"ছবি খার/ সাবিহ খানের হুজরাখানা"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাসে সাবিহ খান, বিকৃত বানানে ছবি খা এক বিশিষ্ট চরিত্র। সাবিহ খানকে পঞ্চদশ শতকের সুলতান দাউদ খানের সমসাময়িক বলে  কোনো কোনো গবেষক ধারনা করে থাকেন। আবার স্থানীয় ইতিহাস রচয়িতাদের কেউ কেউ মনে করেন যে, তিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে এই অঞ্চলে আগমন করেন। রহস্যময় এই ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্ব গৈলা-ফুল্লশ্রী অঞ্চলে বসবাস করতেন। বরিশালের দক্ষিণাঞ্চলে সাবিহ খাঁন নির্মিত অজস্র জাঙ্গাল বা রাস্তার কথা জানা যায়। কোটালীপাড়া, গৌরনদী এবং গৈলা অঞ্চলে তিনি বেশ কয়েকটি মসজিদ নির্মান এবং দীঘি খনন করেন। কথিত রয়েছে যে, নবারের অর্থানুকুল্যে সাবিহ খাঁন বাকলা অঞ্চলে বিভিন্ন জনহিতকর কার্য সম্পাদন করায়, নবাবের পরিবর্তে তার সুনাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই অবস্থায় ঈর্ষাজনিত কারণে নবাব সাবিহ খাঁনকে বন্দি করার আদেশ দান করেন। পরবর্তী সময়ে নবাব তার ভুল বুঝতে পারায় সাবিহ খাঁন সসম্মানে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তিলাভ করার পর তিনি গৌরনদীর বাটাজোরের সন্নিকট বংকুরা গ্রামে তিনি তাঁর নির্মিত এই  হুজরাখানায় এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
+
বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাসে সাবিহ খান (বিকৃত বানানে ছবি খা) এক বিশিষ্ট চরিত্র। সাবিহ খানকে পঞ্চদশ শতকের সুলতান দাউদ খানের সমসাময়িক বলে  কোনো কোনো গবেষক ধারনা করে থাকেন। আবার স্থানীয় ইতিহাস রচয়িতাদের কেউ কেউ মনে করেন যে, তিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে এই অঞ্চলে আগমন করেন। রহস্যময় এই ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্ব গৈলা-ফুল্লশ্রী অঞ্চলে বসবাস করতেন। বরিশালের দক্ষিণাঞ্চলে সাবিহ খাঁন নির্মিত অজস্র জাঙ্গাল বা রাস্তার কথা জানা যায়। কোটালীপাড়া, গৌরনদী এবং গৈলা অঞ্চলে তিনি বেশ কয়েকটি মসজিদ নির্মান এবং দীঘি খনন করেন। কথিত রয়েছে যে, নবারের অর্থানুকুল্যে সাবিহ খাঁন বাকলা অঞ্চলে বিভিন্ন জনহিতকর কার্য সম্পাদন করায়, নবাবের পরিবর্তে তার সুনাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই অবস্থায় ঈর্ষাজনিত কারণে নবাব সাবিহ খাঁনকে বন্দি করার আদেশ দান করেন। পরবর্তী সময়ে নবাব তার ভুল বুঝতে পারায় সাবিহ খাঁন সসম্মানে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তিলাভ করার পর তিনি গৌরনদীর বাটাজোরের সন্নিকট বংকুরা গ্রামে তিনি তাঁর নির্মিত এই  হুজরাখানায় এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
  
 
[[চিত্র:Image 18.jpg]]   
 
[[চিত্র:Image 18.jpg]]   
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।
 
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।

০২:২৮, ২৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাসে সাবিহ খান (বিকৃত বানানে ছবি খা) এক বিশিষ্ট চরিত্র। সাবিহ খানকে পঞ্চদশ শতকের সুলতান দাউদ খানের সমসাময়িক বলে কোনো কোনো গবেষক ধারনা করে থাকেন। আবার স্থানীয় ইতিহাস রচয়িতাদের কেউ কেউ মনে করেন যে, তিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে এই অঞ্চলে আগমন করেন। রহস্যময় এই ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্ব গৈলা-ফুল্লশ্রী অঞ্চলে বসবাস করতেন। বরিশালের দক্ষিণাঞ্চলে সাবিহ খাঁন নির্মিত অজস্র জাঙ্গাল বা রাস্তার কথা জানা যায়। কোটালীপাড়া, গৌরনদী এবং গৈলা অঞ্চলে তিনি বেশ কয়েকটি মসজিদ নির্মান এবং দীঘি খনন করেন। কথিত রয়েছে যে, নবারের অর্থানুকুল্যে সাবিহ খাঁন বাকলা অঞ্চলে বিভিন্ন জনহিতকর কার্য সম্পাদন করায়, নবাবের পরিবর্তে তার সুনাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই অবস্থায় ঈর্ষাজনিত কারণে নবাব সাবিহ খাঁনকে বন্দি করার আদেশ দান করেন। পরবর্তী সময়ে নবাব তার ভুল বুঝতে পারায় সাবিহ খাঁন সসম্মানে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তিলাভ করার পর তিনি গৌরনদীর বাটাজোরের সন্নিকট বংকুরা গ্রামে তিনি তাঁর নির্মিত এই হুজরাখানায় এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

Image 18.jpg


তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।