"দাল সিং-এর দীঘি, নলছিটি"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
ব্রিটিশ শাসনামলে চন্দ্রদ্বীপ পরগনার নিলাম হওয়ার পর অন্যতম ক্রেতা হিসেবে দাল সিং-এর পরিচয় ছিলো ব্যাপক। বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের জমিদার সম্প্রদায়ের মধ্যে নলছিটির এলাকার জমিদার দাল সিং তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এই পরিবার উল্লেখযোগ্য। স্থান, কাল এবং পাত্রের বিচারে বরিশালের অত্যন্ত জনপ্রিয় আসমান সিং-এর পালা নামের লোকনাট্য এই পরিবারকে কেন্দ্র করে রচিত। বরিশালের জিলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং বরিশালের ইতিহাস রচয়িতা এইচ. বেভারেজের রচনাতেও সেই প্রকার ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। এই অঞ্চলে প্রচলিত করুণ রসসিক্ত এই লোকগীতিতে আসমান সিং, তার স্ত্রী দূর্গা এবং খোদা নেওয়াজ খানের প্রেমকাহিনী বর্ণিত হয়েছে। একসময়ে এই পরিবারের প্রবল প্রতাপ থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে দাল সিং-এর পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রানীর হাট নামের একটি হাট, ধ্বংসপ্রাপ্ত বসতবাড়ি এবং একটি দীঘি ব্যাতিরেকে কিছুই পরিলক্ষিত হয় না। তারপরেও বৃহত্তর বরিশালের লোককাহিনীসমূহের অন্যতম আসমান নিং-এর পালা দাল সিং পরিবারকে অমর করে রেখেছে।
 
ব্রিটিশ শাসনামলে চন্দ্রদ্বীপ পরগনার নিলাম হওয়ার পর অন্যতম ক্রেতা হিসেবে দাল সিং-এর পরিচয় ছিলো ব্যাপক। বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের জমিদার সম্প্রদায়ের মধ্যে নলছিটির এলাকার জমিদার দাল সিং তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এই পরিবার উল্লেখযোগ্য। স্থান, কাল এবং পাত্রের বিচারে বরিশালের অত্যন্ত জনপ্রিয় আসমান সিং-এর পালা নামের লোকনাট্য এই পরিবারকে কেন্দ্র করে রচিত। বরিশালের জিলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং বরিশালের ইতিহাস রচয়িতা এইচ. বেভারেজের রচনাতেও সেই প্রকার ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। এই অঞ্চলে প্রচলিত করুণ রসসিক্ত এই লোকগীতিতে আসমান সিং, তার স্ত্রী দূর্গা এবং খোদা নেওয়াজ খানের প্রেমকাহিনী বর্ণিত হয়েছে। একসময়ে এই পরিবারের প্রবল প্রতাপ থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে দাল সিং-এর পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রানীর হাট নামের একটি হাট, ধ্বংসপ্রাপ্ত বসতবাড়ি এবং একটি দীঘি ব্যাতিরেকে কিছুই পরিলক্ষিত হয় না। তারপরেও বৃহত্তর বরিশালের লোককাহিনীসমূহের অন্যতম আসমান নিং-এর পালা দাল সিং পরিবারকে অমর করে রেখেছে।
 
   
 
   
 
+
[[চিত্র:Image 23.jpg]]
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।

১৩:২৭, ২৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

ব্রিটিশ শাসনামলে চন্দ্রদ্বীপ পরগনার নিলাম হওয়ার পর অন্যতম ক্রেতা হিসেবে দাল সিং-এর পরিচয় ছিলো ব্যাপক। বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের জমিদার সম্প্রদায়ের মধ্যে নলছিটির এলাকার জমিদার দাল সিং তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এই পরিবার উল্লেখযোগ্য। স্থান, কাল এবং পাত্রের বিচারে বরিশালের অত্যন্ত জনপ্রিয় আসমান সিং-এর পালা নামের লোকনাট্য এই পরিবারকে কেন্দ্র করে রচিত। বরিশালের জিলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং বরিশালের ইতিহাস রচয়িতা এইচ. বেভারেজের রচনাতেও সেই প্রকার ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। এই অঞ্চলে প্রচলিত করুণ রসসিক্ত এই লোকগীতিতে আসমান সিং, তার স্ত্রী দূর্গা এবং খোদা নেওয়াজ খানের প্রেমকাহিনী বর্ণিত হয়েছে। একসময়ে এই পরিবারের প্রবল প্রতাপ থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে দাল সিং-এর পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রানীর হাট নামের একটি হাট, ধ্বংসপ্রাপ্ত বসতবাড়ি এবং একটি দীঘি ব্যাতিরেকে কিছুই পরিলক্ষিত হয় না। তারপরেও বৃহত্তর বরিশালের লোককাহিনীসমূহের অন্যতম আসমান নিং-এর পালা দাল সিং পরিবারকে অমর করে রেখেছে।

Image 23.jpg


তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।