"গৈলা"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("ঐতিহাসিকভাবে গৈলা বৃহত্তর বরিশালের সর্বোচ্চ শিক্ষিত ও স..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
ঐতিহাসিকভাবে গৈলা বৃহত্তর বরিশালের সর্বোচ্চ শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান গ্রাম। এটি বর্তমান আগৈলঝাড়া উপজেলা এবং তৎকালীন গৌরনদী থানার অন্তর্গত। শিক্ষাক্ষেত্রে বরিশাল শহরের পরে গৈলার স্থান ছিল।  
 
ঐতিহাসিকভাবে গৈলা বৃহত্তর বরিশালের সর্বোচ্চ শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান গ্রাম। এটি বর্তমান আগৈলঝাড়া উপজেলা এবং তৎকালীন গৌরনদী থানার অন্তর্গত। শিক্ষাক্ষেত্রে বরিশাল শহরের পরে গৈলার স্থান ছিল।  
  
প্রাচীনকাল হতে গৈলা পণ্ডিতনগর বলে খ্যাত ছিল। গৈলার বিজয় গুপ্ত, ত্রিলোচন দাশ, জানকী নাথ, সুখদেব সেন কবিরাজ, কাশীনাথ সেন, রামভন্দ্র সেন, মদন মোহন দাশ কবীন্দ্র, রাধা মোহন তর্ক ভ‚ষণ, রামচন্দ্র গুপ্ত প্রমুখ পণ্ডিত বিশ্বব্যাপী বরিশালের মুখোজ্জ্বল করেছেন। গৈলার অধিকাংশ অধিবাসী বৈদ্য বলে আয়ুর্বেদ বা কবিরাজী শাস্ত্রে উন্নত ছিল। দুহি, সেন, ভবদাশ ও ত্রিলোচন দাশের বংশ সুখ্যাতির সাথে কবিরাজী ব্যবসা করে এসেছে এবং তাদের মেেধ্য অনেক বিখ্যাত আয়ুর্বেদ পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছে। প্রসিদ্ধ মদন মোহন কবীন্দ্র মহাশয়ের নিকট দেশ-বিদেশ হতে অনেক ছাত্র শিক্ষা লাভ করে বিখ্যাত কবিরাজ হয়েছে। ১৮৯৫ খৃৃস্টাব্দে পর্যন্ত গৈলা ফুল্লশ্রী গ্রামে ৫ জন এমএ, ১৯ জন গ্র্যাজুয়েট ও একজন ডাক্তার ও একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিল। গৈলার চন্দ্র কুমার দাশ জেলার প্রথম গ্যাজুয়েট। এ গ্রামের মধুসূদন সেন জেলার প্রথম ইঞ্জিনিয়ার। তিনি শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হতে পাস করেন। ১৮৯৩ খৃৃস্টাব্দে গৈলা উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯৫ খৃৃস্টাব্দে পর্যন্ত জেলার মোট ডিগ্রীধারীদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ গৈলা গ্রামের ছিল।
+
প্রাচীনকাল হতে গৈলা পণ্ডিতনগর বলে খ্যাত ছিল। গৈলার বিজয় গুপ্ত, ত্রিলোচন দাশ, জানকী নাথ, সুখদেব সেন কবিরাজ, কাশীনাথ সেন, রামভন্দ্র সেন, মদন মোহন দাশ কবীন্দ্র, রাধা মোহন তর্ক ভ‚ষণ, রামচন্দ্র গুপ্ত প্রমুখ পণ্ডিত বিশ্বব্যাপী বরিশালের মুখোজ্জ্বল করেছেন। গৈলার অধিকাংশ অধিবাসী বৈদ্য বলে আয়ুর্বেদ বা কবিরাজী শাস্ত্রে উন্নত ছিল। দুহি, সেন, ভবদাশ ও ত্রিলোচন দাশের বংশ সুখ্যাতির সাথে কবিরাজী ব্যবসা করে এসেছে এবং তাদের মেেধ্য অনেক বিখ্যাত আয়ুর্বেদ পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছে। প্রসিদ্ধ মদন মোহন কবীন্দ্র মহাশয়ের নিকট দেশ-বিদেশ হতে অনেক ছাত্র শিক্ষা লাভ করে বিখ্যাত কবিরাজ হয়েছে। পণ্ডিতনগর গৈলা-ফুল্লশীর ঐতিহ্য ইংরেজ আমলেও বিদ্যমান ছিল। এ গ্রামের পণ্ডিত নামচরণ শিরোরত্ন, নবীন চন্দ্র কর্মকার, আনন্দ চন্দ্র সেন, অন্নদা চরণ সেন প্রমুখ গ্রন্থকার বলে পরিচিত ছিলেন। ১৮৯৫ খৃৃস্টাব্দে পর্যন্ত গৈলা ফুল্লশ্রী গ্রামে ৫ জন এমএ, ১৯ জন গ্র্যাজুয়েট ও একজন ডাক্তার ও একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিল। গৈলার চন্দ্র কুমার দাশ জেলার প্রথম গ্যাজুয়েট। এ গ্রামের মধুসূদন সেন জেলার প্রথম ইঞ্জিনিয়ার। তিনি শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হতে পাস করেন। ১৮৯৩ খৃৃস্টাব্দে গৈলা উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯৫ খৃৃস্টাব্দে পর্যন্ত জেলার মোট ডিগ্রীধারীদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ গৈলা গ্রামের ছিল।
  
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।
 
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।

১১:২২, ৩ মে ২০২০ তারিখের সংস্করণ

ঐতিহাসিকভাবে গৈলা বৃহত্তর বরিশালের সর্বোচ্চ শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান গ্রাম। এটি বর্তমান আগৈলঝাড়া উপজেলা এবং তৎকালীন গৌরনদী থানার অন্তর্গত। শিক্ষাক্ষেত্রে বরিশাল শহরের পরে গৈলার স্থান ছিল।

প্রাচীনকাল হতে গৈলা পণ্ডিতনগর বলে খ্যাত ছিল। গৈলার বিজয় গুপ্ত, ত্রিলোচন দাশ, জানকী নাথ, সুখদেব সেন কবিরাজ, কাশীনাথ সেন, রামভন্দ্র সেন, মদন মোহন দাশ কবীন্দ্র, রাধা মোহন তর্ক ভ‚ষণ, রামচন্দ্র গুপ্ত প্রমুখ পণ্ডিত বিশ্বব্যাপী বরিশালের মুখোজ্জ্বল করেছেন। গৈলার অধিকাংশ অধিবাসী বৈদ্য বলে আয়ুর্বেদ বা কবিরাজী শাস্ত্রে উন্নত ছিল। দুহি, সেন, ভবদাশ ও ত্রিলোচন দাশের বংশ সুখ্যাতির সাথে কবিরাজী ব্যবসা করে এসেছে এবং তাদের মেেধ্য অনেক বিখ্যাত আয়ুর্বেদ পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছে। প্রসিদ্ধ মদন মোহন কবীন্দ্র মহাশয়ের নিকট দেশ-বিদেশ হতে অনেক ছাত্র শিক্ষা লাভ করে বিখ্যাত কবিরাজ হয়েছে। পণ্ডিতনগর গৈলা-ফুল্লশীর ঐতিহ্য ইংরেজ আমলেও বিদ্যমান ছিল। এ গ্রামের পণ্ডিত নামচরণ শিরোরত্ন, নবীন চন্দ্র কর্মকার, আনন্দ চন্দ্র সেন, অন্নদা চরণ সেন প্রমুখ গ্রন্থকার বলে পরিচিত ছিলেন। ১৮৯৫ খৃৃস্টাব্দে পর্যন্ত গৈলা ফুল্লশ্রী গ্রামে ৫ জন এমএ, ১৯ জন গ্র্যাজুয়েট ও একজন ডাক্তার ও একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিল। গৈলার চন্দ্র কুমার দাশ জেলার প্রথম গ্যাজুয়েট। এ গ্রামের মধুসূদন সেন জেলার প্রথম ইঞ্জিনিয়ার। তিনি শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হতে পাস করেন। ১৮৯৩ খৃৃস্টাব্দে গৈলা উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯৫ খৃৃস্টাব্দে পর্যন্ত জেলার মোট ডিগ্রীধারীদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ গৈলা গ্রামের ছিল।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।