"পাথরঘাটার (জ্ঞানপাড়া) চৌধুরী পরিবার"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("পাথরঘাটার (জ্ঞানপাড়া) চৌধুরী পরিবার বুজুর্গ উমেদপুর পর..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
 
'''প্রতিষ্ঠার ইতিহাস'''- বাকেরগঞ্জের দুর্গাপাশার মুনাবদী ও ইদ্রাক দুই ভাই ছিলেন। ইদ্রাকের পুত্র সফিজউদ্দিন চৌধুরী বামনার জমিদার। মুনাবাদীর পুত্র আতাউদ্দিন ও মাহতাব উদ্দিন ইংরেজ লবণ কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। তারা জ্ঞানপাড়া বা বর্তমান পাথরঘাটা বন্দোবস্ত নেয়।  
 
'''প্রতিষ্ঠার ইতিহাস'''- বাকেরগঞ্জের দুর্গাপাশার মুনাবদী ও ইদ্রাক দুই ভাই ছিলেন। ইদ্রাকের পুত্র সফিজউদ্দিন চৌধুরী বামনার জমিদার। মুনাবাদীর পুত্র আতাউদ্দিন ও মাহতাব উদ্দিন ইংরেজ লবণ কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। তারা জ্ঞানপাড়া বা বর্তমান পাথরঘাটা বন্দোবস্ত নেয়।  
  
'''পরবর্তী অবস্থা'''- আতাউদ্দিনের পুত্র আলেফ চৌধুরী ওরফে সিদাম চৌধুরী ১৯ শতকের মধ্যভাগে বাকেরগঞ্জের দুর্ধর্ষ ও সাহসী জমিদার ছিলেন। তিনি জ্ঞানপাড়ায় একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। কালমেঘা তালুক নিয়ে বাস-ার সেনদের সাথে তার মামলা হয়। মামলা চলাকালে তার মৃত্যু হয়। তার পুত্র আজাহার উদ্দিনের সময় জ্ঞানপাড়া নিলামে বিক্রি হয়ে যায়। পাথরঘাটা থানার বেতমোর গ্রামে সিদাম চৌধুরীর পাকাবড়ির ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান আছে। সিদাম চৌধুরীর নাম এ অঞ্চলে লোককাহিনীতে পরিণত হয়েছে।  
+
'''পরবর্তী অবস্থা'''- আতাউদ্দিনের পুত্র আলেফ চৌধুরী ওরফে সিদাম চৌধুরী ১৯ শতকের মধ্যভাগে বাকেরগঞ্জের দুর্ধর্ষ ও সাহসী জমিদার ছিলেন। তিনি জ্ঞানপাড়ায় একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। কালমেঘা তালুক নিয়ে বাসণ্ডার সেনদের সাথে তার মামলা হয়। মামলা চলাকালে তার মৃত্যু হয়। তার পুত্র আজাহার উদ্দিনের সময় জ্ঞানপাড়া নিলামে বিক্রি হয়ে যায়। পাথরঘাটা থানার বেতমোর গ্রামে সিদাম চৌধুরীর পাকাবড়ির ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান আছে। সিদাম চৌধুরীর নাম এ অঞ্চলে লোককাহিনীতে পরিণত হয়েছে।  
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০
 
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০

১০:৩৬, ১৩ জুন ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

পাথরঘাটার (জ্ঞানপাড়া) চৌধুরী পরিবার বুজুর্গ উমেদপুর পরগণার পাথরঘাটা অংশের জমিদার ছিল।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস- বাকেরগঞ্জের দুর্গাপাশার মুনাবদী ও ইদ্রাক দুই ভাই ছিলেন। ইদ্রাকের পুত্র সফিজউদ্দিন চৌধুরী বামনার জমিদার। মুনাবাদীর পুত্র আতাউদ্দিন ও মাহতাব উদ্দিন ইংরেজ লবণ কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। তারা জ্ঞানপাড়া বা বর্তমান পাথরঘাটা বন্দোবস্ত নেয়।

পরবর্তী অবস্থা- আতাউদ্দিনের পুত্র আলেফ চৌধুরী ওরফে সিদাম চৌধুরী ১৯ শতকের মধ্যভাগে বাকেরগঞ্জের দুর্ধর্ষ ও সাহসী জমিদার ছিলেন। তিনি জ্ঞানপাড়ায় একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। কালমেঘা তালুক নিয়ে বাসণ্ডার সেনদের সাথে তার মামলা হয়। মামলা চলাকালে তার মৃত্যু হয়। তার পুত্র আজাহার উদ্দিনের সময় জ্ঞানপাড়া নিলামে বিক্রি হয়ে যায়। পাথরঘাটা থানার বেতমোর গ্রামে সিদাম চৌধুরীর পাকাবড়ির ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান আছে। সিদাম চৌধুরীর নাম এ অঞ্চলে লোককাহিনীতে পরিণত হয়েছে।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০