অাগাবাকের খাঁ

Barisalpedia থেকে
Spadmin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৩৪, ১৩ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সংস্করণে (আগাবাকের খাঁর প্রেম)

(পরিবর্তন) ←পুর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ→ (পরিবর্তন)

আগাবাকের খাঁ (১৭৪০-১৭৫৫)। তুর্কিস্তানের অধিবাসী। ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি ভারতে আগমন করেন। মুর্শিদ কুলী খাঁ দাক্ষিণাত্যের থাকাকালে আগাবাকেরকে ক্রয় করেন। মুর্শিদ কুলী খাঁ তাকে পুত্রের মতো পালন করতেন। মুর্শিদ কুলী খাঁর সাথে তিনি প্রথমে ঢাকা ও পরে মুর্শিদাবাদে বাস করতেন। তিনি মুর্শিদকুলী খাঁর সাথে রাজ্য শাসন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

আগাবাকের খাঁর প্রেম

কথিত আছে মুর্শিদাবাদে থাকাকালৈ তিনি আরামবাগে নাচ দেখতে গিয়ে নৃত্যশিল্পী খনি বেগমের প্রেমে পড়েন। নবাবের উজির জাহান্দার খাঁর পুত্র জয়নুল খা খনি বেগমকে বিয়ে করতে চান। জয়নুল খাঁ মুর্শিদাবাদের কোতোয়াল চিলেন। জয়নুল আত্মগোপন করে গুজব ছড়ালেন যে, আগাবাকের খনি বেগমকে বিয়ে করার জন্য তাকে হত্যা করেছেন। জাহান্দার খাঁ পুত্রের হত্যার জন্য মুর্শিদকুলী খাঁর নিকট বিচার প্রার্থনা করেন। নবাবের কোন পুত্র ছিল না। ন্যায় বিচারের জন্য নবাব পালিত পুত্র আগাবাকেরকে মৃত্যুদ- দিলেন। আগাবাকেরকে একটি জীবন্ত বাঘের খাচায় ফেলে দেয়া হয়। বাঘটি হত্যা করে আগাবাকের বীরত্ব প্রদর্শন করেন এবং ইতোমধ্যে মিথ্যা ঘটনা প্রকাশিত হয়ে পড়ে। তাই মুর্শিদকুলী খাঁ তাকে মুক্ত করে দেন। জয়নুল খাঁ খনি বেগমকে নিয়ে বুজুর্গ উমেদপুরে পালিয়ে যান। আগাবাকের তাকে অনুসরণ করেন। জয়নুল খনি বেগমকে হত্যা করেন এবং নিজে সর্পাঘাতে মৃত্যুবরণ করেন।

আগাবাকের খাঁর শাসনামল

মুর্শিদকুলী খাঁ আগাবাকেরকে বুজুর্গ উমেদপুর পরগণার রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব প্রদান করেন। আগাবাকেরের পুত্র আগাসাদেক ও নবাব সুজাউদ্দৌলার সেনাপতি মীর হাবিব ত্রিপুরা রাজ্য জয় করেন। নবাব সন্তুষ্ট হয়ে আগা সাদেককে ত্রিপুরার ফৌজদার নিযুক্ত করেন। ১৭৪০ খ্রিঃ আলীবর্দী খাঁ আগাবাকেরকে চট্টগ্রামের ফৌজদার ও বাকলা সরকারের বুজুর্গ উমেদপুর পরগণার জমিদারী প্রদান করেন। বাকলা চন্দ্রদ্বীপের সাথে আগাবাকেরের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। খুব সম্ভব তিনি মেহেদী ও শরুদ্দীন মজুমদারের বোনকে বিয়ে করেন। তিনি তার একমাত্র কন্যাকে চাখারের গোলাবাড়ীর আমীর মিয়ার নিকট বিয়ে দেন। মজুমদার পরিবার উদয় নারায়ণের জমিদারী কেড়ে নিলে তিনি তা ফেরত দেন। আগাবাকের সেলিমাবাদ পরগণা অধিকারের চেষ্টা করেন। ফলে রায়েরকাঠির রাজা জয়নারায়ণের সাথে বারৈকরণের যুদ্ধে আগাবাকের পরাজিত হন এবং রায়েরকাঠির রাজা তার ১২ টি কামান দখল করে নেন। ১৭৪৯ খ্রিঃ আগাবাকের রায়েরকাঠির রাজা জয়নারায়ণকে পরাজিত করে সেলিমাবাদ পরগণা দখল করেন। জয়নারায়ণ ও তার দেওয়ান কীর্তিপাশার রাজারাম মুর্শিদাবাদের নবাবের নিকট থেকে সাড়ে চার আনা জমিদারী ফেরত পান। আগাবাকের চন্দ্রদ্বীপ পরগণার শাসক ছিলেন। নবাবী আমলে আগাবাকের বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের বৃহৎ জমিদারীর মালিক হলেন। জমিদারী পরিচালনার জন্য আগাসাদেক বাকেরগঞ্জে মাঝে মাঝে গোলাবাড়ীতে বাস করতেন। তিনি ইন্দ্রিয়পরায়ণ ছিলেন। তিনি বুজুর্গ উমেদপুরের প্রভাবশালী ভূস্বামী দয়াল চৌধুরীর পুনরায় আক্রমণ করেন। দয়াল চৌধুরী যুদ্ধে পরাজিত হন। পরাজয়ের সংবাদ শুনে দয়াল চৌধুরীর স্ত্রী, কন্যা ও অন্যাণ্য পুরনারী নাগেরবাড়ীর নিকট বিষখালীর শাখা নদীতে ডুবে মারা যায়। দয়াল চৌধুরীকে আগাসাদেকের ভোগের ন্য নারী সংগ্রহ করে দিতে হতো। শেষ পর্যন্ত তার কন্যা ও স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে হয়। তাই স্থানীয় লোকেরা বলে থাকেন “ পরের ক্ষতি আপন নাশ, তার সাক্ষী দয়াল দাস” বাকেরগঞ্জ থানার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে নন্দপড়া গ্রামে দয়াল চৌধুরীর বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ও তার দীঘি আগাসাদেকের নিষ্ঠুর কাহিনীর সাক্ষ্য হয়ে আছে। অনেকে এ ঘটনার জন্য আগাবাকেরকে দায়ী করেন। কিন্তু আগাবাকের অভ্যন্তরীণ ঘটনা জানতেন না। আগা সাদেক তাকে জানিয়েছিলেন যে, দয়াল চৌধুরী নবাবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন।

আগাসাদেক একজন নিষ্ঠুর ও নারী নির্যাতনকারী

রোহণী রায় চৌধুরী আগাবাকের খাঁর চরিত্র সমালোচনা করে লিখেছেন: “কোন কোন দাম্ভিকতা অথবা ক্রোধের পরিচয় দিলে, অস্মদেশে তাহাকে আগাবাকেরের সঙ্গে উপমা দিয়া থাকে। ইতহিাস আগাবাকের খাঁ সম্বন্ধে যাহাই কোন বলুক না, এদেশে কিèাতু তিনি অন্যরূপে পরিচিত। আবাল-বৃদ্ধবনিতা তাহাকে পাপিষ্ঠ, অত্যাচারী, পরসম্পদহরক দাম্ভিক বলিয়া থাকেন। তৎসম্বন্ধে এই জেলার স্থানে স্থানে ভিন্ন ভিন্ন প্রবাদ প্রচলিত। তিনি যে দুর্বৃত্ত ছিলেন তাহা সর্ববাদী স্মমত। আবশ্যকবোধে একটি জনপ্রবাদ উল্লেখ করা গেল। “রোহিণী রায় চেীধুরী বুজর্গ উমেদপুর এলাকায় জঙ্গল আবাদ করে। আগাবাকের বুজর্গ উমেদপুর পরগণার জমিদারী লাভ করে এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার পুত্র আগাসাদেক ছিলেন অত্যাচারী ও নারীনির্যাতনকারী। দয়াল চৌধুরীর এক সুন্দরী কন্যা ছিল। আগাসাদেক দয়াল চৌধুরীকে তার কন্যাকে তার নিকট প্রেরণের নির্দেশ দেন। কন্যা পাঠাতে অস্বীকার করায় আগাসাদেক তার বাহিনী পাঠিয়ে দেন। দয়াল চৌধুরী তাদেরকে তাড়িয়ে দেন। পরে আগাবাকের ও আগাসাদেক মুর্শিদাবাদের নবাবের কাছে সংবাদ পাঠালেন যে, দয়াল চৌধুরী বিদ্রোহ করেছে। নবাবের সৈন্য নিয়ে আগাসাদেক দয়াল চৌধুরীর বাড়ি আক্রমণ করেন। পূর্বেই দয়াল চৌধুরী পরিবারের নারীদের একটি নৌকায় করে বাড়ির দীঘিতে রেখে দেয়। যুদ্ধে তার পরাজয় হলে নারীরা অত্মহত্যা করবে। তিনি নারীদের মর্যাদা ক্ষুণœ হতে দেবেন না। তৎকালে হিন্দু সমাজে প্রচলিত ছিল যে, যুদ্ধে পরাজিত হলে নারীদের মুসলমানের হাতে নির্যাতিত হওয়ার চেয়ে আত্মহত্যা শ্রেয়। দয়াল চৌধুরী যুদ্ধে পরাজিত এবং নিহত হন। আগাসাদেকের সৈন্যরা দয়াল চৌধুরী যুদ্ধে পরাজিত এবং নিহত হন। আগাসাদেকের সৈন্যরা দয়াল চৌধুরীর মস্তক ছিন্ন করে তা অন্তঃপুরে নারীদের প্রদর্শন করে। তখন নারীরা দরজা বন্ধ নৌকার তলদেশ ছিদ্র করে দীঘিতে ডুবে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনা যে সত্য তা স্থানীয় জনগণ আজও বিশ্বাস করে। তবে আত্মহ্যার স্থান নিয়ে দ্বিমত আছে। অনেকে বলেন, দয়াল চৌধুরীর স্ত্রী-কন্যা বাড়ির দীঘিতে নৌকা ডুবিয়ে আত্মহত্যা করে। আবার অনেকে বলেন, বাড়ির নিকটস্থ বিষখালী নদীর শাখায় তারা অত্মহত্যা করেছে।

আগাসাদেক একজন নিষ্ঠুর ও নারী নির্যাতনকারী ছিলেন। আগাবাকের পুত্রকে পাপ কাজ থেকে নিবৃত্ত না করে তাকে সহযোগিতা করেছেন। দয়াল চৌধুরী পরিবারের আত্মহননের ঘটনা বরিশালের ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। আগাবাকের অনেক ভাল কর্ম থাকা সত্ত্বেও তিনি দয়াল চৌধুরী পরিবারের আত্মহননের অভিযোগ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারেননি। আগাবাকের জমিদার হিসাবে অত্যাচারী ছিলেন। তিনি সেলিমাবাদ পরগণার রায় পরিবারের জমিদারী অন্যায়ভাবে দখল করেছিলেন।

আগাবাকের যে বাকেরগঞ্জে বাস করতেন তার প্রমাণ নেই। এখানে তার পুত্র আগাসাদেক বাস করতেন। জনশ্রুতি আছে, আগাবাকের একবার এ অঞ্চলে এসিেছলেন।

আগাবাকের খাঁর জঙ্গলবাড়ি তালুক সৃষ্টি ও ভূমি আইনের সংস্কার

আগাবাকের খাঁ বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের সবচেয়ে শক্তিশালী জমিদার। তিনি বুজুর্গ উমেদপুর ও সেলিমাবাদের নতুন নতুন আবাদ সৃষ্টি করেন। তিনি এ অঞ্চলে এসে জঙ্গল পরিষ্কার করে কৃষকদের উৎসাহিত করেন। নলছিটি থানার বাকেরকাঠিতে তিনি প্রথম নিজহাতে জঙ্গল পরিষ্কার করেন। তিনি আবাদ বৃদ্ধির জন্য জঙ্গলবাড়ি তালুক সৃষ্টি ও ভূমি আইনের সংস্কার করেন। তিনি নিমক মহলের শুল্কের হার পুননির্ধারণ করেন। তাঁত শিল্পের জন্য তিনি ঢাকা ফরিদপুর থেকে অনেক তাঁতী এনে বাকেরগঞ্জে বসান। তিনি ভরপাশা, রঙ্গশ্রী ও গারুরিয়া নিয়ে একটি বন্দর ও প্রশাসন কেন্দ্র গড়ে তোলেন। নিজ নামে বন্দরের নামকরণ করেন বাকেরগঞ্জ।

বাকেরগঞ্জ জেলা সৃষ্টি আগাবাকেরর নামানুসারে ১৭৯৭ খ্রিঃ ইংরেজরা বাকেরগঞ্জ জেলা সৃষ্টি করে।

যুদ্ধ বিগ্রহ

আগাবাকেরের সাথে ঢাকার ডেপুটি নাজিম নওয়াজিশ খান ও তার নওয়ারা পেশকার রাজবল্লভের বিবাদ ছিল। এ সুযোগে ১৭৫১ খ্রিঃ ত্রিপুরার শাসনকর্তা উমেদ ঢাকায় আগাবাকেরকে আক্রমণ করে। আগাবাকের আরাকানী রাজার নিকট সাহায্য চাইলে সর্দার লেয়া মুরারীকে এক হাজার যুদ্ধ জাহাজসহ পাঠানো হয়। আগাবাকের তাদের সহায়তায় উমদকে পরাজিত করেন। নওয়াজিশ খান আলীবর্দী খানের জ্যেষ্ঠ কন্যা ঘসেটী বেগমের স্বামী ছিলেন। তিনি ঢাকায় থাকতেন না। তার ডেপুটি নাজেম হোসেন কুলি খানের ভ্রাতুষ্পুত্র হোসেন আবেদীন খাঁর তাদের পরিবর্তে ঢাকায় থাকতেন। রাজবল্লভ হোসেন আবেদীন খাঁর প্রধান পরামর্শদাতা। তিনি আগাবাকেরকে সরিয়ে দিয়ে পূর্ব বাংলার প্রধান ব্যক্তি হতে চাইলেন। সিরাজউদ্দৌলা ঢাকায় তার শক্তি বৃদ্ধির জন্য আগাবাকের ও তার পুত্র আগাসাদেককে মর্শিদাবাদে বন্দী করেন। সিরাজউদ্দৌলা আগাসাদেককে মুক্ত করে দেন এবং ঢাকায় হোসেন আবেদীন ও তার দলকে আক্রমণ করার নির্দেশ দেন। আগাসাদেক ঢাকায় পৌঁছে তার পিতাকে নিয়ে ১৭৫৩ খ্রিঃ এক গভীর রাতে হোসেন আবেদীনকে আক্রমণ করে এবং তাকে হত্যা করেন। নওয়াজিশ খান আগাসাদেককে ধরার জন্য একদল সৈন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। আগাবাকের ডেপুটি নাজেম পদের নিয়োগপত্র না দেখাতে পারায় ঘসেটী বেগম ও রাজবল্লভের দল আগাবাকেরকে আক্রমণ করে। আগাসাদেক আহত অবস্থায় মুর্শিদাবাদে পালিয়ে যান এবং আগাবাকের ঘটনাস্থলে নির্মমভাবে নিহত হন। আগাবাকেরের মৃত্যু সম্পর্কে সমকালীন ইতিহাসবিদ আবদুস সমীম তারাতা বাই, ডঃ টেলর ও এসক্রাপটন প্রায় একই রকম বিবরণ দিয়েছেনÑ

Dr. Taylor, in his “Topograply of Dacca” (P.83), has the following notice of Aga Bakar and his son: 3 “Shamat Junj Nowazish Mahomed Khan, the nephew and son-in-low of Aliverdi Khan, was next invested with the government in succession to Sarferaz Khan, Live his predecessor, he resided at Murshidabad and acted in the twofold capacity of Imperial Desan and Deputy Nazim, appointments which he held for many years prior to the British conquest of the country. He employed as his deputy at Cacca, Hosein Adden Khan, the nephew of Hosein Kuli Khan, his minister at Murshidabad. When Aliverdi Khan declared in favour of his adopted son Seraja Daulah as his successor to the masnad, feuds arose between the heir-apparent and Shamat Jung, which ended in the assassination of Hosein Adden Khan at Dacca, and that of his uncle at Murshidabad. Aga Sadoc, the don of a wealthy zamindar in the Bakarganj district, was employed by Sejaja Daula to carry his plans into effect at this place. This person, who had proceeded to Murshidabad to appeal against a decision of Hosein Adden, instead of obtaining the redress he expected, was detained a prisoner thereby Hosein Kuli Khan. He was soon induced, therefore, to listen to the proposals of Seraja Daulah Effection his escape from Murshidabad, he returned to Dacca, where his father Mahomed Bakar was now residing, and prevailing on him to join in the conspiracy ohn the promise of being and prevailing on him to join in the conspiracy on the promise of being made Nawab, the party contrived to get admission into the palace at dead of night, and murdered Hosein Addeen. When the assasination became known the following morning, the inhabitants of the town rose in a body and attachked Mahomed Bakar and his son. The former, on being equired to produce the sanad for his appointment to the Neabat, pointed to his soword, and was immediately kikked, but Aga Sadoc, though severely wounded, contrived to escape.

The accounts of his affair in Mr. Scrafton’s “Refl;ections”, and in the “Siyar al Mutakhereen”, May also be inserted , as they contain one or two additional particulars. It will be seen that, according to Mr. Scrafton, Aga Bakar held to office of governor of Chittagong4: “The Conduct of this affair was left to Surajah Doulah, who chose for his instrument one Aga Sadoc, whose father was governor of Chittagong, but resided at Dacca. The son, an extravagant, debauched youth, was then under confinement at Nawazis Mahomed Khan’s place, being left there as hostage till he paid a large sum due for the revenues of his government. Surajah Doulah assisted him to escape. He landed at Daccca the 1st of December 1755, and engaged his father in the enterprise, duluded probably by the promise of Surajhah Doulah to make him governor of Dacca. The father and son, with twelve of their dependants, surprised the governor in the dead of noght, and after some little resistance, in which the father was wounded, they cut off his head and proclamied it to be done by the order of Surajah Doulah. But the next day and order arriving from Nowazis Mahomed Khan to seize Aga Sadoc, the great men of the city immediately assembled their forces and attacked him. The son, with some of his desperate followers, cut their way through their opponents and made their escape, but the father and the rest of their party were killed. This news reaching the capital, the different parties were immediately in arms; but the old Soubah assuring his nephew that Aga Sadoc had made this attempt entirely in revenge for his confinement, the weak, timid Nowazis was appeased, and the consequence was that Surajah Doulah, a few days after-wards, murdered Hosein Kuli Khan in he street of Muxadabad. “- Scrafton’s reflections on the Government of Hindustan, p. 49, London, 1763; repriented 1770.

See also “Siyar al Muakhereen, “vol. ii. p. 646, Calcutta, 4th edition, 17895 : “To ensure success to his [Surajah Daulah’s] design he made use of some art to again the heart of a young man, who, having had disputes with the officers o Hosein Kuli Khan, duputy-governor of the province of Dacca, had found means to lay his cause before Nowazis Mohamed Khan, who concerned himself on his behalf. His name was Aga Sadoc, and his title Sadakut Mohamed Khan, son of Aga Bakar, a considerable zamindar of these parts. Surajah Daulah engaged him to return to Dacca in order to kill Hosein Adden Khan, the nephew of Hosein Kuli Khan, and the letter’s duputy at Dacca, a young man who for some resons had fallen into a melancholy that had disordered his senses. The man did exactly as he was did. Such a murder committed so openly struck terror and constrenation into the minds of all the inhabitants of that great city, who concluded that an action of that high nature would never have been perpetrated had not some person of the first rank afforded it coutenance, so that every one remained silent and thoughtful until it became known that the perpetrator had no order and no evodemce in his hand. He was therefore set upon by the inhabitants and by the friends of Hosein Kuli Khan, who missed the murderer, but by mistake killed his father, Aga Bakar. The son having escaped so great a danger, fled to Murshidabad, and by such a step [the assassination?] thrrew away both his peace of mind and safety of his person.”


শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক ও আগাবাকের এর সাথে সম্পর্ক

এ ঘটনার পর সিরাজউদ্দৌলা হোসেন কুলীকে মুর্শিদাবাদের রাজপথে হত্যা করেন। শুরু হলো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। যার শেষ পরিণতি পলাশীর বিপর্যয়। ১৭৫৯ খ্রিঃ মীর জাফর, মিরন ও রাজবল্লভ আগাসাদেককে মুর্শিদাবাদে হত্যা করেন। আগাবাকেরকে হত্যার পর আরমানিটোলা মাঠে সমাধিস্থ করা হয়। পাশেই তার পুত্রের নামে আগাসাদেক রোড। খুব সম্ভব আগাবাকের আগাসাদেক রোডে বাস করতেন। তার বাড়িরর কিান চিহ্ন বর্তমানে নেই। তার বংশধরদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আগাসাদেকের পুত্র মীর্যা মোহাম্মদ সালেহকে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে জীবিত দেখা যায়। তবে তার কন্যার বংশধররা চাখারে বাস করেন। তার কন্যার কন্যাকে চাখারের মীরের বাড়ী সৈয়দ ফজর আলী বিয়ে করেছিলেন। এ. কে. ফজলুল হকের পিতার দাদা কাজী মোহাম্মদ আমিন সৈয়দ ফজর আলীর মেয়ে ও আগাবাকেরের দৌহিত্রীকে বিয়ে করেন। এদিক দিয়ে শেরে বাংলা আগাকের খানের সাথে সম্পর্কিত। আগাবাকের খাঁ সম্পর্কে এইচ.বেভারিজ বলেন:৬

The district of Bakarganj derives its name from one Aga Bakar, who was a servant of the Nawab of Murshidabad, and was proprietor of paragana Buzurgumedpur, and of 11.5 anas of Selimabad, He apparently founded the mart of Bakarganj, which was situated in his zamindari of Buzurgumedpur, and was formerly the headquarters of the district. He is said to have taken possession by force of the 11.5 anas of Selimabad, and to have retained them until his death in 1160 B.S., when he was executed for rebellion (Thompson to Board, 28th December 1793). (See account of Selimabad).

আগাবাকের খাঁ সামান্য ক্রীতদাস হতে চট্টগ্রামের ফৌজদার ও বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের শক্তিশালী জমিদার হয়েছিলেন। তিনি একজন দূরদর্শী শাসক ছিলেন। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় বাকেরগঞ্জ বন্দর প্রতিষ্ঠা করে তিনি এক নবযুগের সূচনা করেছেন। অল্পদিনের মধ্যে বাকেরগঞ্জ দেশের একটি বিখ্যাত বন্দরে পরিণত হয়। অনেক বিদেশী বণিক তাদের বাণ্যিজ্যতরী নিয়ে এ বন্দরে আসতেন। আগাবাকের তার সুশাসনের জন্য বাকেরগঞ্জে জনপ্রিয় শাসক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আগাবাকের মুর্শিদাবাদ প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন। তিনি বেঁচে থাকলে পলাশী প্রান্তরে নবাবকে পূর্ব বাংলার সৈন্য দিয়ে সাহায্য করতে পারতেন। তার মৃত্যু নবাব সিরাজউদ্দৌলার জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।

বাকরখানি

কথিত আছে আগাবাকের একবার বাকেরগঞ্জ আসার জন্য এমন খাদ্য প্রস্তুত করতে বললেন যা লোনা আবহাওয়ায় নষ্ট হয় না। অনেকদিন টিকে থাকার জন্য ঢাকার বেকারীরা এক প্রকারের রুটি তৈরি করে। এ রুটি বাকরখানি নামে পরিচিত।

ভূমি মাপ ও দশমিক ওজন প্রথা চালু

আগাবাকের ভূমি মাপ ও দশমিক ওজন প্রথা চালু করেন। এ সকল মাপ এখনও এ অঞ্চলে প্রচলিত আছে।

অন্যান্য কর্মকান্ড

আগাবাকের জনগণের সুবিধার জন্য অনেক দীঘি খনন ও রাস্তা নির্মাণ করেন। ফয়রা ও দাওকাঠিতে তার দীঘি আছে। তিনি বাকলা থেকে জলদস্যু ও মগদের কঠোর হত্তে দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।

তথ্য নির্দেশ

১. সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, আগা বাকের ২. রোহিণী রায় চৌধুরী, বাকলা, পৃষ্ঠা ৬৭-৭০ ৩. Dr. Taylor, Topography of Dacca. ৪. Mr. Scrafton’s Reflections on Government o Hindustan, London 1763 ৫. আবদুস সালাম তাবাতাবাই, সিয়রুল মুতাক্ষেরীণ ৬. H. Beveridge, District of Bakerganj, Page 38-41