আসমত আলী সিকদার

Barisalpedia থেকে

রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। আসমত আলী সিকদার ১৯৩৯ সালে বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আবদুল মজিদ সিকদার এবং মাতা আফিয়া খাতুন। মঠবাড়িয়া এ কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের ছাত্র অবস্থায় ১৯৫৩ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদের পক্ষে প্রচার করেন। রাজনীতি করার অভিযোগে তাঁকে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়। আসমত আলী সিকদার ১৯৫৬ সালে বামনা সরওয়ারজান হাইস্কুল থেকে মেট্রিক, ১৯৫৮ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে আইএ, ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় হতে ইতিহাসে অনার্স এবং ১৯৬২ সালে এমএ পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করেন। তিনি ১৯৬২-৬৩ সালে ঢাকা হলের ভিপি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬২, ১৯৬৪ সালে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৩ সালে তিনি নরসিংদী কলেজে ইতিহাসের শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৯৬৪ সালের ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল চত্বরে কনভোকেশন অনুষ্ঠিত হয়। ঠিক হয় ছাত্ররা গভর্নর মোনায়েম খানের নিকট থেকে সনদ গ্রহণ করেবে না। এ আন্দোলনে আসমত আলী সিকদার নেতৃত্ব দেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ওপর নির্যাতন চলে এবং তাঁর এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেয়া হয়। জেল থেকে মুক্তি লাভ করে তিনি ঢাকায় আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি বরগুনা মহকুমায় আইন ব্যবসা ও রাজনীতি করেন। তিনি পটুয়াখালী ও বরগুনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ সংগঠিত করেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৯ সালে বরগুনা কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ সালে তিনি বরগুনা, বেতাগী ও আমতলী কেন্দ্র থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বরগুনা-বেতাগী এলাকা থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। ২০০১ সালের ৯ মে তিনি ঢাকয় নিজস্ব ভবনে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী নাহিদ খুরশিদ জাহান, দু’কন্যা ও একপুত্র রেখে যান।


তথ্যসূত্র: ১। সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (দ্বিতীয় খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১৫।