"নলচিড়া"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
("বর্তমান গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া গ্রামটি বিভিন্ন কারণে এক..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
(→শিক্ষা) |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
== শিক্ষা == | == শিক্ষা == | ||
− | এক সময় সংস্কৃত চর্চার রঙ্গভূমি ছিল। বড় ভট্টাচার্যের বাড়িতে ১৪টি টোল ছিল। এ বংশের জগন্নাথ তর্ক পঞ্চানন এককালে দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত ছিলেন। তাঁর সময় ছাত্ররা নবদ্বীপ না গিয়ে তাঁর নিকট শাস্ত্র অধ্যয়ন করত। এ বংশের নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের প্রচারক ছিলেন। এ গ্রামের মিয়া বাড়ীতে ফার্সী ও আরবী শিক্ষা দেয়া হতো। | + | এক সময় এ গ্রাম সংস্কৃত চর্চার রঙ্গভূমি ছিল। বড় ভট্টাচার্যের বাড়িতে ১৪টি টোল ছিল। এ বংশের জগন্নাথ তর্ক পঞ্চানন এককালে দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত ছিলেন। তাঁর সময় ছাত্ররা নবদ্বীপ না গিয়ে তাঁর নিকট শাস্ত্র অধ্যয়ন করত। এ বংশের নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের প্রচারক ছিলেন। এ গ্রামের মিয়া বাড়ীতে ফার্সী ও আরবী শিক্ষা দেয়া হতো। |
− | + | ||
== জমিদার পরিবার ও কীর্তিমানগণ == | == জমিদার পরিবার ও কীর্তিমানগণ == |
০৭:০৬, ৬ জুলাই ২০২০ তারিখের সংস্করণ
বর্তমান গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া গ্রামটি বিভিন্ন কারণে এক ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত গ্রাম।
শিক্ষা
এক সময় এ গ্রাম সংস্কৃত চর্চার রঙ্গভূমি ছিল। বড় ভট্টাচার্যের বাড়িতে ১৪টি টোল ছিল। এ বংশের জগন্নাথ তর্ক পঞ্চানন এককালে দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত ছিলেন। তাঁর সময় ছাত্ররা নবদ্বীপ না গিয়ে তাঁর নিকট শাস্ত্র অধ্যয়ন করত। এ বংশের নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের প্রচারক ছিলেন। এ গ্রামের মিয়া বাড়ীতে ফার্সী ও আরবী শিক্ষা দেয়া হতো।
জমিদার পরিবার ও কীর্তিমানগণ
সম্রাট জাহাঙ্গীর রাজকার্যে সন্তুষ্ট হয়ে তার উজির উলফত গাজীকে তপ্পে নাজিরপুর পরগণা প্রদান করেন। তাঁর তৃতীয় অধস্তন পুরুষ সৈয়দ জানের পুত্র হোসেন জান তথা মির কুতুব নলচিড়ায় বসতি স্থাপন করেন।একজন ধর্ম প্রচারক ও প্রজাবৎসল জমিদার ছিলেন। হোসেন জানের পুত্র আইনউদ্দিন। আইনউদ্দিনের পুত্র শামসুদ্দিন ১৭০৪ খৃৃস্টাব্দে নাজিরপুরের জমিদার ছিলেন। তার পুত্র হোসেন উদ্দিন। সৈয়দ হোসেন উদ্দিনের পুত্র সৈয়দ ইমাম উদ্দিনের সাথে ইংরেজদের যুদ্ধ হয়। ইমাম উদ্দিনের পুত্র ছিলেন সিরাজউদ্দিন। সিরাজউদ্দিনের মৃত্যুর পর তার পুত্র হোসেন উদ্দিন জমিদার ছিলেন। সৈয়দ পরিবার লাখেরাজ ও কয়েকটি খারিজা তালুক ভোগ করত। হোসেন উদ্দিনের নাতি সৈয়দ আকিদউদ্দিনের পুত্র এডভোকেট সৈয়দ কুতুব উদ্দিন কংগ্রেসের সদস্য ও প্রজা পার্টির বিশিষ্ট কর্মী ছিলেন। সৈয়দ কুতুব উদ্দিনের ভাই সৈয়দ আলাউদ্দিন একজন সমাজকর্মী ছিলেন। সৈয়দ কুতুব উদ্দিনের বড় ভাই মাহতাব উদ্দিনের কন্যা কাউখালী নিবাসী যুগ্ম সচিব সিরাজ উদ্দীনের স্ত্রী ছিলেন। তিনি জেলার মুসলিম মহিলাদের মধ্যে তৃতীয় গ্র্যাজুয়েট।
মাজার
এখানে মীর কুতুব শাহর মাজার রয়েছে। কথিত রয়েছে যে, স্বপ্নে নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে দিল্লী থেকে তিনি দক্ষিণাঞ্চলের উদচড়া নামক স্থানে অবস্থান করে ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। আবার কারো মতে তিনি মুলাদীর তেরচরে নদীভাঙ্গন দেখা দিলে সেখান থেকে এখানে আসেন। এই সাধু পুরুষের মাজার নলচিড়ায় অবস্থিত।
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০