আবদুল ওহাব খান
স্পিকার আবদুল ওহাব খানের জন্ম ১৮ এপ্রিল ১৮৯৮। মৃত্যু ১৯৭২। জন্মস্থান রহমতপুর, বাবুগঞ্জ, বরিশাল। পিতা মৌলবী সাদত আলী খান। তিনি বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বি.এ. এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয থেকে ১৯২১খ্রি. বি.এল. পাশ করেন। তিনি ছিলেন কৃষক প্রজা পার্টির অন্যতম নেতা। পাশাপাশি তিনি বরিশাল আদালতে ১৯২৩ সাল থেকে শুরু করে প্রায় কুড়ি বছর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরপদে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯২২ খ্রি. বরিশাল সদর লোকাল বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (১৯২৭-১৯৩৩), এবং পরে উক্ত সংস্থার চেয়ারম্যান পদে উন্নীত হন (১৯৪০-১৯৫২)। পরপর তিনবার বরিশাল মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার নির্বাচিত হন। তিনি যথাক্রমে কৃষক প্রজা পার্টির মনোনয়নে বঙ্গীয় আইন সভার সদস্য (১৯৩৭), বরিশাল জেরা স্কুল বোর্ডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (১৯৪২) ও জেলা স্কুল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট (১৯৫০) নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে কৃষক-শ্রমিক পার্টি গঠনে তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। ১৯৫৪ খ্রি. যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে পূর্ববঙ্গ আইনসভার সদস্য ও ১৯৫৫ খ্রি. কৃষক-শ্রমিক মনোনয়নে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ও স্পিকারপদে বৃত হন। তাঁর সভাপতিত্বে গণপরিষদে ১৯৫৬ খ্রি. শাসনতন্ত্র গৃহীত হয়। নয়াশাসনতন্ত্র মোতাবেক গণপরিষদ জাতীয় পরিষদে রূপান্তরিত হলে স্পিকারপদে পুনর্বহাল হন। ১৯৫৮ খ্রি. সামরিক সরকার জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিলে তিনিও স্পিকারপদ হারান। শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের রাজনীতির তিনি একজন অনুসারী ছিলেন। ১৯৬২ সালের ২৮ এপ্রিল মৌলিক গণতন্ত্রের প্রথায় জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজয় বরণ করেন। ১২ জুলাই ১৯৭২ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
তথ্যসূত্র: ১. সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। ২. রুসেলি রহমান চৌধুরী। বরিশালের প্রয়াত গুণীজন। ইউনিভার্সিটি বুক পাবলিশার্স: ঢাকা। ২০০৬।