"এনায়েত উল্লাহ খান"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("সাংবাদিক, লেখক ও প্রাক্তন মন্ত্রী এনায়েত উল্লাহ খান বরি..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
 
== কর্মজীবন ==
 
== কর্মজীবন ==
  
এনায়েত উল্লাহ খান বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছিলেন ঢাকা হল (বর্তমান শহীদুল্লাহ হল) ছাত্র সংসদের ভিপি। ওই সময় থেকেই তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন তদানীন্তন ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার-এ। ১৯৬৫ সালে তিনি সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং ১৯৬৬ সালে সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধেও তিনি পালন করেন প্রশংসনীয় ভূমিকা। ১৯৭৫-৭৭ সালে তিনি সরকারী মালিকানাধীন ইংরেজী ‘ডেইলি বাংলাদেশ টাইমস’-এরও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭-৭৮ সালে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত হন। ১৯৮৪ সালে নিযুক্ত হন চীন ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। পরবর্তীতে মায়ানমার ও কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইংরেজী দৈনিক নিউজ।
+
এনায়েত উল্লাহ খান বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছিলেন ঢাকা হল (বর্তমান শহীদুল্লাহ হল) ছাত্র সংসদের ভিপি। ওই সময় থেকেই তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন তদানীন্তন ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার-এ। ১৯৬৫ সালে তিনি সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং ১৯৬৬ সালে সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধেও তিনি পালন করেন প্রশংসনীয় ভূমিকা। ১৯৭৫-৭৭ সালে তিনি সরকারী মালিকানাধীন ইংরেজী ‘দি ডেইলি বাংলাদেশ টাইমস’-এরও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭-৭৮ সালে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত হন। ১৯৮৪ সালে নিযুক্ত হন চীন ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। পরবর্তীতে মায়ানমার ও কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইংরেজী দৈনিক নিউজ।
  
 
== কলামিস্ট পরিচয় ==
 
== কলামিস্ট পরিচয় ==

০৭:৫৩, ২৪ মে ২০১৬ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

সাংবাদিক, লেখক ও প্রাক্তন মন্ত্রী এনায়েত উল্লাহ খান বরিশালের অন্যতম কৃতী সন্তান বিচারপতি আব্দুল জব্বার খানের পুত্র। তাঁর জন্ম: ২৫ মে ১৯৩৯। মৃত্যু ১০ নভেম্বর ২০০৫। গ্রাম: বাহেরচর, বাবুগঞ্জ, বরিশাল।

কর্মজীবন

এনায়েত উল্লাহ খান বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছিলেন ঢাকা হল (বর্তমান শহীদুল্লাহ হল) ছাত্র সংসদের ভিপি। ওই সময় থেকেই তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন তদানীন্তন ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার-এ। ১৯৬৫ সালে তিনি সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং ১৯৬৬ সালে সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধেও তিনি পালন করেন প্রশংসনীয় ভূমিকা। ১৯৭৫-৭৭ সালে তিনি সরকারী মালিকানাধীন ইংরেজী ‘দি ডেইলি বাংলাদেশ টাইমস’-এরও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭-৭৮ সালে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত হন। ১৯৮৪ সালে নিযুক্ত হন চীন ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। পরবর্তীতে মায়ানমার ও কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইংরেজী দৈনিক নিউজ।

কলামিস্ট পরিচয়

এনায়েত উল্লাহ খানের বড় পরিচয় তিনি সাংবাদিক ও কলামিস্ট। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক অর্থে সাংবাদিকতায় তার অবদান রাখার সুযোগ খুব বেশি একটা ছিল না। তিনি ছিলেন ইংরেজী সাপ্তাহিক মতভাষ্য প্রধান পত্রিকা ‘হলিডে’-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ‘হলিডে’-র এনায়েত উল্লাহ খান হিসেবেই তাঁর পূর্বাপর খ্যাতি। টানা ৪৩ বছর ধরে সাংবাদিকতার মধ্য¯্রােতে থেকে এনায়েত উল্লাহ খান নিজেই হয়ে উঠেছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর লেখায় ছিল ভিক্টোরিয়া যুগের লালিত্য, এলিজাবেথান যুগের যৌক্তিকতা এবং হার্ভার্ড যুগের ধারালো যুক্তির মিশ্রণ। এ যেন ইংলিশ ফেবিয়ান ধারা এবং গথিক ভাবগাম্ভীর্য বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক আদর্শের সমন্বয়। বাংলাদেশের কোন পন্ডিত, বিজ্ঞজন, লেখক ইংরেজী ভাষা সাহিত্য ও কাব্য সম্পদের এমন প্রেমিক হতে পারে, এটা দেখে সাহেবরা পর্যন্ত অবাক হয়ে যেত। ঢাকায় যে কোন কূটনীতিকদের মজলিস যেন প্রাণ ফিরে পেত এনায়েত উল্লাহ খান পার্টিতে পা রাখা মাত্র। এক কথায় ইংরেজী সাংবাদিকতা এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এনায়েত উল্লাহ খান এনেছিলেন অভিজাত্য।

মৃত্যু

২০০৫ সালের ১০ নভেম্বর এই ক্ষুরধার কলামিস্ট মৃত্যু বরণ করেন।


তথ্যসূত্র: রুসেলি রহমান চৌধুরী। বরিশালের প্রয়াত গুণীজন। ইউনিভার্সিটি বুক পাবলিশার্স, ঢাকা। ২০০৬।