"দ্বাদশ শিবমন্দির, শোলক, উজিরপুর"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("দক্ষিণ বঙ্গের প্রাচীন বাঙ্গরোড়া নামের অঞ্চলটি অর্থাৎ গ..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
দক্ষিণ বঙ্গের প্রাচীন বাঙ্গরোড়া নামের অঞ্চলটি অর্থাৎ গৌরনদীর গৈলা, ফুল্লশ্রী, বাটাজোড়, মাহিলারা এবং শোলক নামের গ্রামগুলির সমন্বয়ে গঠিত ছিলো বলে অনেক ঐতিহাসিকের মত। জমিদার হিসেবে এ অঞ্চলের শোলকের মজুদার পরিবার বিখ্যাত। এই পবিরারের আদি পুরুষ রাম সেন নবাবের অধীনে সৈনিক হিসেবে বর্গি দমনে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করে সুন্দরবন এলাকায় জমিদারী লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে তারা বরিশালের বুখাইনগর এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। শোলকের মজুদার পরিবারের আদি পুরুষ রাম সেনের পুত্র রাম গোবিন্দ নবাবদের নিকট থেকে রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন এবং মলুয়ারাজ নামের নবাবের এক তহসীলদারের সহায়তায় শোলকে আগমণ করেন। শোলকে আগমণ করার পর রাজা রামগোবিন্দের প্রপৌত্র ভবানীশঙ্কর এই স্থানে এই দ্বাদশ শিবমন্দির নির্মাণ করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে বাংলা সাহিত্য সমালোচনায় জীবিত কিংবদন্তী জহর সেনমজুমদার এই পরিবারের অধস্তন পুরুষ।  
 
দক্ষিণ বঙ্গের প্রাচীন বাঙ্গরোড়া নামের অঞ্চলটি অর্থাৎ গৌরনদীর গৈলা, ফুল্লশ্রী, বাটাজোড়, মাহিলারা এবং শোলক নামের গ্রামগুলির সমন্বয়ে গঠিত ছিলো বলে অনেক ঐতিহাসিকের মত। জমিদার হিসেবে এ অঞ্চলের শোলকের মজুদার পরিবার বিখ্যাত। এই পবিরারের আদি পুরুষ রাম সেন নবাবের অধীনে সৈনিক হিসেবে বর্গি দমনে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করে সুন্দরবন এলাকায় জমিদারী লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে তারা বরিশালের বুখাইনগর এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। শোলকের মজুদার পরিবারের আদি পুরুষ রাম সেনের পুত্র রাম গোবিন্দ নবাবদের নিকট থেকে রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন এবং মলুয়ারাজ নামের নবাবের এক তহসীলদারের সহায়তায় শোলকে আগমণ করেন। শোলকে আগমণ করার পর রাজা রামগোবিন্দের প্রপৌত্র ভবানীশঙ্কর এই স্থানে এই দ্বাদশ শিবমন্দির নির্মাণ করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে বাংলা সাহিত্য সমালোচনায় জীবিত কিংবদন্তী জহর সেনমজুমদার এই পরিবারের অধস্তন পুরুষ।  
 
   
 
   
দ্বাদশ শবিমন্দরি, শোলক, উজরিপুর
+
[[চিত্র:Image 26.jpg]]
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।

১৩:২৩, ২৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

দক্ষিণ বঙ্গের প্রাচীন বাঙ্গরোড়া নামের অঞ্চলটি অর্থাৎ গৌরনদীর গৈলা, ফুল্লশ্রী, বাটাজোড়, মাহিলারা এবং শোলক নামের গ্রামগুলির সমন্বয়ে গঠিত ছিলো বলে অনেক ঐতিহাসিকের মত। জমিদার হিসেবে এ অঞ্চলের শোলকের মজুদার পরিবার বিখ্যাত। এই পবিরারের আদি পুরুষ রাম সেন নবাবের অধীনে সৈনিক হিসেবে বর্গি দমনে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করে সুন্দরবন এলাকায় জমিদারী লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে তারা বরিশালের বুখাইনগর এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। শোলকের মজুদার পরিবারের আদি পুরুষ রাম সেনের পুত্র রাম গোবিন্দ নবাবদের নিকট থেকে রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন এবং মলুয়ারাজ নামের নবাবের এক তহসীলদারের সহায়তায় শোলকে আগমণ করেন। শোলকে আগমণ করার পর রাজা রামগোবিন্দের প্রপৌত্র ভবানীশঙ্কর এই স্থানে এই দ্বাদশ শিবমন্দির নির্মাণ করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে বাংলা সাহিত্য সমালোচনায় জীবিত কিংবদন্তী জহর সেনমজুমদার এই পরিবারের অধস্তন পুরুষ।

Image 26.jpg


তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।