"নিখিল সেন"-এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Barisalpedia থেকে
(ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু)
 
২১ নং লাইন: ২১ নং লাইন:
 
== ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু ==
 
== ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু ==
  
নিখিল সেনগুপ্ত ব্যক্তিগত জীবনে ১ ছেলে ও ২ কন্যার জনক। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্য জনিত কারণে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[৬][৭]
+
নিখিল সেনগুপ্ত ব্যক্তিগত জীবনে ১ ছেলে ও ২ কন্যার জনক। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্য জনিত কারণে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
  
 
----
 
----
 
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
 
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

১২:৩৪, ১ আগস্ট ২০২০ তারিখে সম্পাদিত বর্তমান সংস্করণ

নিখিল সেন (১৬ এপ্রিল ১৯৩১ – ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা নাট্যকার ও সংস্কৃতিকর্মী। আবৃত্তিতে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি শিল্পকলা পদক লাভ করেন এবং নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন

নিখিল সেনগুপ্ত ১৯৩১ সালের ১৬ এপ্রিল বরিশালের অদূরে কাশীপুর ইউনিয়নে কলশগ্রাম নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম নিখিল সেনগুপ্ত হলেও তিনি নিখিল সেন নামেই পরিচিত। তার পিতার নাম যতীশ চন্দ্র সেনগুপ্ত ও মাতার নাম সরোজিনী সেনগুপ্ত। এই দম্পতির দশ সন্তানের মধ্যে নিখিল চতুর্থ। তিনি মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা সিটি কলেজে ভর্তি হন এবং কলকাতা থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে পুনরায় বরিশালে ফিরে আসেন।

কর্মজীবন

১৯৪১ সাল থেকে নিখিল বরিশালের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিশেষ করে থিয়েটার ও আবৃত্তিতে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল শিল্পী সংসদের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৫২ সালে বরিশাল থিয়েটার নামে একটি সাংস্কৃতিক দল গঠন করেন। নিখিল সেন সিরাজের স্বপ্ন নাটকে সিরাজ চরিত্রে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে নাট্যজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেন। ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি ২৮টি মঞ্চ নাটকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মনোজ মিত্রের সাজানো বাগান, মমতাজউদ্দীন আহমেদের নীলদর্পণ এবং মামুনুর রশীদের ওরা কদম আলী।

নিখিল সেন কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে যোগদান করেন এবং পাকিস্তানী শাসনামলে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।

পুরস্কার ও সম্মাননা

জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা (১৯৯৬) বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সম্মাননা (১৯৯৯) শহীদ মুনীর চৌধুরী পুরস্কার (২০০৫) শিল্পকলা পদক (২০১৫) শিল্পকলায় একুশে পদক (২০১৮)

ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু

নিখিল সেনগুপ্ত ব্যক্তিগত জীবনে ১ ছেলে ও ২ কন্যার জনক। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্য জনিত কারণে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।


তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া