণের জন্য ১১২৮ কেটি টাকর ডিপিপি ২৯-১০-২০১৫ তারিখে একনেকে অনুমোদিত হয়।  
  
আইন
+
 
 +
== আইন ==
 +
 
 
৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩ পাস হয়।উক্ত আইন অনুযায়ী এটি আমদানী ও রপ্তানীর জন্য একটি সরকারী রুট এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি সরকারী স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যা পায়রা সামুদ্রিক বন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত।
 
৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩ পাস হয়।উক্ত আইন অনুযায়ী এটি আমদানী ও রপ্তানীর জন্য একটি সরকারী রুট এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি সরকারী স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যা পায়রা সামুদ্রিক বন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত।
  

০৯:৩৪, ১০ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

পায়রা বন্দর বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার একটি সামুদ্রিক বন্দর। এটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর পাড়ের টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়ায় অবস্থিত।


প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে বন্দর প্রতিষ্ঠার ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। ১৩ আগস্ট ২০১৬, সমুদ্র বন্দরটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ৷ উদ্বোধনের দিন নৌপরিবহণ মন্ত্রী বন্দরস্থলে উপস্থিত ছিলেন আর প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। প্রতিষ্ঠার স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা্ এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শেষ হলেও চলমান রয়েছে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পাদনের লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১০ মিটার গভীরতায় রাবনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং, ২টিকন্টেইনর টার্মিনাল স্থাপন ও ১টি মাল্টি পারপাস টার্মিনাল স্থাপন। উক্ত লক্ষ্যমাত্রায় প্রাথমিক কাজ যেমন ভূমি অধিগ্রহণ, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, প্রশাসনিক ভবন, ওয়ার হাউজ, বাউন্ডারি ওয়াল, নদী খনন, টাগ বোট, বয়লেয়িং ভেসেল, পাইলট বোট, প্যাট্রোল বোট ইত্যাদি নির্মাণের জন্য ১১২৮ কেটি টাকর ডিপিপি ২৯-১০-২০১৫ তারিখে একনেকে অনুমোদিত হয়।


আইন

৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩ পাস হয়।উক্ত আইন অনুযায়ী এটি আমদানী ও রপ্তানীর জন্য একটি সরকারী রুট এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি সরকারী স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যা পায়রা সামুদ্রিক বন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত।



তথ্যসূত্র: বরিশালে অনুষ্ঠিত ২০১৭ সালের উন্নয়ন মেলায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রচারিত বন্দরের বিবরণী