কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১১:০০, ১১ এপ্রিল ২০১৬ পর্যন্ত সংস্করণে

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়.jpg

জন্ম ৮ মে ১৮৬১। মৃত্যু ৩ অক্টোবর ১৯২৩। আদি পৈত্রিক নিবাস চাঁদসী, গৌরনদী, বরিশাল। পিতা ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী ব্রজকিশোর বসু ছিলেন ভাগলপুর স্কুলের হেডমাস্টার। তাঁর এবং অভয়চরণ মল্লিকের নেতৃত্বে ভাগলপুরে নারীমুক্তি আন্দোলনের সূচনা এবং ১৮৬৩ খ্রি. ভারতের প্রথম মহিলা সমিতি স্থাপিত হয়। স্বামীÑস্বদেশসেবী ও স্ত্রীশিক্ষায় আগ্রহী দ্বারকানাথ। ভাগলপুরে জন্ম। স্কুলের পাঠ শুরু বালিগঞ্জের হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়ে(পরবর্তী বঙ্গমহিলা বিদ্যালয়)। ১৮৭৮খ্রি. বেথুন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। তিনিই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণা প্রথম ভারতীয় মহিলা। তাঁর জন্যই বেথুন স্কুলে এফ.এ. ক্লাস ও পরে বি.এ. ক্লাস খোলা হয়। ১৮৮৩ খ্রি. বেথুন কলেজ থেকে তিনি ও চন্দ্রমুখী বসু প্রথম ভারতীয় পরীক্ষার্থিনী হিসাবে বি.এ. পাশ করেন। ব্রিটিশ অধিকৃত দেশসমূহের মধ্যে এই দুজনই প্রথম মহিলা গ্রাজুয়েট। ১৮৮৩ খ্রি. বিবাহ হয়। কলকাতা মেডিকেল কলেজের তিনি প্রথম ছাত্রী। ১৮৮৪খ্রি. ভর্তি হলেন বটে, তবে অধ্যাপকদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তারই জের হিসাবে ১৮৮৮ খ্রি. মেডিকেল কলেজের শেষ পরীক্ষায় অন্য-সব বিষয়ে কৃতকার্য হলেও মেডিসিন-এ উত্তীর্ণ হতে পারলেন না। ফলে এম.বি. ডিগ্রি না পেলেও অধ্যক্ষ প্রদত্ত জি.বি.এম.সি(গ্র্যাজুয়েট অব বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ) উপাধি লাভ করেন। ১৮৯২ খ্রি. ইংল্যান্ড যান। পরের বছর এল.আর.সি.পি. (এডিনবরা), এফ.আর.সি.এস (গ্লাসগো) এবং ডি.এফ.এস. (ডাবলিন) উপাধি নিয়ে দেশে ফেরেন। কিছুদিন লেডি ডাফরিন হাসপাতালে চাকরি করার পর স্বাধীনভাবে চিকিৎসা ব্যবসায় শুরু করেন। মুম্বাই কংগ্রেস (১৮৮৯) নারী প্রতিনিধি দলের অন্যতমা ছিলেন। কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে (১৮৯০) ইংরেজিতে বক্তৃতা করেন। তিনিই কংগ্রেসের প্রথম নারী বক্তা। গান্ধীজীর সহকর্মী হেনরি পোলক প্রতিষ্ঠিত ট্রান্সভাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি, কলকাতায় অনুষ্ঠিত মহিলা সম্মেলনের (১৯০৭) উৎসাহী সদস্যা কর্মী এবং বিহার ও ওড়িশার নারী শ্রমিকদের অবস্থা তদন্ত কমিশনের (১৯২২)Ñ অন্যতম সদস্যা ছিলেন। সুবক্তা হিসাবেও খ্যাতিলাভ করেছিলেন। আটটি সন্তানের জননী হিসাবে সাংসারিক কাজকর্মতো করতেনই, নানারকম সূটিশিল্পের তাঁর দক্ষতা ছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামী জ্যোতির্ময়ী ও সাংবাদিক প্রভাতচন্দ্র তাঁর দুই সন্তান।


তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান।