"ইসমাইল চৌধুরী"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ২টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
পূর্ণ নাম চৌধুরী মুহাম্মদ ইসমাইল খান। তিনি চরামদ্দির জমিদার আসমত আলী খানের পুত্র। তাঁদের পূর্ব পুরুষ ভারতের উড়িষ্যা অঞ্চল থেকে এসে এখানে জমিদারি ক্রয় করে স্থায়ী নিবাস গড়ে তুলেছিল। চৌধুরী মুহাম্মদ ইসমাইল খান ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ এবং ১৯২৩ থেকে ১৯২৮ মেয়াদে তিনি বরিশাল জেলা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। তিনি প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় আইনসভার সদস্য ছিলেন। তিনি বরিশালের মুসলমানদের শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। পিতার নামে তিনি বরিশালে আসমত আলী খান ইনস্টিটিউশন স্থাপন করেন। বেল ইসলামিয়া ছাত্রাবাস তাঁর অর্থ সহায়তায় গড়ে ওঠে। মুসলিম বালিকাদের শিক্ষার জন্য স্ত্রীর নামে তিনি স্থাপন করেছিলেন হালিমা খাতুন গার্লস স্কুল। অশ্বিনীকুমার টাউন হল নির্মাণে তিনি বড় অঙ্কের চাঁদা প্রদান করেছিলেন। সদর হাসপাতাল ভবন নির্মাণে তিনি একজন বড় দাতা ছিলেন। সদর রোডে অবন্থিত তাঁর বাড়িটি হালিমা মঞ্জিল নামে পরিচিত। তিনি আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। এই বাড়ির আপ্যায়ন ও এই বাড়ির লোকজনের মানব দরদী ও হিতৈষী আচরণ নিয়ে অনেক কথা ড. তপন রায়চৌধুরী তাঁর ‘বাঙালনামা’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। ভারতের অনেক বিখ্যাত নেতা তাঁর বাড়িতে অতিথি হয়েছেন। তিনি ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।  
+
পূর্ণ নাম চৌধুরী মুহাম্মদ ইসমাইল খান। তিনি চরামদ্দির জমিদার আসমত আলী খানের পুত্র। তাঁদের পূর্ব পুরুষ ভারতের উড়িষ্যা অঞ্চল থেকে এসে এখানে জমিদারি ক্রয় করে স্থায়ী নিবাস গড়ে তুলেছিল। চৌধুরী মুহাম্মদ ইসমাইল খান ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ এবং ১৯২৩ থেকে ১৯২৮ মেয়াদে তিনি বরিশাল জেলা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯০৮ থেকে ১৯১১ সাল মেয়াদে এবং ১৯১৩ থেকে ১৯২০ মেয়াদে পূর্ব বঙ্গ আসাম আইনসভার সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৬ মেয়াদে উড়িষ্যার কটক থেকে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় আইনসভার সদস্য ছিলেন। ১৯৪৬-৪৭ সালে তিনি বাকেরগঞ্জ-ফরিদপুর থেকে প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি বরিশালের মুসলমানদের শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। পিতার নামে তিনি ১৯১৩ সালে বরিশালে আসমত আলী খান ইনস্টিটিউশন স্থাপন করেন। ইসমাইল চৌধুরী তার মাতা ওয়াজেদুন নেসার নামে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জ থানার চরামদ্দিতে একটি উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার স্ত্রী হালিমা খাতুনের নামে মুসলমান মেয়েদের জন্য জুনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। গির্জা মহল্লায় অবস্থিত সুবিখ্যাত বেল ইসলামিয়া ছাত্রাবাস তাঁর অর্থ সহায়তায় গড়ে ওঠে। তার স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত জুনিয়র মাদ্রাসাটি বর্তমানে হালিমা খাতুন গার্লস হাইস্কুল স্কুল নামে বিদ্যমান রয়েছে। অশ্বিনীকুমার টাউন হল নির্মাণে তিনি বড় অঙ্কের চাঁদা প্রদান করেছিলেন। সদর হাসপাতাল ভবন নির্মাণে তিনি একজন বড় দাতা ছিলেন। সদর রোডে অবন্থিত তাঁর বাড়িটি হালিমা মঞ্জিল নামে পরিচিত। তিনি আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। এই বাড়ির আপ্যায়ন ও এই বাড়ির লোকজনের মানব দরদী ও হিতৈষী আচরণ নিয়ে অনেক কথা ড. তপন রায়চৌধুরী তাঁর ‘বাঙালনামা’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। ভারতের অনেক বিখ্যাত নেতা তাঁর বাড়িতে অতিথি হয়েছেন। তিনি ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।  
  
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।
 
তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।

০৯:৪৯, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

পূর্ণ নাম চৌধুরী মুহাম্মদ ইসমাইল খান। তিনি চরামদ্দির জমিদার আসমত আলী খানের পুত্র। তাঁদের পূর্ব পুরুষ ভারতের উড়িষ্যা অঞ্চল থেকে এসে এখানে জমিদারি ক্রয় করে স্থায়ী নিবাস গড়ে তুলেছিল। চৌধুরী মুহাম্মদ ইসমাইল খান ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ এবং ১৯২৩ থেকে ১৯২৮ মেয়াদে তিনি বরিশাল জেলা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯০৮ থেকে ১৯১১ সাল মেয়াদে এবং ১৯১৩ থেকে ১৯২০ মেয়াদে পূর্ব বঙ্গ ও আসাম আইনসভার সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৬ মেয়াদে উড়িষ্যার কটক থেকে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় আইনসভার সদস্য ছিলেন। ১৯৪৬-৪৭ সালে তিনি বাকেরগঞ্জ-ফরিদপুর থেকে প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি বরিশালের মুসলমানদের শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। পিতার নামে তিনি ১৯১৩ সালে বরিশালে আসমত আলী খান ইনস্টিটিউশন স্থাপন করেন। ইসমাইল চৌধুরী তার মাতা ওয়াজেদুন নেসার নামে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জ থানার চরামদ্দিতে একটি উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার স্ত্রী হালিমা খাতুনের নামে মুসলমান মেয়েদের জন্য জুনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। গির্জা মহল্লায় অবস্থিত সুবিখ্যাত বেল ইসলামিয়া ছাত্রাবাস তাঁর অর্থ সহায়তায় গড়ে ওঠে। তার স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত জুনিয়র মাদ্রাসাটি বর্তমানে হালিমা খাতুন গার্লস হাইস্কুল স্কুল নামে বিদ্যমান রয়েছে। অশ্বিনীকুমার টাউন হল নির্মাণে তিনি বড় অঙ্কের চাঁদা প্রদান করেছিলেন। সদর হাসপাতাল ভবন নির্মাণে তিনি একজন বড় দাতা ছিলেন। সদর রোডে অবন্থিত তাঁর বাড়িটি হালিমা মঞ্জিল নামে পরিচিত। তিনি আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। এই বাড়ির আপ্যায়ন ও এই বাড়ির লোকজনের মানব দরদী ও হিতৈষী আচরণ নিয়ে অনেক কথা ড. তপন রায়চৌধুরী তাঁর ‘বাঙালনামা’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। ভারতের অনেক বিখ্যাত নেতা তাঁর বাড়িতে অতিথি হয়েছেন। তিনি ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।



তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খণ্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।