আবুল হাসান

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১০:১৬, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ পর্যন্ত সংস্করণে ("আবুল হাসান ( জন্ম: ১৯৪৭, ৪ আগস্ট-মৃত্যুঃ ১৯৭৫, ২৬ নভেম্বর ) ব..." দিয়ে পাতা তৈরি)

আবুল হাসান ( জন্ম: ১৯৪৭, ৪ আগস্ট-মৃত্যুঃ ১৯৭৫, ২৬ নভেম্বর ) বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি ও সাংবাদিক। তাঁর প্রকৃত নাম আবুল হোসেন মিয়া, আর সাহিত্যক নাম আবুল হাসান। তিনি দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় কবিদের একজন।


জন্ম

কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বর্নি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। অবশ্য তাঁর পৈতৃক নিবাস পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের ঝনঝনিয়া গ্রামে। তাঁর পিতা আলতাফ হোসেন মিয়া ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন।

শিক্ষা ও কর্মজীবন

আবুল হাসান ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে এস.এস.সি পাশ করেন। তারপর বরিশালের বিএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি.এ শ্রেণীতে ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষা শেষ না করেই ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তাবিভাগে যোগদান করেন। পরে তিনি গণবাংলা (১৯৭২-১৯৭৩) এবং দৈনিক জনপদ-এ (১৯৭৩-৭৪) সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আবুল হাসান অল্প বয়সেই একজন সৃজনশীল কবি হিসাবে খ্যাতিলাভ করেন। মাত্র এক দশকের কাব্যসাধনায় তিনি আধুনিক বাংলার ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেন। আত্মত্যাগ, দুঃখবোধ, মৃত্যুচেতনা, বিচ্ছিন্নতাবোধ, নিঃসঙ্গচেতনা, স্মৃতিমুগ্ধতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবুল হাসানের কবিতায় সার্থকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে এশীয় কবিতা প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম হন।

প্রকাশিত গ্রন্থ

কাব্যগ্রন্থ

রাজা যায় রাজা আসে (১৯৭২)। যে তুমি হরণ করো (১৯৭৪)। পৃথক পালঙ্ক (১৯৭৫)।

গল্প

আবুল হাসান গল্প- সংগ্রহ (১৯৯০)।

কাব্যনাট্য

ওরা কয়েকজন (১৯৮৮)।

পুরস্কার

বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৫)। একুশে পদক (১৯৮২)।


তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া