"আক্কাস হোসেন"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
(সাহিত্য)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
 
বিশষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী, সমাজসেবী ও মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন ১৯৩৮ সালরে ৫ এপ্রিল ঝালকাঠি জলোর সদর উপজলোর দক্ষিণ মানপাশার এক রক্ষণশীল সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা প্রয়াত আসল উদ্দিন সরদার এবং মাতা প্রয়াত আমেনা খাতুন। ১৩ ভাই-বোনের মধ্যে আক্কাস হোসেন নবম।  
 
বিশষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী, সমাজসেবী ও মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন ১৯৩৮ সালরে ৫ এপ্রিল ঝালকাঠি জলোর সদর উপজলোর দক্ষিণ মানপাশার এক রক্ষণশীল সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা প্রয়াত আসল উদ্দিন সরদার এবং মাতা প্রয়াত আমেনা খাতুন। ১৩ ভাই-বোনের মধ্যে আক্কাস হোসেন নবম।  
  
 +
[[চিত্র:আক্কাস_হোসেন.jpg]]
  
 
== শিক্ষা ==
 
== শিক্ষা ==

০৩:৩১, ১৪ আগস্ট ২০২০ তারিখের সংস্করণ

বিশষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী, সমাজসেবী ও মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন ১৯৩৮ সালরে ৫ এপ্রিল ঝালকাঠি জলোর সদর উপজলোর দক্ষিণ মানপাশার এক রক্ষণশীল সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা প্রয়াত আসল উদ্দিন সরদার এবং মাতা প্রয়াত আমেনা খাতুন। ১৩ ভাই-বোনের মধ্যে আক্কাস হোসেন নবম।

আক্কাস হোসেন.jpg

শিক্ষা

দেহাতের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করে সুগন্ধিয়া মুসলিম হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণি পাশ করে নবম শ্রেণিতে বরিশাল নগরীর এ. কে. ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন। এখান থেকেই ১৯৫৪ সালে মেট্রিক পাশ করেন। ব্রজমোহন কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হলে ওই বছর তার মা আমেনা খাতুনের মৃত্যু হলে পরর্বতীতে নাইট কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। কিন্তু জেলে থাকার কারণে তার ডিগ্রি পরীক্ষা দেয়া হয়নি। মাধ্যমিকে পড়াবস্থায় বরিশাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস. ডব্লউি লকিতুল্লাহর মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

ছোটবেলা থেকে নাটক ও সংগীতের প্রতি আক্কাস হোসেন-এর আগ্রহ অনেক। তবে পারিবারিকভাবে এসব বিষয়ে তিনি কোনো সাহায্য-সহযোগতিা পাননি। গোপনে নাটক ও সংগীত শেখা শুরু করেন তিনি। সংগীতে তার গুরু ছিলেন প্রয়াত ওস্তাদ রমেশ চন্দ্র চক্রর্বতী ও পরে প্রয়াত ওস্তাদ নারায়ণ চন্দ্র সাহা। নাটকে গুরু ছিলেন প্রয়াত সেরাজুল সুলতান ও প্রয়াত আব্দুল মালেক খান। আক্কাস হোসেন -এর অভনিীত নাটকের সংখ্যা প্রায় ৫০-এর উপরে।


রাজনীতি ও সঙ্গীত

১৯৫০-এর দশকে একজন ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং ১৯৫৬ সালে বৃহত্তর বরিশালে জেলা আওয়ামী লীগের সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরর্বতীতে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি জেলা বাকশালের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আক্কাস হোসেন তৎকালীন বরিশালের একমাত্র সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পী সংসদ-এ শহীদ আলতাফ মাহমুদের সাথে গণসংগীত পরিবেশন করেন। আলতাফ মাহমুদ ১৯৫৭ সালে বরিশাল ছেড়ে যাওয়ার পরে দক্ষিণ জনপদের গণসংগীত পরিবেশন করে সুনাম র্অজন করেন আক্কাস হোসেন। বৃহত্তর বরিশাল ছাড়াও বাইরে বিভিন্ন জেলায় গণসংগীত পরিবেশন করেও অনেক সুনাম র্অজন করেন তিনি।

১৯৫৮ সালে আইয়ুব শাহী র্মাশাল ল' জারি করলে বরিশালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি পহেলা বৈশাখ এবং ২৫ শে বৈশাখ রবীন্দ্র জন্মদিবস পালন নিষিদ্ধ হলে ১৯৬২ সালে ওসব উপেক্ষা করে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অনিতা নাগকে নিয়ে তিনি অশ্বিনী কুমার হলের সামনে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করেন। এজন্য তাকে জেল-জুলুম ও হুলিয়া নিয়ে পালিয়ে থাকতে হয়ছেে জীবনের অনেকটা বছর। এছাড়া ১৯৬২ সালের হামিদুর রহমান শিক্ষা কমশিন, বঙ্গবন্ধুর ছয়দফা এবং বঙ্গন্ধুকে গ্রেফতাররে প্রতিবাদ ইত্যাদি আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত থাকার কারণে চার বছরের অধিককাল কারাবন্দী থাকতে হয়েছিল তাকে। ১৯৬২ সালে অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে প্রতিষ্ঠিত টাউন হলটির নাম আইউব খান টাউন হল এবং গেট দুটি যথাক্রমে গেটে মিল্লাত ও কায়েদে আজম নাম লিখে তৎকালীন বিহারী জেলা প্রশাসক সাইনর্বোড টানিয়ে দিলে তা আক্কাস হোসেনের নেতৃত্বে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। যার জন্য ৬২ সালেই তার জরুরি আইনে ছয় মাস জেল খাটতে হয়। ৬৪ সালে আক্কাস হোসেন বৃহত্তর বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক স¤পাদক মনোনীত হন। এছাড়া তিনি মাদারে মিল্লাত কম্বাইনড অপজিশন মানে কপের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন সৈয়দ আশ্রাব হোসেনের সাথে। ফাতমো জিন্নাহর নির্বাচনী সভায় তিনি বিডি হাবিবুল্লার লেখা ‘জাগোরে জাগো আজি জাগো দেশের জনগণ/গণতন্ত্রের কবর দিয়ে আইয়ুব গড়ল রাজশাসন’ গানটি গেয়ে সভায় আগত লোকদের উদ্বুদ্ধ করতেন।

১৯৭১ সালের ২৬ র্মাচ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে বৃহত্তর বরিশাল জেলার সংগ্রাম কমিটিরি সদস্য ও সচিবালয়ের উপ-প্রধান হিসেবে আক্কাস হোসেন দায়িত্ব পালন করেন। দেশকে স্বাধীন করার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে ১৯৭১ সালের মে মাসে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। সংগঠক হিসেবে ৯নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা নিয়োগ ও শরর্ণাথী অর্ভ্যথনা কেন্দ্রের ‘র্কমাধ্যক্ষ’ হিসেবে বনগ্রাম, ২৪ পরগনা ও পশ্চমি বাংলায় সাত মাস দায়িত্ব পালন করেন আক্কাস হোসেন। ০৮ ডিসেম্বের জাতীয় পরষিদ সদস্য নুরুল ইসলাম মঞ্জুররে সাথে সাড়ে চার শ' মুক্তিযোদ্ধা সমেত একটি লঞ্চে সাতটি নৌকা বেধে রওয়ানা দেন। সপ্তম নৌবহরের অংশ মনে করে সুন্দরবনের মধ্যে মেজর জিয়ার বাহিনি চ্যালঞ্জে করে। পরে চিনতে পেরে নুরুল ইসলাম মঞ্জুরকে র্গাড অব অনার প্রদান করেছিলেন জিয়ার বাহিনি। ১৪ ডিসেম্বের কালিজিরিা নদীপথে কড়াপুর এসে পৌঁছেন মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন।এছাড়া দেশ স্বাধীনের পরপর আইন-শৃঙ্খলা রর্ক্ষাথে তাকে ঝালকাঠি মহকুমার প্রশাসক করে পাঠানো হলে তার কাছইে এসডিও এবং ওসি জয়েনিং রিপোর্ট দিয়েছিলেন। ১৯৪৯ থেকে ৭৫ সাল র্পযন্ত ছিলেন বরিশাল জেলা রেড ক্রিসেন্টের স¤পাদক ছিলেন।


সমাজসেবা

দেশ স্বাধীনের পর নিজ আখের গোছানোর বিপরীতে দেশের সেবায় আত্ম নিয়োগ করেন তিনি। নিজ গ্রামের বাড়ির জমি থেকে বিনয়য়কাঠীর শেরে বাংলা ফজলুল হক কলেজে চার একর জমি দান করে আজীবন দাতা সদস্যের পদ লাভ করেন। আর বরিশাল নগরীর এ আর এস বালকিা বিদ্যালয়ে ৮০ শতাংশ, বেগম তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া কলেজে দান করেন ১৫ শতাংশ জমি এবং নগরীতে প্রতিষ্ঠা করেন উদ্বাস্তু আর্দশ প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও কিশোর মজলিশে ২৩ শতাংশ এবং কশিোর কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৩ শতাংশ জমি দান করেন আক্কাস হোসেন।


সাহিত্য

তিনি বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ করে বরিশাল বেতার কেন্দ্রে নিয়মিত অনুষ্ঠান করেছেন। এছাড়া দৈনিক পরিবর্তন পত্রকিায় মুক্তযুদ্ধ, প্রাচীন ইতহিাস ও বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি নিয়ে উপ-সম্পাদকীয় পাতায় প্রায় দুই শত কলাম লিখেছেন আক্কাস হোসেন।

বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বৃটিশ বিরোধী সংগ্রামী নেতা মনোরঞ্জন গুপ্ত এবং কাটপট্টির হরেন্দ্রকুমার নাগের সাথে আক্কাস হোসেন বরিশাল চলে আসনে। তাঁদের কাছ থেকে তিনি যে সমস্ত বই ও র্বণনা পান এবং ১৯০৬ সালে বরিশাল যে প্রতিবাদ সভা হয়, তা নিয়ে পরর্বতীতে তিনি উপসম্পাদকীয় পাতায় ধারাবাহকিভাবে অনেক কলাম লখিছেনে।প্রথম জীবনে তিনি গণসংগীত লিখেছেনে, সুরারোপ করছেেন এবং সংগীত পরিবেশন করেছেনে। পরর্বতীতে কলাম ও প্রবন্ধ লিখেছেনে ‘দৈনিক পরর্বিতন’-এ। তাঁর কবিতার সংখ্যা ১২৫টি। সাদামনের মানুষ, সমাজসবেক ও শিক্ষানুরাগী বাবু বজিয় কৃষ্ণ দে মহাশয় উৎসাহতি হয়ে আক্কাস হোসেন-এর একটি কবতিার বই প্রকাশ করে দিয়েছেন।

সংগঠন

আক্কাস হোসেন বিভিন্ন সময় যেসব সংগঠনে দায়িত্ব পালন করছেনে: ১. সহকারী কমান্ডার: মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বরিশাল জেলা কমান্ড। ২. সভাপতি: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বরিশাল জেলা শাখা। ৩. সদস্য: কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। ৪. প্রধান উপদেষ্টা : সেক্টর কমার্ন্ডাস ফোরাম, বরিশাল বিভাগীয় শাখা। ৫. সভাপতি:বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বরিশাল বিভাগীয় কমিটি। ৬. সদস্য: বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি। ৭. সভাপতি: বাংলাদেশ সাহিত্যের আড্ডা। ৮. আহক্ষায়ক: বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবষেণা পরিষদ, বরিশাল মহানগর শাখা। ৯. সভাপতি: প্রান্তিক সংগীত বিদ্যালয়। ১০. সভাপতি: সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক, বরিশাল জেলা কমিটি। ১১. সদস্য: সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক, কেন্দ্রীয় র্কায-নির্বাহী কমিটি। ১২. সভাপতি: বরিশাল মুক-বধির সংঘ। ১৩. সভাপতি: বরিশাল মুক-বধির বিদ্যালয়। ১৪. সভাপতি: কনজুমারস অ্যাসোসয়িশেন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বরিশাল জেলা শাখা। ১৫. সভাপতি: সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদ, বরিশাল। ১৬. সভাপতি: উদ্বাস্তু আর্দশ প্রাথমিক বিদ্যালয়, আউটার স্টেডিয়াম, বরিশাল। ১৭. সভাপতি: পিপলস ডেভেলপমেন্ট র্অগানাইজশেন , বরিশাল। ১৮. সভাপতি: বিপ্লবী দেবেন ঘোষ স্মৃতি সংসদ। ১৯. সভাপতি: উপদেষ্টা পরিষদ, পিকার প্রকল্প, অপরাজেয় বাংলা। ২০. সভাপতি: ইনডাব স্পিড প্রকল্প, বরিশাল জেলা শাখা। ২১. সভাপতি: স্বাস্থ্য অধকিার প্রচারাভযিান, বরিশাল জেলা শাখা। ২২. প্রধান উপদেষ্টা: ধ্রুবতারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, বরিশাল জেলা শাখা। ২৩. উপদেষ্টা: ‘লাল সবুজ’ মাসিক শিশু পত্রিকা, বরিশাল। ২৪. প্রধান উপদেষ্টা: বনিীয়কাঠি ইউনয়িন জনকল্যাণ সমিতি। ২৫. সনিয়ির সহ-সভাপতি: বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবষেণা পরিষদ, বরিশাল বিভাগীয় শাখা। ২৬. সনিয়ির সহ-সভাপতি: বরিশাল নাট্য নিকেতন। ২৭. সাধারণ সম্পাদক: বরিশাল সাহিত্য পরিষদ। ২৮. সদস্য: মহাত্মা অশ্বিনী সাহিত্য পরিষদ। ২৯. সদস্য: মনোরমা বসু মাসীমা স্মৃতি সংসদ। ৩০. সদস্য: বরিশাল নাগরকি পরিষদ। ৩১. সদস্য: নদী খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটি। ৩২. আজীবন দাতা সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য: শেরে বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রি কলজে, বিনয়কাঠি ঝালকাঠি। ৩৩. জমিদাতা: শরেে বাংলা ফজলুল হক ডগ্রিী কলজে, বিনয়কাঠি ঝালকাঠি। ৩৪. জমিদাতা: তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া কলেজে । ৩৫. জমিদাতা: এ.আর.এস মাধ্যমকি বালকিা বিদ্যালয়, ৩৬. জমিদাতা: কশিোর মজলশি, দক্ষিণ আলকোন্দা। জমরি পরমিাণ: ২৩ শতাংশ। ৩৭. জমিদাতা: কশিোর মজলসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ আলকোন্দা। জমরি পরমিাণ: ২৩ শতাংশ। ৩৮. প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা: উদ্বাস্তু আর্দশ প্রাথমিক বিদ্যালয়, আউটার স্টেডিয়াম, জমরি পরমিাণ: ১৫ শতাংশ। ৩৯. সদস্য: সুশাসনের জন্য প্রচারভযিান (সুপ্র), বরিশাল জেলা শাখা। ৪০. সদস্য: স্বাস্থ্য অধকিার প্রকল্প, বরিশাল জেলা শাখা। ৪১. এছাড়াও আক্কাস হোসেন বরিশালের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়ছেনে।



পদক ও সম্মাননা

তিনি অনেক পদক ও গুণীজন সম্মাননা লাভ করেছেন। ১. মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য সরকার র্কতৃক জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ২৫ বছর রজতজয়ন্তীতে বিশেষ সম্মাননা। ২. ৯নং সেক্টর র্কতৃক মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবের বিশেষ সম্মাননা। ৩. বরিশাল জেলার শিল্পকলা একাডেমী র্কতৃক গণসংগীত ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য রজতজয়ন্তীতে গুণীজন সম্মাননা। ৪. গণসংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ র্কতৃক ঢাকা শিল্পকলা একাডমেতিে বিশেষ সম্মাননা প্রদান। ৫. সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদানের জন্য র্কীতনখোলা থিয়েটার র্কতৃক বিশেষ সম্মাননা। ৬. বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ র্কতৃক গয়িাসউদ্দনি স্মৃতি পদক প্রদান। ৭. স্বাধীনতা দবিসে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনটি র্কতৃক বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান। ৮. গণশিল্পী সংস্থা র্কতৃক স্বাধীনতা দিবেসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদানের জন্য গুণীজন সম্মাননা প্রদান। ৯. গণসংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য অমৃত লাল দে সংগীত একাডেমী র্কতৃক গুণীজন সম্মাননা। ১০. রজতজয়ন্তীতে সকাল সন্ধ্যা মষ্টিান্ন ভাণ্ডার র্কতৃক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য গুণীজন সম্মাননা। ১১. বরিশাল আঞ্চলিক শিক্ষক সমিতি র্কতৃক স্বাধীনতার ৪০ বছর পর্দাপণে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজন সম্মাননা। ১২. প্রথম আলোর ১২ বছর র্পূতি উপলক্ষে বিশেষ সম্মাননা প্রদান। ১৩. মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বছর বিশেষ সম্মাননা, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরষিদ। ১৪. মুক্তিযুদ্ধে ও সংগীতে অবদানের জন্য জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরষিদ, বরিশাল জেলা শাখা র্কতৃক ১৯১৪ সালে বিশেষ সম্মাননা। ১৫. মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে ‘প্রথম আলো বন্ধুসভা’ র্কতৃক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশেষ সম্মাননা। ১৬. বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ র্পালামন্টে, বরিশাল জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশেষ সম্মাননা। ১৭. জীবনানন্দ মেলা -২০১৬, বিশেষ স্মারক সম্মাননা। ১৮. বরিশাল বশ্বিবিদ্যালয় র্কতৃক ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হসিবেে ‘স্মরণে স্বাধীনতা’ পদক। ১৯. ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার (স্বচ্ছোব্রতী ছাত্র সংগঠন) র্কতৃক মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা স্মারক র্অজন। ২০. বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরষিদ র্কতৃক ‘শহীদ আলতাফ মাহমুদ স্মৃতিপদক-২০১৮’ র্অজন। ২১. বাংলাদেশ উদীচি শিল্পীগোষ্ঠীর (১৯৬৮-২০১৮) সুর্বণজয়ন্তীতে ২৮ র্মাচ ২০১৮, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গুণীজন হিসেবে পদক র্অজন।


মৃত্যু

২০২০ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারী রবিবার রাত ১১.৫০ ঘটিকায় এই ক্ষণজন্মা মানুষটি ইন্তেকাল করেন।



তথ্যসূত্র: ১। দৈনিক বাংলাদেশ সময় পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধ। ২। নিবন্ধ ব্যক্তিত্বের পুত্র জনাব আমজাদ রাজীব।