কলসকাঠি জমিদার বাড়ি, বাকেরগঞ্জ

Barisalpedia থেকে

মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের নাম অনুসারে নবাব শায়েস্তা খাঁন চন্দ্রদ্বীপ-বাকলার একটি পরগনার নামকরন করেন। এই পরগনার জমিদার হিসেবে জানকী বল্লভের নাম এই অঞ্চলে বিখ্যাত। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে জমিদার রায়গোপাল চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র রাম গোবিন্দ তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা জানকী বল্লভকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অপপ্রয়াস গ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে সম্পত্তি হারানো জানকী বল্লভ ঢাকার জনৈক এতমাদ খাঁনের সাহচর্যে আসেন এবং তার সহায়তায় নবাব শায়েস্তা খাঁনের অনুগ্রহে, সম্রাট আওরঙ্গজেবের পাঞ্জাযুক্ত সনদ প্রাপ্ত হয়ে সতেরশ সালের প্রথম দিকে পৈত্রিক জমিদারীতে নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমর্থ হন। জানকী বল্লভ প্রথমাবস্থায় পৈত্রিক বসত-বাড়িতে অবস্থান করলেও পরবর্তী সময়ে কলসকাঠি গ্রামে বাসস্থান নির্মান করেন এবং সেখানে স্থানান্তরিত হন। কলসকাঠিতে আগমনের পর তিনি এই অঞ্চলে বিভিন্ন ইমারতসহ বেশ কয়েকটি মন্দির এবং বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সকল বিগ্রহের মধ্যে নীলমাধব নামের বিগ্রহ উল্লেখযোগ্য। এই বিগ্রহ জানকী বল্লভের পরিবারে কুলদেবতা হিসেবে পূজিত হওয়ার কথা জানা যায়। এই পরিবারের অন্যতম সদস্য বরদাকান্ত কলসকাঠিতে গণেশ পূজা উপলক্ষে মেলার আয়োজন করেন বলে জানা যায়। পরবর্তী সময়ে এই পরিবারের বিভিন্ন সদস্য কলসকাঠি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেন, যার উল্লেখযোগ্য অংশ এখন পর্যন্ত এই এলাকায় ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে বিরাজমান।

[[চিত্র: Image 8.jpg]]

কলসকাঠরি জমদিার বাড়ি, বাখরগঞ্জ


তথ্যসূত্র: সাইফুল আহসান বুলবুল। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। গতিধারা, ঢাকা। ২০১২।