গৌরনদীর যুদ্ধ, ১৯৭১

Barisalpedia থেকে

কোটালীপাড়ার হেমায়েত উদ্দীন গৌরনদী অঞ্চলে কয়েকটি আক্রমণ পরিচালনা করে অনেক পাকসেনা হত্যা করেন। তিনি গৌরনদী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল মুক্ত রাখেন। এ সময় হোসেন মিলিটারি তার দল নিয়ে দালাল, রাজাকার ও পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন। গৌরনদী থানার দায়িত্বে ছিলেন হোসনাবাদের নিজামউদ্দীন এবং সহধিনায়ক ছিলেন মুলাদীর কুতুবউদ্দীন। ভারতে ট্রেনিং নিয়ে নিজাম উদ্দীন ও কুতুবউদ্দীন গৌরনদী থানার নলচিড়া ও হোসনাবাদে ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরামর্শদাতা ছিলেন আবদুর রহমান ও এডভোকেট কেশব দাস। নিজাম উদ্দীনের জন্ম হোসনাবাদ গ্রামে। তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে নিজামউদ্দীন গৌরনদী থানা আক্রমণ করেন। এ যুদ্ধে বসাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ সিকদার বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। ২৮ নভেম্বর নিজামউদ্দীনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কসবার পাক-বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করেন। এ যুদ্ধে রাজিহারের আবদুল হক, কাসেমাবাদের আবুল বাসার খান, কালনার আবদুস ছত্তার প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তাঁরা ভারতে ট্রেনিং নিয়ে মাতৃভূমি স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর নিজামউদ্দীন হোসনাবাদে নিজ নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি গৌরনদী বন্দরে আততায়ীর হাতে নিহত হন।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫।