"আবদুল জব্বার খান"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("জন্ম ১ নভেম্বর ১৯০২। মৃত্যু ২৩ আগস্ট ১৯৮৪। জন্মস্থান বাহ..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
জন্ম ১ নভেম্বর ১৯০২। মৃত্যু ২৩ আগস্ট ১৯৮৪। জন্মস্থান বাহেরচর, বরিশাল। ১৯১৯ খ্রি. বরিশাল জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্্িরক। পরবর্তীতে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ., ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে অনার্স-সহ বি.এ. ও ১৯২৫ খ্রি. আরবিতে এম.এ পাশ করেন। ১৯২৭ খ্রি. প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বি.এল. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯২৯ খ্রি. বেঙ্গল সার্ভিস (জুডিশিয়াল)-এ যোগদান করেন। বিভিন্ন সময়ে সাব-অর্ডিনেট-জজ, অতিরিক্ত জেলা-জজ ও জেলা-জজ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৫৬ খ্রি. ঢাকা হাই কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৬২ খ্রি. অবসর নেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের স্বাধিকার আন্দোলনের তিনি একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। ক্ষমতাশীল মুসলিম লীগ (কনভেনশন)-এর পূর্ব-পাকিস্তান কমিটির সভাপতি (১৯৬৪) ও মৌলিক গণতন্ত্রীদের ভোটে বরিশাল জেলা থেকে ১৯৬৫ খ্রি. পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ খ্রি. থেকে সামরিক আইন জারির পূর্ব পর্যন্ত (২৫.৩.১৯৬৯) তিনি জাতীয় পরিষদের স্পিকার ছিলেন।
+
স্পিকার ও বিচারপতি আবদুল জব্বার খানের জন্ম ১ নভেম্বর ১৯০২। মৃত্যু ২৩ এপ্রিল ১৯৮৪। জন্মস্থান বাহেরচর, বাবুগঞ্জ, বরিশাল। ১৯১৯ খ্রি. বরিশাল জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্্িরক। পরবর্তীতে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ., ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে অনার্স-সহ বি.এ. ও ১৯২৫ খ্রি. আরবিতে এম.এ পাশ করেন। ১৯২৭ খ্রি. প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বি.এল. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯২৯ খ্রি. বেঙ্গল সার্ভিস (জুডিশিয়াল)-এ যোগদান করেন। বিভিন্ন সময়ে সাব-অর্ডিনেট-জজ, অতিরিক্ত জেলা-জজ ও জেলা-জজ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৫৬ খ্রি. ঢাকা হাই কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৬২ খ্রি. অবসর নেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের স্বাধিকার আন্দোলনের তিনি একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। ক্ষমতাশীল মুসলিম লীগ (কনভেনশন)-এর পূর্ব-পাকিস্তান কমিটির সভাপতি (১৯৬৪) ও মৌলিক গণতন্ত্রীদের ভোটে বরিশাল জেলা থেকে ১৯৬৫ খ্রি. পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ খ্রি. থেকে সামরিক আইন জারির পূর্ব পর্যন্ত (২৫.৩.১৯৬৯) তিনি জাতীয় পরিষদের স্পিকার ছিলেন।
 
+
মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদ, বাহের চর কাজল খান হাই স্কুল, গৌরনদী কলেজ, গুগন্দিয়া আবুল কালাম কলেজ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও তাঁর অবদান রয়েছে। ১৯৮৪ সালের ২৩ এপ্রিল বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান ঢাকার গুলশানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
 
----
 
----
তথ্যসূত্র: সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান।
+
তথ্যসূত্র: ১. সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান।২. রুসেলি রহমান চৌধুরী। বরিশালের প্রয়াত গুণীজন।

১২:৫৫, ২২ মে ২০১৬ তারিখের সংস্করণ

স্পিকার ও বিচারপতি আবদুল জব্বার খানের জন্ম ১ নভেম্বর ১৯০২। মৃত্যু ২৩ এপ্রিল ১৯৮৪। জন্মস্থান বাহেরচর, বাবুগঞ্জ, বরিশাল। ১৯১৯ খ্রি. বরিশাল জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্্িরক। পরবর্তীতে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ., ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে অনার্স-সহ বি.এ. ও ১৯২৫ খ্রি. আরবিতে এম.এ পাশ করেন। ১৯২৭ খ্রি. প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বি.এল. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯২৯ খ্রি. বেঙ্গল সার্ভিস (জুডিশিয়াল)-এ যোগদান করেন। বিভিন্ন সময়ে সাব-অর্ডিনেট-জজ, অতিরিক্ত জেলা-জজ ও জেলা-জজ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৫৬ খ্রি. ঢাকা হাই কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৬২ খ্রি. অবসর নেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের স্বাধিকার আন্দোলনের তিনি একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। ক্ষমতাশীল মুসলিম লীগ (কনভেনশন)-এর পূর্ব-পাকিস্তান কমিটির সভাপতি (১৯৬৪) ও মৌলিক গণতন্ত্রীদের ভোটে বরিশাল জেলা থেকে ১৯৬৫ খ্রি. পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ খ্রি. থেকে সামরিক আইন জারির পূর্ব পর্যন্ত (২৫.৩.১৯৬৯) তিনি জাতীয় পরিষদের স্পিকার ছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদ, বাহের চর কাজল খান হাই স্কুল, গৌরনদী কলেজ, গুগন্দিয়া আবুল কালাম কলেজ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও তাঁর অবদান রয়েছে। ১৯৮৪ সালের ২৩ এপ্রিল বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান ঢাকার গুলশানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


তথ্যসূত্র: ১. সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান।২. রুসেলি রহমান চৌধুরী। বরিশালের প্রয়াত গুণীজন।