জ্যোতির্ময় গুপ্ত

Barisalpedia থেকে

চক্ষূবিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট বিপ্লবী কমুনিস্ট নেতা জ্যোতির্ময় গুপ্তের জন্ম ২৩ আগস্ট ১৯২৩। পৈতৃক নিবাস আগৈলঝাড়ার গৈলা গ্রামে। পিতা ডা. দেবীপ্রসন্ন। জ্যোতির্ময় গুপ্তের মৃত্যু ১৫ জানুয়ারি ১৯৯৪।

জ্যোতির্ময় কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেন। বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে পার্টি-পরিচালিত দমদম বসিরহাট উত্থানের একজন প্রথম সারির নেতা। বসিরহাটের থানা দখল করে ট্রেজারি অভিযানে ব্যর্থ হয়ে তিনি খুলনা চলে যান, পরে কলকাতায় ফেরেন। দলের নির্দেশে কিছু কর্মীর সঙ্গে আসামে গিয়ে স্থানীয় পুলিশবাহিনরি সঙ্গে গেরিলা যুদ্ধ করে বহু অঞ্চল মুক্ত করেছিলেন। ফলে সেখানে ‘রবিন হুড’ আখ্যা পান। একবার ধরা পড়ে জেলে যান। সেখান থেকে গারদ কেটে পালিয়ে এসে সংগ্রামে ব্রতী হন। এবার সামরিকবাহিনীর তৎপরতায় ধরা পড়ে অসম বিচারলয়ের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হন। দমদম-বসিরহাট মামলায়ও তিনি আসামি ছিলেন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তৎপরতায় অসম জেল থেকে কলকাতার আলিপুর জেলে তাঁকে পাঠানো হয়। এখান থেকে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যেতে চাইলে সরকার তাঁকে মুক্তি দেন। লন্ডন থেকে চক্ষু-বিশেষজ্ঞ হয়ে ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে আসেন। লন্ডন কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য হয়েছিলেন। দেশে ফিরে সি.পি.আই.- এ যোগ দেন। শেষজীবনে এই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছিলেন। ‘সপ্তাহ’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘কম্পাস’ পত্রিকায় তিনি ‘দমদম- বসিরহাট’ নাম দিয়ে ধারাবাহিকভাবে আর.সিপি.আই. অভিযান সম্পর্কিত তথ্য লেখেন।


তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান।