"ইংরেজদের দখলে বাকেরগঞ্জ"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("আগাবাকের খান ও রাজা রাজবল্লভ বরিশাল বিভাগের ইতিহাসে এক ব..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
আগাবাকের খান ও রাজা রাজবল্লভ বরিশাল বিভাগের ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছেন। আগাবাকের খান বরিশালের বুজুর্গ উমেদপুর পরগণার জমিদার ও চট্টগ্রামের ফৌজদার ছিলেন।  ঢাকার নায়েব নাজিম নওয়াজিশ খানের সাথে আগাবাকেরের বিরোধ ছিল।  নওয়াজিশ খানের প্রতিনিধি হোসেন আবেদীন খান ঢাকায় থাকতেন।  রাজবল্লভ ছিলেন নওয়াজিশ খানের ঢাকার নৌবাহিনীর পেশকার।  আগাবাকেরের পুত্র আগাসাদেক সিরাজউদ্দৌলার নির্দেশে হোসেন আবেদীনকে আক্রমণ করেন।  সংঘর্ষে হোসেন আবেদীন নিহত হন।  এই ঘটনার পর রাজবল্লভ তার পুত্র রামদাশ, কৃষ্ণদাশ ও নয়াজিশ খানের সেনাবাহিনী আগাবাকেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে।  আগাসাদেক মুর্শিদাবাদে পালিয়ে যান।  ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে মীর জাফর ও রাজবল্লভ ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আগাবাকেরের জমিদারী বুজুর্গ উমেদপুর পরগণা কেড়ে নেয়। আগাসাদেকের পুত্র মীর্যা মোহাম্মদ সালেহ ও তার ছোট ভাই মীর্যা মেন্দী তাদের জমিদারী উদ্ধারের চেষ্টা করেন।  ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে মেন্দি ও কাতিশা বেগম জমিদারী ফেরত পাওয়ার জন্য কলিকাতায় কোম্পানির কাউন্সিলের নিকট আবেদন করেন।  কিন্তু তাদের আবেদন নাকচ করা হয়।  বাকেরগঞ্জের দয়াল চৌধুরীর পুত্র মনিরাম দে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৫ এপ্রিল বুজুর্গ উমেদপুরের জমিদারী দাবি করে রাজবল্লভের পুত্রদের বিরুদ্ধে কলিকাতা কাউন্সিলে অভিযোগ আনয়ন করে।  ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৩ মে কাউন্সিল তার দাবিও অস্বীকার করে রাজবল্লভের পুত্রদের দাবি মেনে নেয়।
 
আগাবাকের খান ও রাজা রাজবল্লভ বরিশাল বিভাগের ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছেন। আগাবাকের খান বরিশালের বুজুর্গ উমেদপুর পরগণার জমিদার ও চট্টগ্রামের ফৌজদার ছিলেন।  ঢাকার নায়েব নাজিম নওয়াজিশ খানের সাথে আগাবাকেরের বিরোধ ছিল।  নওয়াজিশ খানের প্রতিনিধি হোসেন আবেদীন খান ঢাকায় থাকতেন।  রাজবল্লভ ছিলেন নওয়াজিশ খানের ঢাকার নৌবাহিনীর পেশকার।  আগাবাকেরের পুত্র আগাসাদেক সিরাজউদ্দৌলার নির্দেশে হোসেন আবেদীনকে আক্রমণ করেন।  সংঘর্ষে হোসেন আবেদীন নিহত হন।  এই ঘটনার পর রাজবল্লভ তার পুত্র রামদাশ, কৃষ্ণদাশ ও নয়াজিশ খানের সেনাবাহিনী আগাবাকেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে।  আগাসাদেক মুর্শিদাবাদে পালিয়ে যান।  ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে মীর জাফর ও রাজবল্লভ ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আগাবাকেরের জমিদারী বুজুর্গ উমেদপুর পরগণা কেড়ে নেয়। আগাসাদেকের পুত্র মীর্যা মোহাম্মদ সালেহ ও তার ছোট ভাই মীর্যা মেন্দী তাদের জমিদারী উদ্ধারের চেষ্টা করেন।  ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে মেন্দি ও কাতিশা বেগম জমিদারী ফেরত পাওয়ার জন্য কলিকাতায় কোম্পানির কাউন্সিলের নিকট আবেদন করেন।  কিন্তু তাদের আবেদন নাকচ করা হয়।  বাকেরগঞ্জের দয়াল চৌধুরীর পুত্র মনিরাম দে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৫ এপ্রিল বুজুর্গ উমেদপুরের জমিদারী দাবি করে রাজবল্লভের পুত্রদের বিরুদ্ধে কলিকাতা কাউন্সিলে অভিযোগ আনয়ন করে।  ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৩ মে কাউন্সিল তার দাবিও অস্বীকার করে রাজবল্লভের পুত্রদের দাবি মেনে নেয়।
 +
 +
 +
== তথ্য নির্দেশঃ ==
 +
 +
১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, আকাবাকের, পৃষ্ঠা-৯৮-১০৭
 +
২। H. Beveridge, The District of Bakerganj-its History and Statistics, London, 1876, Page-419-20

২২:০৭, ১৩ জুন ২০১৭ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

আগাবাকের খান ও রাজা রাজবল্লভ বরিশাল বিভাগের ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছেন। আগাবাকের খান বরিশালের বুজুর্গ উমেদপুর পরগণার জমিদার ও চট্টগ্রামের ফৌজদার ছিলেন। ঢাকার নায়েব নাজিম নওয়াজিশ খানের সাথে আগাবাকেরের বিরোধ ছিল। নওয়াজিশ খানের প্রতিনিধি হোসেন আবেদীন খান ঢাকায় থাকতেন। রাজবল্লভ ছিলেন নওয়াজিশ খানের ঢাকার নৌবাহিনীর পেশকার। আগাবাকেরের পুত্র আগাসাদেক সিরাজউদ্দৌলার নির্দেশে হোসেন আবেদীনকে আক্রমণ করেন। সংঘর্ষে হোসেন আবেদীন নিহত হন। এই ঘটনার পর রাজবল্লভ তার পুত্র রামদাশ, কৃষ্ণদাশ ও নয়াজিশ খানের সেনাবাহিনী আগাবাকেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আগাসাদেক মুর্শিদাবাদে পালিয়ে যান। ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে মীর জাফর ও রাজবল্লভ ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আগাবাকেরের জমিদারী বুজুর্গ উমেদপুর পরগণা কেড়ে নেয়। আগাসাদেকের পুত্র মীর্যা মোহাম্মদ সালেহ ও তার ছোট ভাই মীর্যা মেন্দী তাদের জমিদারী উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে মেন্দি ও কাতিশা বেগম জমিদারী ফেরত পাওয়ার জন্য কলিকাতায় কোম্পানির কাউন্সিলের নিকট আবেদন করেন। কিন্তু তাদের আবেদন নাকচ করা হয়। বাকেরগঞ্জের দয়াল চৌধুরীর পুত্র মনিরাম দে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৫ এপ্রিল বুজুর্গ উমেদপুরের জমিদারী দাবি করে রাজবল্লভের পুত্রদের বিরুদ্ধে কলিকাতা কাউন্সিলে অভিযোগ আনয়ন করে। ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৩ মে কাউন্সিল তার দাবিও অস্বীকার করে রাজবল্লভের পুত্রদের দাবি মেনে নেয়।


তথ্য নির্দেশঃ

১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, আকাবাকের, পৃষ্ঠা-৯৮-১০৭ ২। H. Beveridge, The District of Bakerganj-its History and Statistics, London, 1876, Page-419-20