দেলোয়ার হোসেন বীরপ্রতীক, লে. কর্নেল

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:০৩, ২৯ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত সংস্করণে

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

লে. কর্ণেল ও বীরপ্রতীক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। গ্রাম: গোপালপুর, উপজেলা রাজাপুর। জন্ম: ১ এপ্রিল ১৯৪৫। পিতা: আলহাজ্জ সেকান্দার আলী। জনাব দেলোয়ার হোসেন রাজাপুর থানার গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজাপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে ৪১ লং কোর্সে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুলে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত হন। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে তিনি ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমরের সাথে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসেন। পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে ৬ নম্বর সেক্টরের দিনাজপুর সাবসেক্টর কমাণ্ডার হিসেবে মুক্তিবাহিনীতে যোগদেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতাপূর্ণ কৃতিত্ব প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক খেতাব প্রদান করে এবং তাকে দুই বছরের ভূতপূর্ব জ্যেষ্ঠতা প্রদান করে। এই জ্যেষ্ঠতায় তিনি স্বাধীনতার পরপরই মেজর পদে উন্নীত হন এবং ১৯৭৫ সালে লে. কর্ণেল পদে উন্নীত হন। লে. কর্ণেল পদে চাকুরীরত অবস্থায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নৃশংসভাবে নিহত হলে উক্ত হত্যা মামলায় সামরিক আদালতের বিতর্কিত বিচারের মাধ্যমে জনাব দেলোয়ার হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তাঁর স্ত্রী জনাব নূরজাহান দেলোয়ার মাননীয় প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের বোন। তাঁদের তিন কন্যা। প্রথম কন্যা তাসমিয়া দেলাওয়ার (নিম্মি) ২৪ তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত কর কর্মকর্তা। দ্বিতীয় কন্যা শাফিনাজ দেলাওয়ার (বিন্নি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএসএস অনার্স এমএসএস। পরবর্তীতে আইটিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে অস্ট্রেলিয়ায় বিজনেস এনালিস্ট। তৃতীয় কন্যা তাহলিল দেলাওয়ার (মুন) বুয়েট থেকে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে ২৮তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।


তথ্যউৎস : শ্যামল চন্দ্র সরকার লিখিত গ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধে ঝালকাঠি’ ও জনাব নূরজাহান দেলাওয়ারের সাক্ষাৎকার