দীনেশচন্দ্র সেন
বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী। জন্ম পটুয়াখালীতে ১৯০৩ সালে। মৃত্যু ৩ আগস্ট ১৯৭৪। পিতা অম্বিকাচরণ সেন। মাতা স্বর্ণলতা দেবী।
মাতা-পিতা ও তাঁর দাদা সকলেই জাতীয় আন্দোলনের সমর্থক থাকায় অল্পবয়স থেকেই তাঁর মধ্যে স্বদেশি প্রভাব পরিস্ফুট হয়। সতীন্দ্রনাথ সেনের নেতৃত্বে তিনি ১৯১৯ খৃস্টাব্দে কংগ্রেসের কাজে যোগ দিয়ে ১৯২১ খৃস্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলনে প্রথম কারাবরণ করেন। ১৯২৩ খৃস্টাব্দে ম্যাট্রিক ও ১৯২৫ খৃস্টাব্দে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ. পাশ করেন। ১৯২৬ খৃস্টাব্দে পটুয়াখালিতে ‘লাইকাঠি সত্যাগ্রহ আন্দোলন’-এ অংশগ্রহণ করেন এবং পরে ১৯২৮ খৃস্টাব্দে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-প্রতিরোধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করে কারারুদ্ধ হন। ১৯৩০ খৃস্টাব্দে মুক্তিলাভ করার পরেই দেশে ‘লবণ আইন অমান্য’ আন্দোলন চলার কালে তিনি আবার গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ ৮ বছর কারাবাস করেন। ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনেও তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৪৫ খৃস্টাব্দে মুক্তি পান। ১৯৪৬ খৃস্টাব্দে বিবাহ করেন। ১৯৪৭ খৃস্টাব্দে দেশ বিভক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করলে তিনি পূর্ব-পাকিস্তানে থেকে যান। পরে ১৯৪৯ খৃস্টাব্দে জন্মভূমি ত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গ চলে আসেন। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে প্রত্যক্ষ রাজনীতি ত্যাগ করেন এবং মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে বিভিন্ন সমাজ-উন্নয়নমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। জীবিকানির্বাহের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রেশম শিল্পী মহাসংঘ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাঙালি চরিতাভিধান (প্রথম খন্ড)। কোলকাতা: সাহিত্য সংসদ। ২০১৩।