"ঈশ্বরচন্দ্র কর"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("ঈশ্বরচন্দ্র কর বরিশালের সংবাদপত্রের ইতিহাসে এক নমস্য ব্..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
ঈশ্বরচন্দ্র কর বরিশালের সংবাদপত্রের ইতিহাসে এক নমস্য ব্যক্তি। তিনি ১৮৭০ এর দশকে অন্তত তিনটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।  
 
ঈশ্বরচন্দ্র কর বরিশালের সংবাদপত্রের ইতিহাসে এক নমস্য ব্যক্তি। তিনি ১৮৭০ এর দশকে অন্তত তিনটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।  
  
ঈশ্বরচন্দ্র করের সম্পাদনায় ১৮৭০ সালে পাক্ষিক ‘বরিশাল বার্তাবহ’ আত্মপ্রকাশ করে। ঈশ্বরচন্দ্র কর ‘সত্য প্রকাশ যন্ত্রালয়’ এর প্রতিষ্ঠাতা। এটি বরিশাল শহরের প্রথম কিন্তু বরিশাল অঞ্চলের দ্বিতীয় মুদ্রণযন্ত্র। এটি প্রথমে কাঠপট্টিতে ছিল। প্রফুল্লকৃষ্ণ কর লিখেছেন যে সত্যপ্রকাশ যন্ত্রালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ঈশ্বরচন্দ্র্র কর তাঁর পিতৃদেব স্বর্গীয় চন্দ্রকান্ত কর এর জ্যেষ্ঠতাত।  প্রফুল্লকৃষ্ণ করের বর্ণনামতে তিনি অসাধারণ মেধাবী ছিলেন। মূলত তিনি বাংলানবীশ ছিলেন। ইংরেজি তিনি নিজেই অধ্যয়ন করতেন। কাউখালীর অপর পারে (পশ্চিম তীরে) আমরাজুরি সংলগ্ন (উত্তরে) দত্তের হাট গ্রামের জমিাদার দেবনাথ দত্ত মহাশয়ের তিনি ¯েœহধন্য ছিলেন। দেবনাথ দত্ত মহাশয় ঈশ্বরবাবুকে উৎসাহিত করে যশোহর পাঠান। সেখানে তার সম্বন্ধী হিজলবাড়ীর (সমুদয়কাঠী গ্রাম সংলগ্ন) জনৈক সমদ্দার মোক্তার ছিলেন। তাঁরই চেষ্টায় ঈশ্বরবাবু যশোহরের জেলা প্রশাসকের নিজস্ব মুন্সীপদের কাজ করার সুযোগ পান। এই সময় ‘অমৃত বাজার’ সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ঝিনাইদহের অদূরে অমৃতবাজার পল্লী থেকে আত্মপ্রকাশ করে। বিদ্যোৎসাহী  ও মেধাবী ঈশ্বরচন্দ্র কর আর স্থির থাকতে পারলেন না।  কলিকাতায় গিয়ে জেলার জমিদারের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহ করে একটি প্রেস নিয়ে বরিশাল শহরে স্থাপন করেন। ‘অমৃত বাজার’ পত্রিকার যাত্রা শুরু হয় ১৮৬৮ সালে। এছাড়াও ১৮৭১ সালে ঈশ্বরচন্দ্র কর এর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় পাক্ষিক ‘সত্য প্রকাশ’। ১৮৭৭ সালে অর্থাৎ বৈশাখ ১২৮৪ বাংলা সনে ঈশ্বরচন্দ্র কর এর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মাসিক পত্রিকা ‘সর্ব্বার্থদায়িনী’। এটির উপশিরোনাম ছিল  ‘প্রাচনী শা¯্র প্রকাশিনী মাসিক পত্রিকা ও সামালোচিকা’।  
+
ঈশ্বরচন্দ্র করের সম্পাদনায় ১৮৭০ সালে পাক্ষিক ‘বরিশাল বার্তাবহ’ আত্মপ্রকাশ করে। ঈশ্বরচন্দ্র কর ‘সত্য প্রকাশ যন্ত্রালয়’ এর প্রতিষ্ঠাতা। এটি বরিশাল শহরের প্রথম কিন্তু বরিশাল অঞ্চলের দ্বিতীয় মুদ্রণযন্ত্র। এটি প্রথমে কাঠপট্টিতে ছিল। প্রফুল্লকৃষ্ণ কর লিখেছেন যে সত্যপ্রকাশ যন্ত্রালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ঈশ্বরচন্দ্র্র কর তাঁর পিতৃদেব স্বর্গীয় চন্দ্রকান্ত কর এর জ্যেষ্ঠতাত।  প্রফুল্লকৃষ্ণ করের বর্ণনামতে তিনি অসাধারণ মেধাবী ছিলেন। মূলত তিনি বাংলানবীশ ছিলেন। ইংরেজি তিনি নিজেই অধ্যয়ন করতেন। কাউখালীর অপর পারে (পশ্চিম তীরে) আমরাজুরি সংলগ্ন (উত্তরে) দত্তের হাট গ্রামের জমিাদার দেবনাথ দত্ত মহাশয়ের তিনি ¯েœহধন্য ছিলেন। দেবনাথ দত্ত মহাশয় ঈশ্বরবাবুকে উৎসাহিত করে যশোহর পাঠান। সেখানে তার সম্বন্ধী হিজলবাড়ীর (সমুদয়কাঠী গ্রাম সংলগ্ন) জনৈক সমদ্দার মোক্তার ছিলেন। তাঁরই চেষ্টায় ঈশ্বরবাবু যশোহরের জেলা প্রশাসকের নিজস্ব মুন্সীপদের কাজ করার সুযোগ পান। এই সময় ‘অমৃত বাজার’ সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ঝিনাইদহের অদূরে অমৃতবাজার পল্লী থেকে আত্মপ্রকাশ করে। বিদ্যোৎসাহী  ও মেধাবী ঈশ্বরচন্দ্র কর আর স্থির থাকতে পারলেন না।  কলিকাতায় গিয়ে জেলার জমিদারের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহ করে একটি প্রেস নিয়ে বরিশাল শহরে স্থাপন করেন। ‘অমৃত বাজার’ পত্রিকার যাত্রা শুরু হয় ১৮৬৮ সালে। এছাড়াও ১৮৭১ সালে ঈশ্বরচন্দ্র কর এর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় পাক্ষিক ‘সত্য প্রকাশ’। ১৮৭৭ সালে অর্থাৎ বৈশাখ ১২৮৪ বাংলা সনে ঈশ্বরচন্দ্র কর এর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মাসিক পত্রিকা ‘সর্ব্বার্থদায়িনী’। এটির উপশিরোনাম ছিল  ‘প্রাচনী শাস্ত্র প্রকাশিনী মাসিক পত্রিকা ও সামালোচিকা’। ১৮৮২ সালে (আশ্বিন, ১২৮৯) সত্য প্রকাশ যন্ত্র থেকে প্রকাশিত হয় আরেকটি মাসিক পত্রিকা ‘আর্যরঞ্জন’। এই পত্রিকারও সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র কর।
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: তপংকর চক্রবর্তী। বরিশালের সংবাদ ও সাময়িকপত্র। বাংলা একাডেমি। ২০০১।
 
তথ্যসূত্র: তপংকর চক্রবর্তী। বরিশালের সংবাদ ও সাময়িকপত্র। বাংলা একাডেমি। ২০০১।

০২:১০, ১০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

ঈশ্বরচন্দ্র কর বরিশালের সংবাদপত্রের ইতিহাসে এক নমস্য ব্যক্তি। তিনি ১৮৭০ এর দশকে অন্তত তিনটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।

ঈশ্বরচন্দ্র করের সম্পাদনায় ১৮৭০ সালে পাক্ষিক ‘বরিশাল বার্তাবহ’ আত্মপ্রকাশ করে। ঈশ্বরচন্দ্র কর ‘সত্য প্রকাশ যন্ত্রালয়’ এর প্রতিষ্ঠাতা। এটি বরিশাল শহরের প্রথম কিন্তু বরিশাল অঞ্চলের দ্বিতীয় মুদ্রণযন্ত্র। এটি প্রথমে কাঠপট্টিতে ছিল। প্রফুল্লকৃষ্ণ কর লিখেছেন যে সত্যপ্রকাশ যন্ত্রালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ঈশ্বরচন্দ্র্র কর তাঁর পিতৃদেব স্বর্গীয় চন্দ্রকান্ত কর এর জ্যেষ্ঠতাত। প্রফুল্লকৃষ্ণ করের বর্ণনামতে তিনি অসাধারণ মেধাবী ছিলেন। মূলত তিনি বাংলানবীশ ছিলেন। ইংরেজি তিনি নিজেই অধ্যয়ন করতেন। কাউখালীর অপর পারে (পশ্চিম তীরে) আমরাজুরি সংলগ্ন (উত্তরে) দত্তের হাট গ্রামের জমিাদার দেবনাথ দত্ত মহাশয়ের তিনি ¯েœহধন্য ছিলেন। দেবনাথ দত্ত মহাশয় ঈশ্বরবাবুকে উৎসাহিত করে যশোহর পাঠান। সেখানে তার সম্বন্ধী হিজলবাড়ীর (সমুদয়কাঠী গ্রাম সংলগ্ন) জনৈক সমদ্দার মোক্তার ছিলেন। তাঁরই চেষ্টায় ঈশ্বরবাবু যশোহরের জেলা প্রশাসকের নিজস্ব মুন্সীপদের কাজ করার সুযোগ পান। এই সময় ‘অমৃত বাজার’ সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ঝিনাইদহের অদূরে অমৃতবাজার পল্লী থেকে আত্মপ্রকাশ করে। বিদ্যোৎসাহী ও মেধাবী ঈশ্বরচন্দ্র কর আর স্থির থাকতে পারলেন না। কলিকাতায় গিয়ে জেলার জমিদারের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহ করে একটি প্রেস নিয়ে বরিশাল শহরে স্থাপন করেন। ‘অমৃত বাজার’ পত্রিকার যাত্রা শুরু হয় ১৮৬৮ সালে। এছাড়াও ১৮৭১ সালে ঈশ্বরচন্দ্র কর এর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় পাক্ষিক ‘সত্য প্রকাশ’। ১৮৭৭ সালে অর্থাৎ বৈশাখ ১২৮৪ বাংলা সনে ঈশ্বরচন্দ্র কর এর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মাসিক পত্রিকা ‘সর্ব্বার্থদায়িনী’। এটির উপশিরোনাম ছিল ‘প্রাচনী শাস্ত্র প্রকাশিনী মাসিক পত্রিকা ও সামালোচিকা’। ১৮৮২ সালে (আশ্বিন, ১২৮৯) সত্য প্রকাশ যন্ত্র থেকে প্রকাশিত হয় আরেকটি মাসিক পত্রিকা ‘আর্যরঞ্জন’। এই পত্রিকারও সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র কর।


তথ্যসূত্র: তপংকর চক্রবর্তী। বরিশালের সংবাদ ও সাময়িকপত্র। বাংলা একাডেমি। ২০০১।