"আবদুল কুদ্দুস (রহ.), ছারছিনা মাদ্রাসার হেড মাওলানা"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("ঝালকাঠি জেলার গুয়াটন গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন দেশ বরেণ্য..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
(কোন পার্থক্য নেই)

১১:২৬, ৯ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

ঝালকাঠি জেলার গুয়াটন গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন দেশ বরেণ্য ইসলামী পন্ডিত হযরত মাওলানা আবদুল কুদ্দুস (রহ)। দীর্ঘদিন পর্যন্ত তিনি ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার হেড মাওলানা ছিলেন।

শিক্ষা

হযরত মাওলানা আবদুল কুদ্দুস উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার আগে দেশে পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি নোয়াখালী, সাহরানপুর এবং কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেছেন। হযরত মাওলানা আবদুল কুদ্দুস (রঃ) জীবনের দীর্ঘকাল কাটিয়েছেন ছারছীনাতে অধ্যাপনার কাজে।

অধ্যাপনা

হযরত মাওলানা আবদুল কুদ্দুস (রহ.) ছারছীনাতে অধ্যাপনা করবার সময় অনেক গুণী ছাত্রকে গড়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মোস্তাফিজুর রহমান, ডক্টর আলী হায়দার মোর্শেদী, ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক কবি মাওলানা রুহুল আমিন খান, জমিয়াতুল মোদারেসীনের মহাসচিব মাওলানা এম. এ. লতীফ, ডক্টর এ. কে. এম ইয়াকুব হোসাইন, অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, বিশিষ্ট শিল্পপতি বি. এইচ. হারুন, ছারছীনা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আমজাদ হোসাইন, মোহাদ্দিস মাওলানা সুফী আবদুর রশীদ সাহেব, প্রখ্যাত লেখক মাওলানা কারামত আলী নিযামী প্রমুখ। এমনকি ছারছীনার মরহুম পীর সাহেব, কায়েদ সাহেব হুজুর, ছারছীনার বর্তমান গদ্দীনশীন পীর সাহেবও তাঁর কাছে অধ্যয়ন করেছেন।

গ্রন্থ

তিনি কামিল ক্লাশের ছাত্রদের জন্য ইসলামের ইতিহাস “লুবাবুত তাওরীখ” নামে উর্দুতে একটি পুস্তক রচনা করেন। এ ছাড়া তার রচিত- ফসূলে আকবরী, বাংলা মিযান মোনশায়েব, আখেরাতের সম্বল সকালের সমাদৃত পুস্তক ছিল।

মৃত্যু

ঝালকাঠির বিশিষ্ট এই ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা আবদুল কুদ্দুস সাহেব বার্ধক্যজনিত কারণে ১৯৭৬ সালে নিজ বাড়িতেই ইন্তেকাল করেন। গুয়াটন কলেজের দক্ষিণ পাশেই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হেমায়েত উদ্দীন সাহেবের কবর। পাশে মাওলানা আবদুল খালেক সাহেবের কবর।


তথ্যসূত্র: আবদুর রশীদ। এই সেই ঝালকাঠি। আল ইসলাম পাবলিকেশনস, ঝালকাঠি। ২০০১।