"খানবাড়ি মসজিদ, আংগারিয়া, রাজাপুর"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
("রাজাপুরের আঙ্গারিয়া গ্রামের আসমত আলি খান সাহেবের বাড়ি..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
|||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
রাজাপুরের আঙ্গারিয়া গ্রামের আসমত আলি খান সাহেবের বাড়িতে নিজ গালুয়ার মিয়াবাড়ির মসজিদের মতো আকৃতিতে সাযুজ্য থাকা তিনটি মসজিদের অবস্থান রয়েছে। এই মসজিদ তিনটিকে নিয়েও জনশ্র“তি রয়েছে। বলা হয়ে হয়ে থাকে যে এই মসজিদসমূহের বড়োটি আল্লার, মধ্যমটি হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর এবং ছোটটি হয়রত আলীর উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই জনশ্র“তি অনেকটা শিয়া ধর্মমতের প্রভাবযুক্ত। জনৈক কেশর সিং বা কেশওয়ার সিং এই মসজিদটির নির্মাতা। এই অঞ্চলে এই ধরনের নাম একেবারে পরিলক্ষিত হয় না । বরং শিখ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এই প্রকার নামের প্রচলন অতি সাধারন। সেক্ষেত্রে অনুমান করা করা যায় যে মোগল আমলের শেষ দিকে অর্থাৎ এই অঞ্চলে মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের দমনের সময়কালে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে রাজাপুরের এই মসজিদসমূহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর মিশ্র ধর্মীয় অনুভুতিই হয়তো এই প্রকার স্থাপনায় বিশেষ ভুমিকা রেখেছিলো। | রাজাপুরের আঙ্গারিয়া গ্রামের আসমত আলি খান সাহেবের বাড়িতে নিজ গালুয়ার মিয়াবাড়ির মসজিদের মতো আকৃতিতে সাযুজ্য থাকা তিনটি মসজিদের অবস্থান রয়েছে। এই মসজিদ তিনটিকে নিয়েও জনশ্র“তি রয়েছে। বলা হয়ে হয়ে থাকে যে এই মসজিদসমূহের বড়োটি আল্লার, মধ্যমটি হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর এবং ছোটটি হয়রত আলীর উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই জনশ্র“তি অনেকটা শিয়া ধর্মমতের প্রভাবযুক্ত। জনৈক কেশর সিং বা কেশওয়ার সিং এই মসজিদটির নির্মাতা। এই অঞ্চলে এই ধরনের নাম একেবারে পরিলক্ষিত হয় না । বরং শিখ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এই প্রকার নামের প্রচলন অতি সাধারন। সেক্ষেত্রে অনুমান করা করা যায় যে মোগল আমলের শেষ দিকে অর্থাৎ এই অঞ্চলে মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের দমনের সময়কালে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে রাজাপুরের এই মসজিদসমূহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর মিশ্র ধর্মীয় অনুভুতিই হয়তো এই প্রকার স্থাপনায় বিশেষ ভুমিকা রেখেছিলো। | ||
− | + | [[চিত্র:Image 14.jpg]] | |
---- | ---- | ||
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২। | তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২। |
১৩:৩৬, ২৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ
রাজাপুরের আঙ্গারিয়া গ্রামের আসমত আলি খান সাহেবের বাড়িতে নিজ গালুয়ার মিয়াবাড়ির মসজিদের মতো আকৃতিতে সাযুজ্য থাকা তিনটি মসজিদের অবস্থান রয়েছে। এই মসজিদ তিনটিকে নিয়েও জনশ্র“তি রয়েছে। বলা হয়ে হয়ে থাকে যে এই মসজিদসমূহের বড়োটি আল্লার, মধ্যমটি হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর এবং ছোটটি হয়রত আলীর উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই জনশ্র“তি অনেকটা শিয়া ধর্মমতের প্রভাবযুক্ত। জনৈক কেশর সিং বা কেশওয়ার সিং এই মসজিদটির নির্মাতা। এই অঞ্চলে এই ধরনের নাম একেবারে পরিলক্ষিত হয় না । বরং শিখ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এই প্রকার নামের প্রচলন অতি সাধারন। সেক্ষেত্রে অনুমান করা করা যায় যে মোগল আমলের শেষ দিকে অর্থাৎ এই অঞ্চলে মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের দমনের সময়কালে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে রাজাপুরের এই মসজিদসমূহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর মিশ্র ধর্মীয় অনুভুতিই হয়তো এই প্রকার স্থাপনায় বিশেষ ভুমিকা রেখেছিলো।
তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।