নিশিকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়

Barisalpedia থেকে

জন্ম ১৮৮৫। মৃত্যু ২১ ডিসেম্বর ১৯৭৮। জন্মস্থান মানপাশা, বরিশাল মর্মে সংসদ বাঙালি চরিতাভিধানে লিখিত আছে। বর্তমান বরিশাল জেলায় কোনো মানপাশা গ্রাম নেই। ঝালকাঠি জেলায় দুটো মানপাশা গ্রাম আছে। একটি ঝালকাঠি উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নে, অপরটি নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নে। সিরাজ উদ্দীন আহমেদের বর্ণনামতে তিনি নলছিটি উপজেলার মানপাশা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা দীনবন্ধু গঙ্গোপাধ্যায়। গৈলায় বোনের বাড়িতে থেকে তিনি লেখাপড়া করেন। প্রথম মহাযুদ্ধের সময় বরিশাল শঙ্কর মঠের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ স্বরস্বতীর নিকট রাজনৈতিক দীক্ষা গ্রহণ করেন। স্বামীজির মৃত্যুর পর ১৯২১খ্রি. তিনি উক্ত মঠের অধ্যক্ষ হন এবং অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৩০খ্রি. বরিশাল জেলা কংগ্রেসের সভাপতি রজনী চট্টোপাধ্যায়ের অনুরোধে বরিশালে হিন্দু ধর্মীয় অধিকার রক্ষার আন্দোলন ‘সত্যাগ্রহ’ পরিচালনার সর্বাধিনায়ক মনোনীত হন। তিনি ‘আমেরিকার স্বাধীনতা’, ‘পরাধীনের মুক্তি’, ‘চলার পথে’, ‘স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী’, ‘অশরীরী জীবন’ প্রভৃতি বই লিখেছেন মর্মে সিরাজ উদ্দীন আহমেদের গ্রন্থে উল্লিখিত আছে । বৈপ্লবিক আন্দোলনে যুক্ত থাকার জন্য দীর্ঘ ৭ বছর বক্সা, দেউরি প্রভৃতি বন্দিনিবাসে অবরুদ্ধ থাকেন। ওই সময়ে তিনি হোমিয়োপ্যাথি পুস্তক পড়ে ডাক্তারি শেখেন এবং মুক্ত হবার পর হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসা করে জনপ্রিয় হন। অকৃতদার ছিলেন। ১৯৪২ খ্রি. ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে পুনরায় ধৃত হয়ে ৩ বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।


তথ্যসূত্র: ১। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। ২। সিরাজ উদ্দীন আহমেদের ‘বরিশাল বিভাগের ইতিহাস’ ১ম খণ্ড।