"অজিত বিশ্বাস, কমরেড"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
("কমরেড অজিত বিশ্বাস পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার জল..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
(কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন)
 
৯ নং লাইন: ৯ নং লাইন:
 
জলাবাড়ী হাইস্কুলে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি কামারকাঠী নবকুমার ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। স্বরূপকাঠীর কামারকাঠী গ্রাম তখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দেলন ও স্বদেশীদের ঘাটি ছিল। তিনি এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং মার্কসবাদী দীক্ষা গ্রহণ করেণ। অতপর তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন।
 
জলাবাড়ী হাইস্কুলে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি কামারকাঠী নবকুমার ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। স্বরূপকাঠীর কামারকাঠী গ্রাম তখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দেলন ও স্বদেশীদের ঘাটি ছিল। তিনি এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং মার্কসবাদী দীক্ষা গ্রহণ করেণ। অতপর তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন।
  
১৯৪৮ সালে তিনি প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা কমরেড জগদীশ আইচ সরকারের বোন জীবন প্রভা বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। জীবন প্রভা বিশ্বাস কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন এবং একজন মহিলা নেত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে  তিনি বৃহত্তর বরিশাল জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। কমরেড অজিত বিশ্বাস শিক্ষকতার পাশাপামি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির স্বরূপকাঠী উপজেলা শাখায় দীর্ঘদীন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একই সাথে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর, কৃষক সমিতি প্রমুখ সংগঠনের কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি স্বরূপকাঠী অঞ্চলের নয়, বৃহত্তর বরিশালের একজন উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি আজীবন মেহনতী মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতে গমন করেন এবং অশোকনগরে ন্যাপ- কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌখ গেরিলা বাহিনীর ক্যাম্পে সংগঠক হিসাবে কাজ করেছেন। দেশ স্বাধীন হলে দেশে ফিরে শিক্ষকতার পাশাপাশি পার্টির কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৯২ সনে কমিউনিস্ট পার্টির ভাঙ্গনের সময় তিনি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
+
১৯৪৮ সালে তিনি প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা কমরেড জগদীশ আইচ সরকারের বোন জীবন বালা বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। জীবন বালা বিশ্বাস কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন এবং একজন মহিলা নেত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে  তিনি বৃহত্তর বরিশাল জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। কমরেড অজিত বিশ্বাস শিক্ষকতার পাশাপামি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির স্বরূপকাঠী উপজেলা শাখায় দীর্ঘদীন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একই সাথে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর, কৃষক সমিতি প্রমুখ সংগঠনের কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি স্বরূপকাঠী অঞ্চলের নয়, বৃহত্তর বরিশালের একজন উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি আজীবন মেহনতী মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতে গমন করেন এবং অশোকনগরে ন্যাপ- কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌখ গেরিলা বাহিনীর ক্যাম্পে সংগঠক হিসাবে কাজ করেছেন। দেশ স্বাধীন হলে দেশে ফিরে শিক্ষকতার পাশাপাশি পার্টির কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৯২ সনে কমিউনিস্ট পার্টির ভাঙ্গনের সময় তিনি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
 
+
  
 
== পারিবারিক জীবন ==
 
== পারিবারিক জীবন ==

২২:২৮, ২৫ মে ২০১৭ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

কমরেড অজিত বিশ্বাস পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার জলাবাড়ী গ্রামে ১৯২৪ সনের ১৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেণ। তাঁর পিতার নাম গিরীজা কান্ত বিশ্বাস এবং মাতার নাম সরজু বালা বিশ্বাস। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের একজন নিবেদিত কর্মী ও কমিউনিস্ট ধারার রাজনীতিক ছিলেন।


শিক্ষাজীবন

তিনি গ্রামের বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা এবং কামারকাঠী নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। অতপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালায়ের অধীন বি.এম. কলেজে থেকে ১৯৪৫ সনে বিএ পাস করেন তিনি নিজ গ্রামের ফিরে পূর্ব জলাবাড়ী হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন।


কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন

জলাবাড়ী হাইস্কুলে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি কামারকাঠী নবকুমার ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। স্বরূপকাঠীর কামারকাঠী গ্রাম তখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দেলন ও স্বদেশীদের ঘাটি ছিল। তিনি এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং মার্কসবাদী দীক্ষা গ্রহণ করেণ। অতপর তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন।

১৯৪৮ সালে তিনি প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা কমরেড জগদীশ আইচ সরকারের বোন জীবন বালা বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। জীবন বালা বিশ্বাস কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন এবং একজন মহিলা নেত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৃহত্তর বরিশাল জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। কমরেড অজিত বিশ্বাস শিক্ষকতার পাশাপামি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির স্বরূপকাঠী উপজেলা শাখায় দীর্ঘদীন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একই সাথে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর, কৃষক সমিতি প্রমুখ সংগঠনের কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি স্বরূপকাঠী অঞ্চলের নয়, বৃহত্তর বরিশালের একজন উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি আজীবন মেহনতী মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতে গমন করেন এবং অশোকনগরে ন্যাপ- কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌখ গেরিলা বাহিনীর ক্যাম্পে সংগঠক হিসাবে কাজ করেছেন। দেশ স্বাধীন হলে দেশে ফিরে শিক্ষকতার পাশাপাশি পার্টির কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৯২ সনে কমিউনিস্ট পার্টির ভাঙ্গনের সময় তিনি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

পারিবারিক জীবন

অজিত বিশ্বাস ও জীবনপ্রভা বিশ্বাসের দাম্পত্য জীবনে পাাঁচ সন্তান। তিন ছেলে হলো রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, অরুময় বিশ্বাস ও পার্থসারথি বিশ্বাস। আর দুই মেয়ে হলো টুকু বিশ্বাস ও পদ্ম বিশ্বাস। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের পুত্র তথা অজিত বিশ্বাসের নাতি জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান।

মৃত্যু

আজীবন সংগ্রামী এই মানুষটি ২০০৪ সনের ১০ অক্টোবর ৮০ বছর বয়সে মৃত্যু বরন করেন।


তথ্যসূত্র: মোয়াজ্জেম হোসেন মানিকের প্রবন্ধ ‘কমরেড অজিত বিশ্বাস’।