নিখিলরঞ্জন গুহ

Barisalpedia থেকে

নাট্যকার নিখিলরঞ্জন গুহের (২৮.৩.১৯৪০ - ২০০০) জন্ম বানারিপাড়া উপজেলার মলুহার গ্রামে। পিতার নাম সতীশচন্দ্র গুহ।

দেশবিভাগের পর ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে দাঙ্গা কবলিত আত্মীয়পরিজনের সঙ্গে নিখিলরঞ্জন পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন এবং ভাগ্যবিপর্যয়ে উদবাস্তু হিসেবে উত্তর চব্বিশ পরগনার আগরপাড়ায় উদবাস্তু কলোনিতে আশ্রয় নেন। বি.কম., বি.এ. পাশ তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তরুণ বয়সে ভাগনাস (ভারতীয় গণনাট্য সংঘ)- এর বিবিধ অনুষ্ঠান তাঁকে আকৃষ্ট করে। তারই প্রেরণায় ‘সুন্দর পৃথিবী’ নামে একটি একাঙ্ক নাটক লেখেন এবং তার প্রতিষ্ঠিত নাট্যসংস্থা ‘ধূমকেতু’তে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। পরের বছর নাট্যসংস্থার নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় ‘পাঞ্চজন্য’ নাট্যসংস্থা। তাঁর নির্দেশনায় তাঁর অনেক নাটক ‘পাঞ্চজন্য’- তে অভিনীত হয়েছে। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় গণসংস্কৃতি সংস্থায় যোগ দেন। তাঁর রচিত নাটক ‘কালোবউ’, ‘লখাইলে জিতাইতে’, ‘জুলপিবাবা’, ‘ওদের যখন চিনতে পারি’, ‘মুক্তি ফৌজ’, ‘অঙ্গীকার’, ‘আজকের শপথ’, ‘সংশপ্তক’, ‘অশ্বমেধ’, ‘দনুজদলনী’, ‘সুখের লাগিয়া’, ‘রাজপোষাক’, ‘স্বস্ত্যয়ন’, ‘উত্তরণ’, ‘স্বপ্ন নিয়ে’, ‘বাগদি মেয়ে’, ‘সূর্যমুখী’, ‘আগুন’ (শিশুনাটক) প্রভৃতি।


তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান।