কীর্তিপাশার সহমরণ বেদী

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১০:১২, ১২ জুন ২০১৮ পর্যন্ত সংস্করণে ("বলা হয় বরিশাল বিভাগে দুটি সহমরণ বেদী ঐতিহাসিকভাবে শনাক..." দিয়ে পাতা তৈরি)

বলা হয় বরিশাল বিভাগে দুটি সহমরণ বেদী ঐতিহাসিকভাবে শনাক্ত করা আছে যার একটি ঝালকাঠির কীর্তিপাশায় অপরটি বানারীপাড়ায়। কীর্তিপাশার বেদীটি পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ি থেকে বাজারের দিকে যাওয়ার পথে রাস্তার ডান পাশে অবস্থিত।

এই বেদীতে যিনি স্বামীর সাথে চিতায় আত্মাহুতি দিয়েছিলেন তাঁর নাম হরসুন্দরী দেবী। ১৮২৮ সালে তিনি তাঁর স্বামী কালী প্রসন্ন কুমারের মৃতদেহের সাথে সকলের নিষেধ সত্ত্বেও এবং জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মি. গ্যারেটের উপস্থিতিতে চিতায় আরোহণ করেছিলেন। ১৮৩৫ সালে বেন্টিঙ্ক সতীদাহ প্রথা আনি করে নিষিদ্ধ করেছিলেন। এই ঘটনা ঘটেছিল তার ৭ বছর আগে। মৃত্যুকালে কালী প্রসন্ন কুমারের বয়স ছিল ২২ এবং তাঁর স্ত্রী ছিল ষোড়শী। কালী প্রসন্ন কুমার ছিলেন কীর্তিপাশার জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণরামের নাতির ছেলে অর্থাৎ প্রপৌত্র। অপরদিকে কালীপ্রসন্ন কুমার ছিলেন রোহিণী কুমার সেনের দাদার বাবা অর্থাৎ পরদাদা। আর ড. তপন রায়চৌধুরী ছিলেন কালীকুমার তথা হরসুন্দরী দেবীর পঞ্চম অধস্তন পুরুষ।

তপন রায়চৌধুরী তাঁর ‘রোমন্থন’ গ্রন্থে তাঁর পঞ্চম ঊর্ধতন এই ঠাকুরমাকে নিয়ে তাঁর বংশের সকলের গৌরবের কথা অনেক শ্লেষের সাথে ব্যক্ত করেছেন।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।