নিরঞ্জন সেনগুপ্ত

Barisalpedia থেকে

জন্ম ২৬ জুলাই ১৯০৩। মৃত্যু ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯। জন্মস্থান ভারুকাঠি, নারায়ণপুর, বরিশাল। পিতা সর্বানন্দ সেনগুপ্ত; মাতা কাদম্বিনী। ছাত্রাবস্থায় অনুশীলন সমিতিতে যোগ দেন। ১৯২০খ্রি. বরিশাল জিলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। কলকাতা রিপন কলেজে পড়ার সময় (১৯২১) ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯২৩খ্রি. আই.এসসি. পাশ করে গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠন গড়ার জন্য বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে ভর্তি হন। পরীক্ষার পূর্বে গ্রেপ্তার হয়ে ৪বছর বিনা বিচারে আটক থাকেন। ১৯২৯খ্রি. কলকাতা কংগ্রেসের সময়ে বিভিন্ন বিপ্লবী দলের তরুণ কর্মীদের নিয়ে এক বিদ্রোহী দল গড়ে তোলেন এবং অস্ত্রসংগ্রহ ও বোমা তৈরীর কাজে ব্যাপৃত হয়ে পড়েন। ‘মেছুয়াবাজার বোমা মামলা’য় তাঁর ৭ বছর দ্বীপান্তর দ- হয়। আন্দামানে থাকাকালে কমিউনিস্ট মতবাদে বিশ্বাসী হন। ১৯৩৮খ্রি. মুক্তি পেয়ে পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন ও ই.বি. রেলের শ্রমিক সংগঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। কিছুদিন ‘যুগান্তর’ দৈনিক পত্রিকার সাব-এডিটর ছিলেন। ১৯৪২খ্রি. ‘জনযুদ্ধ’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডে সদস্য মনোনীত হন। ১৯৫৭খ্রি. বিধানসভার সভ্য নির্বাচিত হয়ে(বীজপুর-চব্বিশ পরগনা) সভার কমিউনিস্ট ব্লকের সম্পাদকীয় কাজ করেন। ১৯৬২খ্রি. টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। এরপর কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিধাবিভক্ত হলে তিনি মাকর্সবাদী দলে যোগ দেন। ১৯৬৭খ্রি. এই দলের প্রার্থীরূপে বিধানসভার সদস্য হয়ে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভার উদ্বাস্তু ও ত্রাণমন্ত্রী হন। ১৯৬৯খ্রি. উপনির্বাচনে বিজযী হয়ে ওই একই দপ্তরের মন্ত্রী থাকাকালে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।


তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান।