"আইন উদ্দিন সিকদার"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("বাকেরগঞ্জের নিয়ামতির আইন উদ্দিন সিকদার বরিশালের বৃটিশ..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
বাকেরগঞ্জের নিয়ামতির আইন উদ্দিন সিকদার বরিশালের বৃটিশ বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামীদের মধ্যে বিশিষ্ট একজন ছিলেন। তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ঢাকার নায়েব নাজিব ও কোম্পানির সিপাহীরা ১৭৮৫ খৃৃস্টাব্দে আইনউদ্দিন সিকদারের বাড়ি আক্রমণ করে তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং বিষখালী নদীর মধ্যে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
+
আইনউদ্দিন সিকদার বাকেরগঞ্জ থানার নেয়ামতি গ্রামের এক স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি বুজুর্গ উমেদপুরের তালুকদার ছিলেন।
 +
 
 +
১৭৮৭ খৃৃস্টাব্দে বাকেরগঞ্জে এক ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। খাজনার ভয়ে শত শত লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে সুন্দরবনে আশ্রয় নেয়। কৃষকরা জমিদার ও কোম্পানির রাজস্ব কর্মচারীদের অত্যাচার হতে বাঁচার জন্য অস্ত্র ধারণ করে। বুজুর্গ উমেদপুরের তালুকদার আইনউদ্দিন সিকদার ও হায়াত মাহমুদ বিদ্রোহী কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করেন। আইনউদ্দিন সিকদার বাকেরগঞ্জ থানার নেয়ামতি গ্রামে বাস করত। ১৭৮৭ খৃৃস্টাব্দে প্লাবনে একদিকে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়, অন্যদিকে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তবু কোম্পানির কর্মচারী ও গোমস্তারা কৃষকদের ওপর নিপীড়ন চালায়। আইনউদ্দিন সিকদার তার বাহিনী নিয়ে ইংরেজ বণিক ও গোমস্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সরকার আইনউদ্দিন সিকদারকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে ১৭৮৯ খৃৃস্টাব্দে রাতের অন্ধকারে তার বাড়ি আক্রমণ করে এবং তাকে বন্দী করে। গ্রেফতারের পর আইনউদ্দিন সিকদারের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকদের মতে, কোম্পানির সিপাহীরা আইনউদ্দিন সিকদারকে হত্যা করে বিষখালী নদীতে ফেলে দেয়। মি. বেভারিজ বলেছেন যে, তাকে নির্বাসনে দেয়া হয়েছিল।
 +
 
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।
 
তথ্যসূত্র: সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।

১২:১৫, ৩০ মার্চ ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

আইনউদ্দিন সিকদার বাকেরগঞ্জ থানার নেয়ামতি গ্রামের এক স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি বুজুর্গ উমেদপুরের তালুকদার ছিলেন।

১৭৮৭ খৃৃস্টাব্দে বাকেরগঞ্জে এক ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। খাজনার ভয়ে শত শত লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে সুন্দরবনে আশ্রয় নেয়। কৃষকরা জমিদার ও কোম্পানির রাজস্ব কর্মচারীদের অত্যাচার হতে বাঁচার জন্য অস্ত্র ধারণ করে। বুজুর্গ উমেদপুরের তালুকদার আইনউদ্দিন সিকদার ও হায়াত মাহমুদ বিদ্রোহী কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করেন। আইনউদ্দিন সিকদার বাকেরগঞ্জ থানার নেয়ামতি গ্রামে বাস করত। ১৭৮৭ খৃৃস্টাব্দে প্লাবনে একদিকে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়, অন্যদিকে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তবু কোম্পানির কর্মচারী ও গোমস্তারা কৃষকদের ওপর নিপীড়ন চালায়। আইনউদ্দিন সিকদার তার বাহিনী নিয়ে ইংরেজ বণিক ও গোমস্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সরকার আইনউদ্দিন সিকদারকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে ১৭৮৯ খৃৃস্টাব্দে রাতের অন্ধকারে তার বাড়ি আক্রমণ করে এবং তাকে বন্দী করে। গ্রেফতারের পর আইনউদ্দিন সিকদারের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকদের মতে, কোম্পানির সিপাহীরা আইনউদ্দিন সিকদারকে হত্যা করে বিষখালী নদীতে ফেলে দেয়। মি. বেভারিজ বলেছেন যে, তাকে নির্বাসনে দেয়া হয়েছিল।



তথ্যসূত্র: সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বরিশাল বিভাগের ইতিহাস (১ম খন্ড)। ভাস্কর প্রকাশনী, ঢাকা। ২০১০।